জাতীয়টেকনাফসারাদেশ

মাদক ও মানব পাচারকারী প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা ও আন্দোলন গড়ে তুলুন :টেকনাফ মডেল থানায় ওপেন হাউজ-ডে অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার

মুহাম্মদ জুবাইর, টেকনাফ:
পুলিশের প্রধান কাজ হচেছ জনগনের জানমাল নিরাপত্তা রক্ষা ও অপরাধ দমনে ভূমিকা পালন করা। সমাজের একশ্রেণি ও বিশেষ সিন্ডিকেট সৃষ্টি করে মাদক ও মানব পাচারে বেপরোয়া হয়ে ওরা ধরাকে সরা জ্ঞান মনে করেছে । কিশোর ও যুব সমাজ কে লোভনীয় ফাঁদের মাধ্যমে মাদক পাচারে উৎসাহিত করছে । এসব অপকর্ম দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট এবং ওরা রাষ্ট্রীয় শক্তির চেয়ে বড়।নয়। মাদক কারবারিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় তারা ও সমান অপরাধী বলে বিবেচ্য হবে। তারা যতই ক্ষমতাধর ব্যক্তি হউক না কেন কারো।রেহাই নেই। সেই সাথে পাশাপাশি মাদক ও মানব পাচারে অর্থযোগান দাতাদের ও ছাড় নেই। মাদক ও মানব পাচার প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলুন এছাড়া এর বিকল্প কোনো পথ নেই। মাদক হচ্ছে সকল অপকর্ম ও অশ্লীলতার মূল এবং এর থেকে নানা অপকর্ম সৃষ্টি হয়। এর দমনের জন্য শুধুমাত্র পুলিশের উপর নির্ভরশীল হলে চলবে না। এর জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত প্রয়াস। এজন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। মানব ও মাদক পাচারকারীদের অর্থলগ্নকারীদের ও কোন মতেই ছাড় দেওয়ায় যাবেনা। তাদেরকে ও আইনের আওতায় আনা হবে। এখানে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ৩৪ ক্যাম্পে।বসবাস করলে ও মাদক ও মানবপাচারের সাথে জড়িত হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় কিছু জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী ওদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিয়ে সুবিধা হাসিল করছে এবং অধিকাংশ রোহিংগা পৌর শহর সহ লোকালয়ে বেনামে স্বনামে বাড়ি নির্মাণ করে বাংলাদেশী নাগরিক সেজে বসবাস ও ভাড়া বাসায় বসবাসের নেপথ্যে মাদক ও মানব পাচার কাজে জড়িত হয়ে পড়েছে। সেই সাথে শ্রমবাজার ওদের দখলে থাকায় স্থানীয়রা কাজ পাচ্ছে না। এদের দমনে থানা পুলিশের কাছে ওদের তালিকা তৈরি করে জমা দিন। সেই সাথে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দাতাদের ও তালিকা তৈরী করে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে সহযোগিতার প্রয়োজন হলে আমাকে সরাসরি ফোন বা মেসেজ দিয়ে অবগত করুন
টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃহাসানুজ্জামান পিপিএম।
তিনি আরও বলেন মাদকবিরোধী, নারীনির্যাতন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি সর্বসাধারণকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে ।
পুলিশ জনগণের শত্রু নয়, বন্ধু। পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা গ্রহণ করুন। পুলিশ জনগণের সেবক হয়ে পাশে থেকে কাজ করছে এবং করবে। মাদকের সঙ্গে কোনো আপোষ নেই। মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীদের ব্যাপারে তথ্য দেওয়ার জন্য আহবান জানান তিনি।
শুধু আইনশৃংখলা বাহিনীর অভিযানে মাদক প্রতিরোধ করা সম্ভন নয়।
মাদক সংশ্লিষ্টদের বাড়ী চিহ্নিত করে সাইন বোর্ড টাঙ্গানোর দাবী ও তুলেন বক্তারা। এছাড়া সম্প্রতি সদর, বাহারছড়া ও সাবরাং ঘাঁটদিযে মানব পাচার বেড়েছে বলেও বক্তারা বলেন।
শনিবার(১২মার্চ) বেলা ১১টায় থানা চত্বরে ওপেন হাউজ-ডে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন. অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া-টেকনাফ) সার্কেল শাকিল আহমদ ও
বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম, পৌর মেয়র হাজী মোঃ ইসলাম, শাহপরীরদ্বীপ আওয়ামী লীগের সভাপতি সোনা আলী, হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশের মাহমূদ আলী, বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাষ্টার জাহেদ হোছেন, সহ-সভাপতি জহির হোসেন এমএ, উপজেলা কমিউনিট পুলিশের সভাপতি মোঃ আলম বাহাদুর, পৌর কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি সাইফ উদ্দীন খালেদ ও হোয়াইকং ইউনিয়নের কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি মোঃ আলমগীর চৌধুরী।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে মতামত ও উম্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, পৌর কাউন্সিলর কোহিনুর আকতার, হ্নীলা ইউপি মেম্বার মোঃ আলী, মহিলা মেম্বার নাসরিন পারভীন, সাবরাং ইউপি মেম্বার আবুল ফয়াজ, পুরান পল্লান পাড়ার কুলছুমা আকতার, হোয়াইক্যংয়ের আলমগীর চৌধুরী,
হ্নীলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি রেজাউল করিম, টেকনাফ প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী, নুরুল হোছাইন, নাছির উদ্দীন রাজ, সাইফ উদ্দীন মামুন, শেখ রাসেল, বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফ উল্লাহ, কমিউনিট পুলিশের উপজেলা সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম, হোয়াইক্যংয়ের নুরুল আমিন প্রমুখ। স্থানীয় জনসাধারণ, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্টমিডিয়ার নেতৃবৃন্দরাও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

Comment here