জাতীয়

দুর্যোগে সাড়া দান প্রক্রিয়াকে জোরালো করার লক্ষ্যে : ডব্লিউএফপি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় চালু করলো সাইক্লোন প্রিপেয়ার্ডনেস ট্রেনিং মডিউল

দুর্যোগে সাড়া দান প্রক্রিয়াকে জোরালো করার লক্ষ্যে :

ডব্লিউএফপি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় চালু করলো সাইক্লোন প্রিপেয়ার্ডনেস ট্রেনিং মডিউল

ঢাকা প্রতিনিধি :

জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সাইক্লোন প্রিপেয়ার্ডনেস প্রোগ্রাম ট্রেনিং মডিউল চালু করেছে। ২৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ঢাকা গুলশানের সিক্স সিজন হোটেলে দুপুরে
এ মডিউলটি আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় (এমওডিএমআর)-এর সাইক্লোন প্রিপেয়ার্ডনেস প্রোগ্রাম (সিপিপি) ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করে।

ইউএসএইড ও কেএস রিলিফের অর্থায়নে, অংশীদার এনজিও ব্র্যাক ও ক্রিশ্চিয়ান এইডের সাথে যৌথভাবে ডব্লিউএফপি পাঁচটি ট্রেনিং মডিউল তৈরি করেছে, যেগুলো হলো বেসিক ফাউন্ডেশন, হাই টাইড মনিটরিং এন্ড রেসপন্স, ওয়াটার রেসকিউ, র‌্যাপিড রেসপন্স ও কমিউনিটি-বেউজড্ সাইক্লোন আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম। বাংলাদেশের ১৩ টি উপকূলীয় জেলার ৭৬ হাজারের বেশি সিপিপি স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দিতে এই মডিউলগুলো ব্যবহৃত হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান এনডিসি। তাঁর বক্তব্যে তিনি বলেন, “এখানে উপস্থিত সবাইকে এই উদ্বোধনী ও হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। এই সিপিপি ট্রেনিং মডিউলগুলো বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের সকল সিপিপি স্বেচ্ছাসবেকদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো কমিউনিটি-ভিত্তিক অ্যাপ্রোচের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বৃদ্ধি নিশ্চিত করা ও স্বেচ্ছাচালিত ও নিবেদিত মানবিক প্রেরণার মাধ্যমে বহুমূখী বিপত্তির ঝুঁকি সামলানোর ক্ষেত্রে আমাদের উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

বাংলাদেশে ডব্লিউএফপি‘র প্রতিনিধি ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্কালপেল্লি বলেন, “এই উদ্যোগ ডব্লিউএফপি’র দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টাগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এর মাধ্যমে সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে ও ভবিষ্যতে দূর্যোগের সময় সেবা দেওয়ার ব্যাপারে তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা সৃষ্টি ও জলবায়ু বিষয়ক ধাক্কা মোকাবেলা করা ও তা থেকে উত্তরণের জন্য জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।”

এই পাঁচটি মডিউলের মধ্যে তিনটি মডিউল হলো – হাই টাইড মনিটরিং এন্ড রেসপন্স, ওয়াটার রেসকিউ ও র‌্যাপিড রেসপন্স, যেগুলো সম্প্রতি সৃষ্ট সিপিপি ওয়াটার রেসকিউ ইউনিট, টাইড মনিটরিং ও রেসপন্স ইউনিটের উন্নয়নে সহায়তা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হবে। এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিপি’র পরিচালক আহমাদুল হক, বিডিআরসিএস, আইএফআরসি, আমেরিকান রেড ক্রস, ব্র্যাক, কেয়ার, সেভ দ্যা চিলড্রেন, ক্রিশ্চিয়ান এইড ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দ।
প্রসঙ্গত জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বিশ্বের সর্ববৃহৎ মানবিক সংস্থা যা জরুরি অবস্থায় মানুষের জীবন রক্ষা করছে এবং খাদ্য সহায়তার মাধ্যমে সংঘাত, দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পুনরুদ্ধারকৃত মানুষের জন্য শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি বয়ে আনছে।

Comment here