ক্রাইমটেকনাফসারাদেশ

টেকনাফ বড়ডেইলের স্কুল পড়ুয়া অপহৃত কিশোরী এখনো উদ্ধার হয়নি

নিজস্ব সংবাদদাতা:
টেকনাফ উপকুলীয় অঞ্চল বাহারছড়া ইউনিয়নের বড়ডেইল গ্রামের মো. আমিনের স্কুল পড়–য়া অপহৃত অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরী মেয়ে গত ২ সাপ্তাহে ও উদ্ধার হয়নি। স্থানীয় ভূমি দস্যু, শীর্ষ মানবপাচার দালাল, সকল অপকর্মেল মূল হোতা, সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একই এলাকার বশির আহমদের পুত্র মোঃ আফসার উদ্দিন (২০) তার সাঙ্গপাঙ্গদেরদের নিয়ে স্থানীয় স্কুল শিক্ষার্থী সদ্য সমাপ্ত এসএসসি পরীক্ষাার ফলপ্রার্থী হামিদা বেগমকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়।। এ ঘটনায় কিশোরীর মাতা ছকিনা বেগম ৫ জনকে বিবাদী করে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করলে ও করোনা পরিস্থিতির কারণে দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নিজ বসত বাড়ীর সামনে একা পেয়ে স্থানীয় বখাটে যুবক বশির আহমদের পুত্র মোঃ আফসার উদ্দিন (২০) এর কূ-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় আলোচিত মানবপাচার কারী দালাল সাইফুল এর সহযোগিতায় অপহৃত কিশোর কে বাড়ীর সামনে একা পেয়ে তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে একটি আনরেজিষ্ট্রাট সিএনজিতে করে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে লুকিয়ে রাখে। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর মাতা ছকিনা বেগম বাদী হয়ে ৫ জনকে এজাহার নামীয় আসামী করে টেকনাফ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলা দায়ের করেন। মামলা নাং-৩৬, তারিখ- ২৬-০৪-২০২০ ইং। ওই সময়ে মুখ চেপে ধরে আনরেজিষ্ট্রাট একটি সিএনজি গাড়ীতে উঠিয়ে মুখ চেপে ধরে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বখাটেরা। থানা পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্না দিয়েও কিশোরী মেয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছেন না বাবা-মা। পরিবারটিতে চলছে সন্তানকে ফিরে না পাওয়ার আহাজারি। অপহৃত কিশোরীর মাতা ছকিনা বেগম বলেন, মেয়ে অপহরণের সময় তিনি বাড়ীতে ছিলেন না। জরুরী প্রয়োজনে পাশের বাড়ীতে গিয়েছিলেন। হঠাৎ বাড়ীর সামনে শৌর-চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে দেখে একটি সিএনজিতে করে তার মেয়েকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে, ঘটনাটি রাস্তায় থাকা অনেকে দেখেছে। আমি অপহরণের ৬ দিনপর থানায় স্বশরিরে হাজির হয়ে নিয়মিত মামলা করেছি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি জানিয়েছি। যেকোন মূল্যে আমি আমার মেয়েকে ফিরে পেতে চাই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মেয়ের মাতা ছকিনা বেগম। তিনি অপহরণে জড়িতদের আটক ও মেয়েকে উদ্ধার করে আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করে দিতে পারলে উপযুক্ত পুরস্কার দেবেন বলেও ঘোষনা করেন। অপরদিকে মেয়েকে অপহরণকারীর কবল হতে উদ্ধার করতে থানায় মামলার খবর পেয়ে তার মেয়ে দিয়ে এক ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে মেয়ে স্বই”্ছায় তার সাথে পালিয়ে গেছে বলে প্রচার করেছে। যাহা সম্পূর্ন মিথ্যা বলে ছকিনা বেগম দাবী করে বলেন, যদি ঘটনা সত্যি হয় তাহলে গোপনে কেন, মেয়েকেসহ জনসম্মুখে বা টেকনাফ থানাসহ যে কোন আইনশৃংখলা বাহিনীর অফিসে এসে বিষয়টি পরিস্কার করা হোক। তাঁর ধারনা তার মেয়ে জোর করে ভিডিও বার্তা প্রকাশ করিয়াছে। অপহরণ কারীরা হামিদা বেগমকে প্রাপ্ত বয়স্ক বলে দাবী করলেও পরীক্ষার এডমিট কার্ডসহ জন্মনিবন্ধন যাচাই করে জানা যায়, তার জন্ম তারিখ ০১/০৭/২০০৪ ইং । সে হিসাবে তার বর্তমান বয়স ১৫ বছর ১০ মাস চলমান। টেকনাফ থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছি। মেয়েটিকে দ্রুত উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। করোনা পরিস্থিতির কারনে দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।###

Comment here