ক্রাইমটেকনাফ

টেকনাফে এখনো ফিরেনি অপহৃত কৃষক পিতা-পুত্র

টেকনাফে

এখনো ফিরেনি অপহৃত কৃষক পিতা-পুত্র

টেকনাফ প্রতিনিধি :

টেকনাফে অপহৃত ৫ কৃষকের মধ্যে এখনো ফিরে আসেনি ২ জন। এরা হচ্ছেন উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী এলাকার মৃত উলা মিয়ার ছেলে নজির আহমদ ও তার ছেলে মোহাম্মদ হোসাইন ।

তাদের মধ্যে ৩ জনকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

(২৯ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার ভোরে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী ও মরিচ্যাঘোনা এলাকায় এই অপহরণের ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, ওই ৫ জন ভোরে ধানচাষ ও খেতে কাজ করতে যান। এ সময় ৭-১০ জন সেখান থেকে ৫ জনকে অপহরণ করে। অপহরণকারীরা ৫ জনের প্রত্যেকের জন্য ৫ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে।

টাকা না পেয়ে তারা কৃষক শাহাজাহানকে গুলি করে। এছাড়া আবু বক্কর ও মেহেদী হাসানকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে অপহরণকারীরা। পরে কৃষকদের স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

শাহাজাহান গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। আহত আবু বক্কর ও তার ছেলে মেহেদী হাসানকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ আছেন হ্নীলার পানখালী এলাকার নজির আহমদ ও তার ছেলে।

শাহাজাহানের বাবা আবুল মঞ্জুর বলেন, আমার ছেলে শাহাজাহান পাহাড়ের পাদদেশে ধানখেত পাহারা দিতে গেলে সশস্ত্র অপহরণকারীরা তাকেসহ ৫ জনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না পেয়ে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, তার এলাকার কৃষকদের খেত-খামার রক্ষণাবেক্ষণের কারণে গহীন পাহাড়ে যেতে হয়। ধানখেত থেকে ৫ কৃষককে অপহরণ করা হয়েছে। ৩ জন কৌশলে ফিরে আসলে এখনো ফিরেনি ২ জন।

তিনি জানান, কৃষক অপহরণের বিষয়টি টেকনাফ থানায় জানানো হয়েছে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি। এর পর পুলিশি তৎপরতায় ৩ জন ফিরে এসেছে বলে জেনেছি। তবে এখনো এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ লিখিত কোন অভিযোগ দায়ের করেনি।

Comment here