এক্সক্লুসিভজাতীয়টেকনাফসারাদেশ

টেকনাফে একই পেশার নাম সর্বস্ব সমিতির নিবন্ধন !

আবুল কালাম আজাদ:
টেকনাফ নামে-বেনামে গজে উঠেছে একই পেশার একাধিক সমিতি ও সংগঠন। প্রায় একই পেশার ও নাম সর্বস্ব। জড়িত উপজেলা সমবায় অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও স্থানীয় সমিতির সুবিদাবাদী ব্যক্তিরা। এর মধ্যে এগিয়ে আছে পরিবহন সেক্টর। সমবায় আইনে উপজেলাতে একই নামের একাধিক সমিতি ও সংগঠনের নিবন্ধন দেওয়ার নিয়ম না থাকলে ঠিকানা পরিবর্তন দেখিয়ে একই নামের একাধিক সমিতির নিবন্ধন রয়েছে এমনটি জানা যায। যেখানে এক উপজেলায় একই নামের একাধিক সমিতির নিবন্ধন করার নিয়ম নেই সেখানে কিভাবে এসব হচ্ছে প্রশ্ন সচেতন মহলের। এতকিছু হলেও বেখবর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
উপজেলা সমবায় অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলায় নিবন্ধনকৃত সমিতিরি সংখ্যা ২০৪। এর মধ্যে স্বচ্ছল রয়েছে ১২০টি। বাকী গুলোর কোন কার্যক্রম না থাকায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে াবী সমবায় অফিসের । শুধূ উপজেলা ও পৌর এলাকায় পরিবহণ সেক্টরে একই নামের একাধিক সমিতি রয়েছে এমন তথ্য পাওয়া যায়। তৎমধ্যে, টেকনাফ উপজেলা পৌর মিনি টমটম ইজি বাইক মালিক সমবায় সমিতি লিঃ, টেকনাফ পৌর এলাকা বাস ষ্টেসন সিএনজি, মাহিন্দ্রা পরিবহণ সমিতি, টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ সড়ক সিএনজি পরিবহণ সমিতি, শাপলা চত্বর সিএনজি ও টমটম পরিবহণ সমিতি, হ্নীলা সিএনজি পরিবহণ সমিতি, বাহার ছড়া শামলাপুর সিএনজি পরিবহণ সমিতি, শাহপরীর দ্বীপ রাস্তার মাথা সিএনজি পরিবহণ সমিতি, টেকনাফ পৌর এলাকার পুরাতন ম্যাজিক গাড়ী পরিবহণ সমিতি। এছাড়া বোট মালিক সমিতি, মৎস্যজীবি সমমিতি, ব্যবসায়িক সমিতিসহ নামে-বেনামে একাধিক সমিতি রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে সমবায়ের আইন অনুযায়ী প্রতিটি সমিতির ৩বছর পর পর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও টেকনাফ ও পৌর এলাকায় যুগ যুগ ধরে অনেক সমতিরি নির্বাচন হচ্ছে না বলে ভুক্তভোগী সস্যরা জানান। এর মধ্যে রয়েছে উপরের বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি, টেকনাফ উপজেলা অটো রিকসা, টমটম ও ভ্যান চালক শ্রমিক সমিতি, বার্মিজ মার্কেট সমিতি ও পরিবহণ সেক্টরের একাধিক সমিতি। এসব সমিতিতে সরাসরি নির্বাচন না হওয়ায় সমিতির সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ, উৎকন্ঠা বেড়েই চলেছে। পাশাপশি সমিতির সদস্যরা হারাচ্ছে গণতান্ত্রিক অদিকার । দৈননন্দিন সমিতির নামে পৌরশহরে প্রবেশদ্বার ও মোড়ে মোড়ে চাঁদা আদায়ের নামে নিয়োজিত থাকে অসংখ্র শ্রমিক। চাঁদা আদায়ের রশিদে লিখা আছে যাহার জন্য প্রদান করা হইবে, মৃত্যু ফান্ড, চিকিৎসা, বিবাহ, সমিতির আসবাব পত্র ক্রয় ইত্যাদি। যওি রশিদগুলোতে এসব বাক্য লিপিবদ্ধ আছে, তাহা নামে মাত্র। কখনো কোন সমিতির সদস্যদের উপরুক্ত বিষয়ে সহযোগিতা পাইনি বলে নিবন্ধনকৃত সদস্যগণ জানিয়েছেন আবদুল্লাহ ও মোঃ রফিকসহ আরো অনেকে।
সুত্র জানায়, সমিতির নিবন্ধনের সময় যাদেরকে সভাপতি, সাধারন সম্পাদক নাম দিয়ে নিবন্ধন করা হয়েছিল, তারা ীর্ঘকাল ধরে বহাল তবিয়তে থাকায় সমিতির মূলধন, আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তারে বিরুদ্ধে। সমতিরি সদস্যগণ নির্বাচনের জন্য বারংবার উপজেলা সমবায় নেতৃবৃন্দদেরকে অভিযোগে জানালেও ায়িত্বরত সভাপতি,সাধারন সম্পাদকের সাথে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তারে দহরম বহরম সম্পর্ক থাকায় নির্বাচনের বিধি থাকলেও মানা হচ্ছে না। সমবায় আইনে রয়েছে, কোন সমিতি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত না হলে ২২ ধারা মোতাবেক বাতিল করার এখতিয়ার রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা, জেলা সমবায় কর্মকর্তাকে অবহিত করে প্রয়োজনে সমিতির বরাবর নোটিশ প্রেরন করে ক্ষমতা বলে
সেসব সমিতির নিবন্ধন বাতিল করতে পারে। কিন্তু টেকনাফে একবার সমিতির নামে নিবন্ধন নিতে পারলেই আর সমবায়ের কোন আইনকে তোয়াক্কা করেনা। নিজেদের ইচ্ছায় খেয়াল খুশি মতে সমিতি পরিচালনা করে। সমিতির কর্তারা নিজেরাই আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেলেও শ্রমিকরা থাকে অনাহারে অর্ধাহারে। এনিয়ে প্রায় সময় শ্রমিক ও ায়িত্বরতরে মধ্যে বাক বিতন্ডা ও হাতাহতির ঘটনাও ঘটেছে বলে শ্রমিক সুত্রে জানা যায়।
এসব বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সমবায় কর্মকর্তা শ্যামল বড়–য়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ সমিতির নির্বাচন ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। #####

Comment here