কক্সবাজারকুতুবদিয়ামহেশখালীসারাদেশ

কক্সবাজারে নারী নির্যাতন মামলায় সাংবাদিক নেতা রাজ্জাকসহ ২ জনের ১৪ বছর কারাদন্ড

কক্সবাজার প্রতিনিধি :
কক্সবাজারে নারী নির্যাতন মামলায় ২ আসামীকে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে আসামীদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন। কক্সবাজার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল -১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন ৮ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় দেন। এ সময় আসামীরা কাটগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী (স্পেশাল পিপি) পাবলিক প্রসিকিউটর এডঃ বদিউল আলম সিকদার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, মহেশখালী উপজেলার গোরকঘাটা সিকদার পাড়া এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলাম সওদাগরের ছেলে আবদুর রাজ্জাক এবং একই এলাকার ডাক্তার নুরুল আমিনের ছেলে আতা উল্লাহ প্রঃ ননাইয়া।
তিনি বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণীত হ ওয়ায় বিজ্ঞ আদালত এ রায় দেন। প্রায় ১৯ বছর পর মামলার রায়ে সন্তুষ্টির কথা জানান তিনি।
মামলা সূত্রে তিনি জানান, ২০০২ সালে কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ধাওনখালী এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে (সংগত কারনে নাম গোপন রাখা হল) দিন দুপুরে জোরপূর্বক অপহরণ করে। কয়েকদিন পরে কক্সবাজার শহরের ইউনাইটেড হোটেল নামে একটি আবাসিক ভবন থেকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মেয়ের পিতা বাদী হয়ে মহেশখালী উপজেলার গোরকঘাটা সিকদার পাড়া এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলাম সওদাগরের ছেলে আবদুর রাজ্জাক এবং ডাক্তার নুরুল আমিনের ছেলে আতা উল্লাহ প্রঃ ননাইয়াসহ ৮ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটির বিচার কার্য পরিচালনার জন্য মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে প্রেরণ করা হয় (মামলা নং ১৫৭/২০০২)। স্বাক্ষীদের সাক্ষ্য শেষে মামলার দুই আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০ ধারায় ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রচার করেন। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন। মামলার অন্যন্য আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণীত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস প্রদান করেন। আদালতের কার্যক্রম শেষে দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদেরকে জেল হাজতে প্রেরন করেন। আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডঃ শফিউল হক।
এদিকে, দন্ডপ্রাপ্ত আসামী আবদু রাজ্জাক এশিয়ান টিভি, জনকন্ঠসহ বিভিন্ন মিডিয়া নাম ব্যবহার করে জেলাব্যাপী চাঁদাবাজসহ সাধারণ মানুষকে হয়রানি আভিযোগ রয়েছে। এছাড়া এর আগেও নানা অপরাধে বেশ কয়েকবার সে হাজত কেটেছে বলে জানা গেছে।

Comment here