কক্সবাজারটেকনাফসারাদেশ

টেকনাফে পৃথক বন্দুক যুদ্ধে নিহত ৪

টিভি ডেস্ক: টেকনাফে পৃথক দুটি বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও এখনো অজ্ঞাত রয়েছে তিন জন। পরিচয় পাওয়া একজন হচ্ছে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের তুলাতলি গ্রামের আবুল বসরের ছেলে মুছা আকবর (৩৬)।

গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে লেদা নাফদনীতে বিজিবি ও আজ শনিবার ভোর রাতে পুলিশের সাথে এ দুটি বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মোট ছয় বিজিবি ও পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এ সময় উদ্ধার করা হয় ১ লাখ ৮৬ হাজার পিস ইয়াবা, ৩ টি এলজি, ৪ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ৭ রাউন্ড খোসা।

টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটলিয়ন কমান্ডার লে.কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, নাফনদীর লেদা ছ্যুরি খাল দিয়ে মিয়ানমার হতে ইয়াবার একটি বড় চালান অনুপ্রবেশের খবর পেয়ে শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে অভিযানে নামে বিজিবি সদস্যরা। এ সময় ৪ থেকে ৫ জনের একটি দল নৌকায় করে নাফনদী দিয়ে বাংলাদেশের সীমানায় আসতে দেখে চ্যালেঞ্জ করে। এতে এক পর্যায়ে নৌকায় থাকা লোকজন নাফনদীর কিনারায় নেমে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। বিজিবি সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এভাবে মিনিট পাঁচেক গুলি বিনিময়ের পর শান্ত হয়ে এলে ঘটনাস্থল তল্লাশী করা হয়। ওখানেই তিন জন অজ্ঞাত ব্যাক্তির গুলিবিদ্ধ দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে পাওয়া যায় এক লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা, ২ টি এলজি, এক রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও এক রাউন্ড খালী খোসা।

পরে গুলিবিদ্ধ ৩ পাচারকারীকে উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ হাসপাতালে ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষনা করে। মৃত তিন জনের বয়স ১৮ হতে ২১ বছরের মধ্যে। এখনো এদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায় নি।

এ ঘটনায় তিন বিজিবি সদস্য নায়েক মনজুর রহমান, সিপাহী খোরশেদ আলম ও মাহামুদুল হাসান আহত হয়। তাদের টেকনাফ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

লে.কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান আরো জানান, এ ঘটনায় টেকনাফ মডেল থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

অপর দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং তুলাতলি এলাকায় শনিবার রাত দেড় টার দিকে ইয়াবা কারবারীদের ধরতে গিয়ে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় মুছা আবকর নামের একজন নিহত হয়েছে। নিহত মুছা স্থানীয় আবুল বসরের ছেলে। ঘটনাস্থল হতে ৬ হাজার পিস ইয়াবা, ১ টি এলজি, ৩ রাউন্ড কার্তুজ ও ৬ রাউন্ড খোসা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য এএসআই আরিফ হোসেন, কনস্টেবল এডিসন চাকমা ও রুমন আহত হয়। আহতদের টেকনাফ হাসাপাতালে চিতিৎসা দেওয়া হয়।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, মাদক কারবারীর অবস্থানের খবর পেয়ে পুলিশ অভিযানে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে একদল সন্ত্রাসী। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে।পরে ঘটনাস্থল হতে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ সময় একজন পাচারকারীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ ও পরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার মর্গে রাখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ঠ ধারায় মামলা রুজু করা হবেও জানান ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

Comment here