ক্রাইমটেকনাফরোহিঙ্গা সমাচার

প্রকাশ্যে খুন হলো রোহিঙ্গা যুবক


তামজিদুল ফারুক,  টেকনাফ:
টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা শিবিরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মো: ইয়াসের (২৫) নামের রোহিঙ্গা সেচ্ছাসেবক নিহত হয়েছে। সে এফ ব্লকের মো: ইসলামের ছেলে। ৩১ আগস্ট শুক্রবার বিকাল ৩ টার সময় রোহিঙ্গা শিবিরের এফ ব্লকের ১৫৬ নং নিজ কক্ষের সামনেই এ ঘটনা ঘটে। ধারনা করা হচ্ছে অসামাজিক কার্যকলাপে বিভিন্ন সময়ে বাধা দেওয়ায় রোহিঙ্গাসহ গ্রামের কিছু সন্ত্রাসী সংঘবদ্ধ হয়ে এ ঘটঁনা ঘটিয়েছে। পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছে নিহত ইয়াসেরে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে।
খোজঁ নিয়ে জানা যায়, টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের এফ ব্লকের ১৫৬ নং কক্ষের বাসিন্দা মো: ইয়াসের স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কয়েকদিন আগে স্থানীয় গস্খামবাসী ও রোহিঙ্গা মিলে শিবিরে অসামাজিক কার্যকলাপ করায় সে সি ব্লকের মো: ওসমানের ছেলে মো: সেলিম ও বি ব্লকের সেলিমকে ধরে ক্যাস্প ব্যবস্থাপনা কতৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়। তাদের শাস্তি দেওয়ার পর ছেড়ে দেয় ক্যাম্প কতৃপক্ষ। এতে ক্ষিপ্ত হয় তাদের গ্রুফের অন্যান্য সদস্যরা। এ ঘটনার জের ধরে স্থানীয় আলী খালী গ্রামের কালা চানের ছেলে ছৈয়দ আলম ও রেদোয়ানসহ ৭/৮ জন সন্ত্রাসী শুক্রবার বিকেল ৩ টার সময় শিবিরে ঢুকে। এক পযার্য়ে কক্ষে থাকা মো: ইয়াসেরকে ঘর হতে বের হতে ডাক দেয়। মো: ইয়াসের বের হওয়ার সাথে সাথে সন্ত্রাসী দিন দুপুরে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁঁেছ মো: ইযাসের’র মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহত ইয়াসেরের অন্ত:সস্ত¡া স্ত্রী ইয়াসমিন জানান, আমার অনাগত সন্তানকে কি জবাব দেবো তার ভাষা আমার নেই। আমি সন্ত্রাসীদের ২/৩ জনকে চিনতে পেরেছি, যারা কিনা আমার স্বামীকে ঘর থেকে ডেকে বের করে চোখের সামনে হত্যা করলো। তিনি স্বামী হত্যার বিকচার দাবী করেন।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি রনজিত কুমার বড়–য়া জানান, ঘটঁনায় জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এদিকে নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

Comment here