জাতীয়টেকনাফসারাদেশ

টেকনাফে প্রতিপক্ষ ও গ্যাস-দিয়াশালাইর আগুনে পুড়লো ১১বসত বাড়ী

টেকনাফ সংবাদদাতা:
টেকনাফে ৩ ইউপিতে পৃথক অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ১১টি বসত বাড়ী পুড়ে ভস্মিভুত হয়ে গেছে। উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী পূর্ব মহেশখালী পাড়ায় ৮ বসত বাড়ী, বাহারছড়া শীলখালী বিজিবি ক্যাম্পের সন্নিকটে ১ ও সাবরাংয়ের শাহপরীরদ্বীপ রাস্তা মাথায় ১টিসহ ১০বসত বাড়ীতে ৫ মার্চ (শনিবার) দিবাগত মধ্যরাত ও রবিবার (৬মার্চ) ভোররাতে অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে।
সুত্রে জানা যায়, শনিবার (৫মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার খারাংখালী পূর্ব মহেশখালী পাড়ার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে ছলিমের বসত বাড়ি থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়ে মুহুর্তে ৮টি বাড়ী পুড়ে নিমিষেই মাটির সাথে মিশে যায়।
রান্না ঘরের গ্যাস থেকে আগুনের সুত্রপাত হয় বলে স্থানীয়দের দাবী। তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ফায়ার সার্ভিস পৌছানোর পূর্বে পাশ্ববর্তী ৭/৮টি বসত-বাড়ি পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। এছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আরো কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে বাড়ীসহ আসবাবপত্র পুড়িয়ে আনুমানিক ৫৫/৬০ লক্ষাধিক টাকার স¤মপদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করছেন এলাকাবাসী।
এদিকে শনিবার বিকালে বাহারছড়া দক্ষিণ শিলখালি বিজিবি চেকপোস্টের পশ্চিমে অসহায় ও হতদারিদ্র আবদু শুক্কুরের বসত বাড়ি পুড়ে যায়। এক ছোট বাচ্ছা দিয়াশালাই নিয়ে অপর একজনকে সিগারেট জালাতে দেয়, ফেরার পথে বাচ্চাটি আগুন জালিয়ে আলু সিদ্ধ করতে গেলে বাড়ীতে আগুন লাগে। রবিবার বিকাল পর্যন্ত কেউ তার সহযোগিতায় এগিয়েও আসেনি।
অপরদিকে ৬ মার্চ (রবিবার) ভোররাত ২টায় সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ রাস্তার মাথা আবদুল কুদ্দুসের বসত বাড়ীটি আজগুবি আগুনে পুড়ে যায়। বাড়ীর মালিকের ধারনা দুস্কৃতদের দেওয়া আগুনে তার বাড়টি পুড়িয়ে তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। প্রতিপক্ষের আগুন দেওয়ার অভিযোগে ৬জনকে বিবাদী করে ভুক্তভোগী আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানান। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বিবাদীদের সাথে জায়গা, জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এনিয়ে শনিবার ঝগড়াও হয়েছে।
হোযইক্যংয়ের সাবেক ইউপি সদস্য জাহেদ হোছাইন জানান,প্রাথমিকভাবে ছলিমের বাড়ির গ্যাস থেকে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত বলে বলতে শুনা যাচ্ছে। এতে কয়েকটি বাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন দূরে হওয়ায় আসতে আসতে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।
ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী জানান,অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। ৬/৭টি ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এতে ১০/১৫ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অর্ধকোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
ইউপি পরিষদের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ঘটনার বিষয়ে অবহিত করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে রবিবার সকালে উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সাংসদ মরহুম অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর পুত্র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টেকনাফ উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব মোর্শেদ এবং হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে নগদ টাকা, শীতবস্ত্র ও খাদ্য দ্রব্যাদী বিতরণ করেন।

Comment here