কক্সবাজারটেকনাফশিক্ষা ও ধর্ম

কক্সবাজারে ৪ লাখ ৫৮ হাজার শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল


টেকনাফ প্রতিনিধি :
‘জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় পর্বের অংশ হিসেবে সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে প্রায় ৫২ হাজার শিশুসহ কক্সবাজার জেলায় চার লাখ ৫৮ হাজার ২৩ শিশুকে ভিটমিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর এই এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সম্মেলন কক্ষে এ্যাডভোকেসি ও পরিকল্পনা সভা উপজেলা স্ব্যস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: সুমন বড়–য়ার সভাপতিত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম মুজাহিদুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এমদাদ উল্লাহ, টেকনাফ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, এফডিসিআর ম্যানেজার অজয় কুমার চৌধুরী, ইপিআই ইনচার্জ মিজানুর রহমান প্রমুখ। সভায় জানানো হয় ১৭৭ টি কেন্দ্রে ৫১ হাজার ৯২৩ জন শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস খাওয়ানো হবে।
এ ছাড়া বৃহম্পতিবার দুপুওে কক্সবাজারে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় দেয়া তথ্য মতে, জেলার আট উপজেলায় ১৯৫১ টি টিকাদান কেন্দ্রে চার লাখ ৫৮ হাজার ২৩ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। স্থায়ী নয়টি, অস্থায়ী ১,৮৪০টি, ভ্রাম্যমান ২৭টি এবং অতিরিক্ত ৭৫টি কেন্দ্রে টিকা খাওয়ানো হবে। দায়িত্বে থাকবেন ২৩৫ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ২১১ জন পরিবার কল্যাণ সহকারী, ৫৪০৭ জন স্বেচ্ছাসেবক। এছাড়া ২১৯ জন তত্ত¡াবধায়ক কাজ করবেন।
২৩ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় এই ক্যাম্পেইন শুরু হবে। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। জেলা পর্যায়ে ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। তবে নির্ধারিত সময়ের পরও কিছু সময় স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের টিকাদান কেন্দ্রে অবস্থান করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৬ থেকে ১১মাস বয়সী শিশুদের খাওয়ানো হবে ‘নীল’ রঙের ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের খাওয়ানো হবে ‘লাল’ রঙের ক্যাপসুল। সব ধরণের শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে। তবে গুরুতর অসুস্থ শিশুকে না খাওয়াটাই ভালো। একই সাথে চার মাসের মধ্যে যে শিশু ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়েছে তাকে আর খাওয়াতে হবে না।
ক্যাম্পেইনে বাদ পড়া শিশুদের পরদিন জেলা সদর হাসপাতাল, কক্সবাজার পৌরসভা কার্যালয়, মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র বা সূর্যের হাসি ক্লিনি৩কে নিয়ে গিয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে। ক্যাম্পেইনের দিন কোন শিশু ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়া থেকে বাদ পড়লে তাদের জন্য পরদিন নির্ধারিত কয়েকটি স্থানে ওই ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে।
স্বাস্থ্য বুলেটিন মতে, ভিটামিন ‘এ’ প্রধানত শিশুদের অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে রক্ষা করে। শুধু তাই নয়, এই ভিটামিন শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল জটিলতা কমায় এবং শিশুর মৃত্যুও ঝুঁকি কমায়।

Comment here