টেকনাফরোহিঙ্গা সমাচার

করোনা’র প্রভাব নেই! শালবাগান কেন্দ্রিক ইয়াবা পাচারকারী চক্র এখনো সক্রিয়

কক্সবাজার প্রতিনিধি :
টেকনাফের হ্নীলা জাদিমোড়া কেন্দ্রিক ইয়াবা পাচারকারী স্বশস্ত্র সিন্ডিকেট এখনো সক্রিয় রয়েছে। কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাসের বিশ্বব্যাপী প্রার্দূভাব মহামারি আকার ধারন করে লক্ষাধিক মানুষের প্রাণহানী ঘটিয়েছে। সারা দেশে চলছে লক ডাউন। কিন্তু এসবের মধ্যেই বসে নেই পাচারকারী চক্র । চালিয়ে যাচ্ছে ইয়াবা পাচার। নাফনদীর লেদা ছ্যুরি খাল দিয়ে মিয়ানমার হতে ইয়াবার একটি বড় চালান অনুপ্রবেশের খবর পেয়ে গত ২৭ মার্চ শুক্রবার রাত পৌনে ১২ টার দিকে অভিযানে নামে বিজিবি সদস্যরা। এতে এক পর্যায়ে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় ৩ জনের অজ্ঞাত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মোট ৩ বিজিবি সদস্য আহত হয়েছে। এ সময় উদ্ধার করা হয় ১ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা, ২ টি এলজি, ১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ১ রাউন্ড খোসা।
পরে উদ্ধার হওয়া এসব ইয়াবার মালিক আলম, মো নুর আব্দুর রহিম বলে এলাকায় চাউর হয়ে যায়। কিন্তু এরপরও এ চক্রটি পাচার অব্যাহত রেখেছে। দিনে রাতে পাচার চালিয়ে যাচ্ছে। এদের হাতে রয়েছে অস্ত্র। তা ছাড়া তাদের পক্ষে রয়েছে জকির ডাকাত। ফলে সাধারণ রোহিঙ্গা বা স্থানীয়রা এদের পাচারকাজ বা অন্য অপর্কম দেখলেও মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা, জাদিমোড়া বৌদ্ধ প্যাগোডার আশপাশ, নয়াপাড়া, শালবাগান, ব্রিটিশ পাড়াসহ রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় দিয়ে ইয়াবা পাচার অব্যাহত রয়েছে। খোজ নিয়ে জানা যায়, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী জকির ডাকাতের ছত্রছায়ায় কয়েকজন রোহিঙ্গা ও স্থানীয় স্বশস্ত্র পাচারকারী সক্রিয় রয়েছে। সরেজমিন ঘুরে বিভিন্ন জনের সাথে আলাপ করে এ সিন্ডিকেটের কয়েকজন সদস্যের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হচ্ছে বৌদ্ধ জাদির পূর্ব পাশ্বে ঈমান হোসেনের ছেলে আব্দু রহিম, মো: নুর, মো: সুলতানের ছেলে মো: আলম, আব্দুল হামিদের ছেলে মো: শুক্কুর , জিনজিরা পাড়া ও শালবাগানের মধ্যস্থানে বসবাসকারী বাশঁখালি উপজেলার ওয়াহেদ (বুজুরুজ মিয়ার মেয়ের জামাই ) ও তার ভায়রা ভাই শাহ আলম কোম্পানির ছেলে মো: আলী জিনজিরা পাড়ার রোহিঙ্গা নুরুল আলমের ছেলে নুরুল ইসলাম ও ব্রিটিশ পাড়া ও জিনজিরা পাড়ায় বসবাসকারী রোহিঙ্গা আলি হোসেনের ছেলে শরিয়ত উল্লাহ,নাজীর হোসেনের ছেলে পেটান আলী ওরফে নুর হোসেন, জমির হোসেন, লাল মিয়ার ছেলে মো: রশিদ মিয়া।
গত ৯ এপ্রিল রাত ১ টার দিকে স্বশস্ত্র অবস্থায় পাহাড়া দিয়ে মিয়ানমার হতে একটি ইয়াবার বড় চালান শালবাগানে ঢুকিয়েছে এ চক্রটি। রাতের সময় এদের পদচারনায় এলাকার মানুষ ঘুমোতে পারছেনা। ভয়ে ভয়ে সময় পার করতে হচ্ছে এসব সীমান্ত এলাকায়। দেখায়। একটি সুত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে মিয়ানমারের উত্তর মংডু মাংগালা গ্রামের জনৈক মাষ্টার মুহিবুল্লাহ এসব ইযাবা বাংলাদেশে পাঠিয়ে থাকে ।
টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটলিয়ন উপ-অধিনায়ক মেজর মো: রুবায়েৎ কবীর জানান, সীমান্তে এ ধরনের পাচারকারী চক্রের বিভিন্ন তথ্য আমাদে কাছে আসে। সীমান্তে বিজিবি সদা সর্তক রয়েছে। সঠিক সময়ে অভিযান পরিচালনা করে ইয়াবাসহ মাদক পাচারকারী চক্রকে ধমন করা হবে।

Comment here