ক্রাইমটেকনাফ

টেকনাফ পরকিয়ার জেরে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন ! নতুন বৌ আনা হলো না ইসমাইলের ঘরে

 টেকনাফ প্রতিনিধি :
ঘরে বৌ আনা হলো না টেকনাফের যুবক ইসমাইলের। এর আগেই ভাইয়ের হাতে খুন হলেন সে। ৩০ সেপ্টেম্বর রবিবার ভোররাত ২ টার সময় টেকনাফ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের জাঁহালিয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। টেকনাফে মোহাম্মদ ইসমাইল (২৮) টেকনাফ ইউনিয়নের জাঁহালিয়া পাড়ার মৃত নজির আহমদের ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থল হতে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। তবে কয়েকদিন আগে দু’ভাইয়ের মধ্যে সামান্য কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটেছিলো বলে একটি সুত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, জাঁহালিয়া পাড়ার মৃত নাজির হোসেনের পুত্র মোহাম্মদ ইসমাঈল (২৮) কে আপন ভাই ফরিদ আহমদ নিজ ঘরের শয়ন কক্ষে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় চাকু দিয়ে জবেহ কওে । শুধু তাই নয় হাতের কব্জি কেটে দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পরে পালিয়ে যায় । খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশের এসআই জামশেদের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে লাশ উদ্ধার করেছে। পরে নিহতের ভাবী নুর আয়েশাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। টেকনাফ মডেল থানার ওসি রনজিত কুমার বড়–য়া জানান, খুনের ঘটনা তদন্তের স্বার্থে খুনের সাথে জড়িত বড় ভাই ফরিদের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসবাদের জন্য আনা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। এদিকে নিহত ইসমাইলের স্ত্রী মোবারেকা বেগম জানান, ঘরে বৌ হিসেবে তোলে নেওয়ার জন্য তার স্বামী বড় ভাই ফরিদের কাছ থেকে স্বর্ণেও জন্য টাকা খুজঁতে গিয়ে দু’ভাইয়ের মধ্যে বিরুধ বাধে বেশ কয়েক দিন আগে। এর জের ধরে খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন সে। এ ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নেবেন বলেও জানান মোবারেকা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বড় ভাই ফরিদ আহমদ সৌদি প্রবাসী এবং মোহাম্মদ ইসমাইল মালয়েশিয় প্রবাসী ছিলেন। অন্যান্য ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে মধুর সম্পর্ক ছিলে এ দু’ভায়ের মধ্যে। এর মধ্যে খুন হওয়ার মত কি ঘটনা ঘটলো তা নিয়ে নানান ডালপালা মেলতে শুরু করেছে। নিহত ইসমাইলের জন্য বৌ-টিকটাক করা হয়। টেকনাফ ইউনিয়নের নতুন পল্লান পাড়ার কবির মাঝির মেয়ে মোবারেকা বেগমের সাথে কাবিন সম্পাদন করা হয়। বাড়ী ঘরে সাজঘোজের কাজ চলছে। আগামী শীত মৌসুমে ঘরে বৌ তোলার পরিকল্পনা ছিলো ইসমাইলের। কিন্তু এর আগেই ভাইয়ের হাতে নির্মম ভাবে খুন হলো সে। তবে অপর একটি সুত্র মতে খুন হওয়া ইসমাইলের সাথে বড় ভাই ফরিদের স্ত্রী নুর আয়েশার অনৈতিক সর্ম্পক ছিলো। এর জের ধরে দু’ভাইয়ের মধুর সর্ম্পকে ফাটল ধরে। এর জের ধরে খুনের ঘটনা ঘটে।

Comment here