এক্সক্লুসিভক্রাইমসারাদেশ

ফের তুঙ্গে সীমান্তে হুন্ডি কারবার : অধরা শীর্ষ গডফাদার

আবুল কালাম আজাদ, টেকনাফ::
সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে পুনঃরায় শুরু হয়েছে জমজমাট হুন্ডি কারবার। ফলে মিয়ানমার থেকে আসছে ইয়াবার বড় বড় চালান। সুত্রে জানায়, ৩১ জুলাই কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কে মেজর সিন্হা মোঃ রাশেদ খান হত্যার পূর্বে টেকনাফের নামী, দামী ইয়াবা সম্রাট আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার ক্রস ফায়ার, মামলা, হামলা ইত্যাদির ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছিল। এর কারনে মিয়ানমারের সাথে হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেনকৃত ইয়াবার চালান প্রায় ঝিমিয়ে পড়েছিল বললেই চলে। মেজর সিনহা মোঃ রাশেদ খান হত্যার পর আইনশৃংখলা বাহিনীর আভিযানিক তৎপরতা একটু হ্রাস পেলে ঐ পলাতক ইয়াবা ও হুন্ডির সম্রাটগণ এলাকায় ফিরছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়। এই চিহ্নিত হুন্ডি ব্যবসায়ীরা এবারে তাদের বেষভুষা স্থান, ব্যবসার সাথে জড়িত অতিতের সকল কৌশল পরিবর্তন করে, নতুন কৌশল অবলম্বন করে পুনঃরায় বীরদর্পে হুন্ডি কারবার শুরু করেছে। বিভিন্ন এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই হুন্ডি ব্যবসায়ী গণ তাদের ব্যবসা চাঙ্গা এবং সুদৃঢ় করার প্রত্যয় নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আত্বীয়স্বজনদেরকে নামে বেনামে সম্পৃক্ত করে এই কারবার চালাচ্ছে। এই হুন্ডি কারবারীগণ ইয়াবার টাকার পাশাপাশি, টেকনাফ স্থল বন্দরে আসা কাটের টাকা, শাহপরীরদ্বীপ করিডোরে আসা গবাদিপশুর টাকাও হুন্ডির মাধ্যমে মিয়ানমারে পাচার করে বলে একাধিক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান। তবে লোক দেখানো কিছু হুন্ডি কারবারী ব্যাংকে গিয়ে বৈদেশিক শাখায় নামে মাত্র কয়েকটি ড্রাফট করে থাকে এমনটিও জানিয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী। হুন্ডি কারবারীদের মধ্যে কয়েক ভাগে বিভক্ত। এদের মধ্যে রয়েছে টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ করিডোরের গবাদিপশুর টাকা লেনদেন, স্থলবন্দরের কাঠের টাকা লেনদেন ও ইয়াবার টাকার লেনদেনের পৃথক পৃথক হুন্ডি কারবারী। এর মধ্যে করিডোরে ৫ জন, স্থল বন্দরে ৩জন ও ইয়াবার লেনদেনে একাধিক হুন্ডি কারবারী রয়েছে বলে জানা যায়। সচেতন মহলের মতে কতিপয় প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার নাকের ডগায় এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসলেও এদের প্রতি কোন আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ার কারনে প্রতিনিয়ত ইয়াবার বড় বড় চালান মিয়ানমার থেকে আসতে শুরু করেছে। সরকার প্রতিবছর, হুন্ডি কারবারের কারনে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হতে বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্্রই আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Comment here