জাতীয়সারাদেশ

কক্সবাজারে করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা একজনকে ঘিরে সন্দেহ

ডেস্ক নিউজ:
বুধবার থেকে গত পাঁচদিনে ২২ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করেছে চট্টগ্রামের বিআইটিআইডি। এর মধ্যে একজনের নমুনা আবারও পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। একইসঙ্গে বাকি ২১ জন সন্দেহাতীতভাবে করোনামুক্ত বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।

সূত্র বলছে, চট্টগ্রাম বিআইটিআইডিতে আজ আরও সাতজন রোগীর করোনা টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলার ৪ জনসহ মোট ৬ জনের নমুনায় করোনার অস্তিত্ব নেই। বাকি একজনের নমুনা সন্দেহাতীত নয়। এ নমুনাটি আগামীকাল পুনরায় পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেয়া হবে। এই রোগী কক্সবাজারে করোনাক্রান্ত হওয়া নারীর সংস্পর্শে ছিলেন।
রোববার (২৯ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে বিআইটিআইডির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক শাকিল আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর গত তিন সপ্তাহে চট্টগ্রামের মোট ৩৭ জনের পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে বিআইটিআইডি। এর মধ্যে ১৫ জনের নমুনা প্রতিষ্ঠানটি সংগ্রহ করলেও পরীক্ষা করেছে আইইডিসিআর। বুধবার থেকে গত পাঁচদিনে ২২ জনের করোনা পরীক্ষা নিজেরাই করেছে বিআইটিআইডি। এর মধ্যে একজনের নমুনা আবারও পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি, বাকি ২১ জন সন্দেহাতীতভাবে করোনামুক্ত।’

পুনঃপরীক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক শাকিল আহমদ বলেন, ‘কেউ আক্রান্ত কিনা তা আমরা বলতে পারব না। এটি স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) ব্রিফিংয়ে ঘোষণা করা হবে। তবে সুখবর হলো, চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী নেই।’
বিআইটিআইডির পরীক্ষায় যদি কেউ যদি শনাক্ত হয়ে থাকেন তিনি চট্টগ্রামে বাইরের ইঙ্গিত দিয়ে অধ্যাপক শাকিল বলেন, ‘করোনা পরীক্ষার পঞ্চম দিনে আজ আরও সাতটি পরীক্ষার ফলাফল আমরা হাতে পেয়েছি। এর মধ্যে ৬ জনের বিষয়ে আমরা সন্দেহাতীতভাবে নিশ্চিত হয়েছি, তারা করোনামুক্ত। একটি পরীক্ষা আবারও করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, তবে তিনি দূরের, চট্টগ্রামের বাইরের।’
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি মিয়া বলেন, ‘চট্টগ্রামে এখনও করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। বুধবার কিট আসার পর থেকে মোট ২২ জনের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আজ সাত জনের পরিক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে।’

প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ কক্সবাজারে প্রথম করোনা আক্রান্ত নারী শনাক্ত হয়। দেশেই ফিরেই ওই নারী চট্টগ্রামে চান্দগাঁওয়ে ছেলের বাসায় ওঠেন। এরপর তিনি ছিলেন কক্সবাজারের খুটাখালী ও জেলা শহরের সিকদারমহল-পাহাড়তলী কচ্ছপিয়া পুকুর এলাকায় বড় ছেলের বাসায়। পরে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর যেসব ডাক্তার-নার্স ওই নারীকে চিকিৎসা দিয়েছেন তাদের সবাইকে কোয়েরেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয় তার ছেলেসহ পরিবারের সদস্যদেরও। জাগো নিউজ

Comment here