কক্সবাজারকক্সবাজার সদরক্রাইম

কক্সবাজার শহরে সরকারি কর্মচারীর বাসায় ইয়াবা ও পতিতার ডেরা

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

কক্সবাজার শহরে এক সরকারি কর্মচারীর বাসায় নিয়মিত ইয়াবা এবং পতিতার ডেরা বসে। প্রকাশ্য দিবালোকে রোহিঙ্গা নারী এনে পতিতাবৃত্তি করা সহ ইয়াবার আসর বসানোর অভিযোগে স্থানীয়রা কয়েকবার বাধা দিলেও তিনি কর্ণপাত করছেন না। বরং বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার হুমকি দিয়ে আসছে। এদিকে সেই সরকারি কর্মচারীর ছেলে বর্তমানে ইয়াবা নিয়ে কারাগারে আছে বলে জানা গেছে। তাই এ বিষয়ে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া দাবী জানান স্থানীয়রা।
কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী জিয়া নগর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে তাদের এলাকায় বসাবাস করা কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের কর্মচারী আবুল ফজলের অনৈতিক কর্মকান্ডে তারা বিব্রত। জানা গেছে আবুল ফজল আগে কক্সবাজার সদর ভুমি অফিসের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসাবে কর্মরত থাকলেও বর্তমানে উখিয়া ভুমি অফিসে কর্মরত আছে। প্রায় ৭/৮ বছর আগে শহরের পাহাড়তলী জিয়া নগর এলাকার প্রায় ২ একর সরকারি খাস জমি দখল করে বাড়ি এবং ভাড়া বাসা নির্মাণ করে আবুল ফজল। তখন থেকেই তার অনৈতিক কর্মকান্ড শুরু। প্রথম দিকে তার ছেলেরা ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত থাকলেও স্থানীয় হিসাবে কেউ মুখ খুলেনি। পরে তার ভাড়া বাসায় দিন রাত পতিতাদের আনাগুনা,অপরিচিত লোকজন বা খদ্দেরের আসা যাওয়াতে পুরু এলাকার পরিবেশ খারাপ করে ফেলেছে। বর্তমানে তার আরো বেড়েছে। এক বাসা সে নিজে থাকে বেশির ভাগ ভাড়া বাসাতে সবাই রোহিঙ্গা,সে নিজেও দিন রাত নারী নিয়ে আমোদ ফূর্তিতে থাকে এবং টাকার বিনিময়ে নিয়ে আসে বিভিন্ন লোকজন। এক কথায় এটাকে মিনি পতিতালয় বলেই এলাকায় সবাই চিনে। এর মধ্যে স্থানীয় প্রতিবেশী লোকজন আবুল ফজলকে কয়েকবার বারণ করলেও উল্টো তাদের কোন কথা তোয়াক্কা না করে মিথ্যা মামলা নিয়ে জেল খাটানোর হুমকি দেয়। সম্প্রতী সেই সরকারি কর্মচারীরা বাসাতে আসা পতিতা এবং খদ্দেরকে এলাকাবাসী ধরে মারধর করলে সে আরো চড়াও হয়ে উঠে। এমনকি এলাকার অনেক মহিলাকেও সে কুপ্রস্তাব দেয়,এবং টাকার বিনিময়ে খারাপ কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছে। যা অনেকে লজ্জায় মুখ খুলতে চায় না। এদিকে জানা গেছে আবুল ফজলের ছেলে ওয়াজেদ সম্প্রতী ৮ হাজার ইয়াবা সহ র‌্যাবের হাতে আটক হয়ে জেলে আছে। এছাড়া তার আরো কয়েকজন সহযোগিও ইয়াবা নিয়ে জেলে আছে। এ ব্যপারে অভিযুক্ত আবুল ফজল ঘোনারপাড়া এলাকার স্থানীয় এক সাংবাদিককে বলেন,সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা এগুলো বাজে কথা। মূলত আমি প্রকৃত স্থানীয় মানুষ আছি এখানে একজন তাই সবাই মিলে আমার বিরুদ্ধ ষড়যন্ত্র করছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে,আবুল ফজলের স্ত্রী এবং মা নাকি রোহিঙ্গা তাই টেকনাফ সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে তার বাড়িতে রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে নিরাপদে নারী এবং ইয়াবা আসে নিয়মিত। তাই এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।

Comment here