টেকনাফরোহিঙ্গা সমাচার

গর্ভের সন্তান হত্যার বিচার চান রোহিঙ্গা শরণার্থী হাসিনা

জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, টেকনাফ ভিশন ডটকম:
টেকনাফ নযাপাড়া শরনার্থী ক্যাম্পের অর্ন্তসত্ত্বা নারী হাসিনা বেগমকে মারধর করে সন্তান নষ্ট করার বিচার নিয়ে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। গত ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এইচ বøকে এ ঘটনা ঘটে। আহত হাসিনা হোছন আহমদের স্ত্রী। জানা যায়, মাষ্টার হাসিম ও হোছন আহমেদকে আইনশৃংখলা বাহিনীর পরিচয়ে ৪ ডিসেম্বর নিয়ে নয়াপাড়া শরনার্থী শিবির থেকে কে বা কারা ধরে নিয়ে যায়। পরে তাদেরকে ১৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে চোখ বাধা অবস্থায় ইনানী এলাকায় ছেড়ে দেয়। এরা দু’জন ২০ ডিসেম্বর ক্যাম্পে ফিরে আসে। এর কয়েকদিন পর ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় একই বøকের কালা হাসানকে একই কায়দায় আইনশৃংখলা বাহিনীর পরিচয়ে নিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা । এ ঘটনাটি হোছন আহমদের কারনে ঘটেছে এমনটি মনে করে স্ত্রী হাসনার উপর চড়াও হয় কালা হাসানের স্বজনরা। কালা হাসানের স্বজন ছৈয়দ আহমদ, মো: রফিক,শাহেদ উল্লাহ,রহিমা খাতুন, সেনোয়ারাসহ কয়েকজন একত্রিত হয়ে চার মাসের অর্ন্তসত্ত¡া হাসিনা বেগমকে বেধরক মারধর করে। এক পর্যায়ে গুরুতর আহত অবস্থায় নয়াপাড়া শরনার্থী শিবিরের হাসপাতালে আনার পথে ৪ মাসের মৃত সন্তান প্রসব হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৬ ডিসেম্বর কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে রিলিজ হয়ে হাসিনা এখন ক্যাম্পে ফিরে এলেও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে তার পরিবার। আহত হাসিনার স্বামী মোঃ হোছন আহমেদ একজন ভানগাড়ী চালক। তিনি বলেন, ৫জন মেয়ে সন্তান তার রয়েছে। এটি ছিলো ছেলে সন্তান। মারধরের কারনে এটিও মারা গেলো। যার জন্য তিনি ক্যাম্প ইনচার্জসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি এর প্রতিকার আশা করছেন। স্থানীয় বøক চেয়ারম্যান আবদুস সালাম সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Comment here