উখিয়াটেকনাফসারাদেশ

থাইংখালী সড়কে গাড়ি থামিয়ে হ্নীলার এক ব্যবসায়ীর মালামাল ও নগদ টাকা লুট

ফরিদুল আলম : উখিয়া উপজেলার থাইংখালী শরণার্থী ক্যাম্প হতে পণ্য আনার সময় স্থানীয় একটি চক্র পুলিশ পরিচয়ে গাড়ি ছিনতাইয়ের পর হ্নীলার এক ব্যবসায়ীর মালামাল ও নগদ টাকা লুটের ঘটনায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগীরা।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়,টেকনাফের হ্নীলা পূর্ব লেদার আবুল কাশেমের পুত্র মোহাম্মদ আলম গত ২ মাস ধরে উখিয়া উপজেলায় নবস্থাপিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প হতে চাউল, ডাল ও তৈল ক্রয় করে নিজ দোকানে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। গত ১২ মে রাত সাড়ে ৯টারদিকে থাইংখালী শরণার্থী ক্যাম্প হতে ক্রয় করা এক বস্তা ডাল, ৬৩বস্তা চাউল ও ২শ তৈলের বোতল নিয়ে একটি ছারপোকা-২৫৩ করে হ্নীলায় আসার জন্য রওয়ানা করে। পুলিশ যাত্রী ছাউনির কিছুদূর আসার পর দক্ষিণে পুলিশ পরিচয়ে একটি গ্রুপ টর্চ লাইটে সিগন্যাল দিলে গাড়িটি থামায়। এরপর গাড়িতে থাকা লেবার ফয়েজকে মোটর সাইকেলে তোলে এবং মোটর সাইকেল হতে একজন গাড়িতে উঠে গাড়িটি ছিনতাই করে নিয়ে আসে। ছিনতাই করা গাড়িটি পালংখালী বাজার এবং হোয়াইক্যং বাজারে এনে থামানোর পর প্রায় ৮২হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করে লুটে নেয়। এরপর মোটর সাইকেলে অপহরণ করে নেওয়া লেবার ফয়েজকে হোয়াইক্যং কাটাখালী বাড়িতে নিয়ে বেদম প্রহারের পর সঙ্গে থাকা ৭০হাজার টাকা ও একটি স্ক্রীনটাচ মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। রাতে সাড়ে ১১টায় পণ্য ভর্তি গাড়ি ও লেবার ফয়েজ গুরুতর আহত অবস্থায় এলে গাড়ি থামিয়ে মালামাল লুট,নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা জানাজানি হয়। কাঞ্জরপাড়ার কোম্পানী, চালক ও হেলপার বিষয়টি স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুল গাফ্ফারকে অবহিত করলে ১৩মে সকাল সাড়ে ৭টারদিকে গাফ্ফার মেম্বারের নেতৃত্বে একটি দল মালের মালিক মোঃ ্আলমের নিকট এসে সার্বিক আলোচনার পর এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার ব্যাপারে অবহিত হন। হোয়াইক্যং কাটাখালীর মাষ্টার নুরুল আমিনের পুত্র বাপ্পীর নেতৃত্বে এই ঘটনা বলে জানা গেছে। তার নানার বাড়ি পালংখালী ও দাদার বাড়ি বালুখালী হওয়ায় বিশেষ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সে এই অপকর্ম চালিয়ে আসছে।
পালংখালী বাজার কমিটির সভাপতি কামাল উদ্দিন জানান,এই ঘটনার খবর পেয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে মালামাল লুট ও ছিনতাইয়ের সত্যতা পাওয়া গেছে।
এই ব্যাপারে অভিযুক্ত বাপ্পীর মুঠোফোন (০১৮৫১-৮৫৪৩৫৬) নম্বরে একাধিক বার যোগাযোগ করে বক্তব্য জানতে চাইলে রিসিভ না করা কোন ধরনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অভিযুক্তের পিতা মাষ্টার নুরুল আমিনের মুঠোফোন (০১৮২৫-২৬০০৩৩) যোগাযোগ করে পুত্রের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে জানার চেষ্টা করলেও তিনি বাড়িতে না থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে ছিনতাইকারীর কবলে পড়া পণ্যের মালিক মোঃ আলম উপরোক্ত বিষয়ে প্রতিকার চাওয়ার জন্য হোয়াইক্যং ফাঁড়িতে গেলে, আইসি জানান ঘটনাটি যেহেতু উখিয়া ঘটেছে। সুতরাং উখিয়া থানায় আইন সহায়তা গ্রহণের পরামর্শ প্রদান করেন।
এদিকে আইন-শৃংখলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম করে ভাবমূর্তি ক্ষুন্নকারী মালামাল লুট ও টাকা ছিনতাইকারী চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী উঠেছে।

Comment here