উখিয়াটেকনাফ

কোস্ট ফাউন্ডেশন’র সামাজিক সংযোগ বৃদ্ধি প্রকল্প: টেকনাফ ও উখিয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সভা অনুষ্ঠিত

কোস্ট ফাউন্ডেশন’র সামাজিক সংযোগ বৃদ্ধি প্রকল্প:

টেকনাফ ও উখিয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সভা অনুষ্ঠিত

টেকনাফ প্রতিনিধি :

সামাজিক সংযোগ বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় টেকনাফ এবং উখিয়া প্রেসক্লাবে স্হানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে পৃথক দুটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১ এবং ১০ অক্টোবর কক্সবাজারের অন্যতম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ফাউন্ডেশন স্থানীয় মোট ২৮ জন স্থানীয় সাংবাদিক উপস্থিতিতে ইউএনএইচসিআর-এর সহযোগিতায়
সভা দুটির আয়োজন করে।
২০১৭ সালের পর থেকে বাংলাদেশের উখিয়া এবং টেকনাফে বসবাসরত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের বিষয়ে সংবাদ তৈরি, সংবাদ তৈরিতে প্রতিবন্ধকতা, উত্তরন এবং প্রত্যাবাসন বিষয়ে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জনাব মুজিবুল ইসলাম।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদ মোহাম্মদ আনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দে, টেকনাফ প্রেসক্লাবের সভাপতি ছৈয়দ হোসাইন, উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিক আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক ফারুক আহমেদ, নুর মোহাম্মদ সিকদার, গফুর মিয়া চেীধুরী, হুমায়ুন কবির জুসান, রতন কান্তি দে, জসিম আজাদ, পলাশ বড়ুয়া, ওবাইদুল হক চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল আজিজ, মোহাম্মদ ইবরাহিম মোস্তফা, ইমরান আল মাহমুদ, হুমায়ুন রশিদ, নাছির উদ্দিন রাজ, গিয়াস উদ্দিন ভূলু, রহমত উল্লাহ, মো: আব্দুলাহ মনির, জিয়াবুল হক, নুরুল হক, মো: আরাফাত সানি সহ আরো অনেকে।

সভায় কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি মুজিবুল ইসলাম বলেন “আমরা প্রতিনিয়ত রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোন না কোনভাবে সংবাদ করি, আমাদের খেয়াল রাখতে হবে মায়ানমার এবং আর্ন্তজাতিক মহল যেন আমাদের সংবাদ থেকে কোন ভুল ব্যাখা না নেয়। আমরা জানি রোহিঙ্গাদের মধ্যেও কিছু খারাপ মানুষ রয়েছে, তবে গুটি কয়েক খারাপ মানুষের জন্য পুরো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে খারাপভাবে উপস্থাপন করাটা বাংলাদেশের জন্য শুভকর নয়। এতে করে মায়ানমার সরকারও রোহিঙ্গাদের নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করতে সুযোগ পাবে যা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করার সুযোগ তৈরি হবে”।

টেকনাফ প্রেসক্লাবের সভাপতি ছৈয়দ হোসাইন বলেন “প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বিলম্ব হওয়ার কারনে রোহিঙ্গা এবং স্থানীয়দের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। রোহিঙ্গাদের আমরা চাইলেই তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে পারি না। আর্ন্তজাতিক আইন মেনেই রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ সরকার চেষ্ঠা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে”
টেকনাফ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জাবেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন “রোহিঙ্গা ইস্যুতে সংবাদ তৈরিতে কাজ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে জাতিসংঘ, বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক সংস্থা এবং সাংবাদিকদের মধ্যে আরো যোগাযোগ বৃদ্ধি প্রয়োজন”।
উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদ মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন, “রোহিঙ্গা ইস্যুতে সংবাদ তৈরিতে আমাদের সব সময় দেশের স্বার্থকে প্রথমে বিবেচনায় রাখতে হবে। দেশের ভাবর্মূতি ক্ষুণ্ণ হয় এইরকম সংবাদ তৈরি থেকে আমাদেরও বিরত থাকা উচিত। তিনি আরো উল্লেখ করেন সাংবাদিকরা সমাজের একটি গুরুত্বর্পূণ অংশ। তাদের অনেক প্রতিকুলতার মধ্যে কাজ করতে হয়। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আমাদের সাংবাদিক ভাইদের প্রতিনিয়ত প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়।
সভায় ইউএনএইচসিআর-এর সহকারী কমিউনিকেশন অফিসার মোস্তফা মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেনসহ কোস্ট ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

Comment here