টেকনাফ

বন পাহারাদার কালামের আয়ের উৎস কোথায়?

images
জিয়াউল হক জিয়া, হোয়াইক্যং ।
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং রেঞ্জের আওতায় গাছ চোরের উপদ্রব বাড়ছে।প্রতিদিন সংরক্ষিত বনের বিভিন্ন এলাকায় গাছ চোরেরা বন উজাড়, মাদারট্রি কেটে অবৈধ স‘মিলে স্তপ করলে ও সংশ্লিষ্ট বনের কর্মকর্তারা রহস্যজনক কারণে বেখবর। হোয়াইক্যং রেঞ্জের কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের সাথে চিহ্নিত গাছ চোরদের দহরম মহরম থাকায় গাছ চোরেরা বেপরোয়া বলে জানান সামাজিক বাগানের সভাপতি সহ বিভিন্ন উপকার ভোগীরা।
খবর নিয়ে জানা যায়, হোয়াইক্যং রেঞ্জের আওতায় রইক্ষ্যং বিটের পাশে বন বিভাগের লালিত একজন গাছ চোর রয়েছে। তার নাম আবুল কালাম। সে রইক্ষ্যং এলাকার মোঃ হোছনের পুত্র। গত সাপ্তাহ দু এক ধরে সংরক্ষিত বনের গর্জন(মাদার ট্রি) কেটে একবার পুলিশের হাতে, আরেকবার বিট অফিসারদের হাতে গর্জন গাছ সহ পর পর দুবার হাতে নাতে ধরা পড়ে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ২৪ অক্টোবর ২০১৬, ৫ নভেম্বর ২০১৬ গর্জন গাছ কাটার অভিযোগে পৃথক ২টি মামলা সহ প্রায় ১৮ টি বন মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। এত মামলা থাকার পরে ও রইক্ষ্যং বিট, হোয়াইক্যং রঞ্জের অফিসে উক্ত গাছ চোরের নিয়মিত আড্ডা এলাকাবাসীর মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জানা যায়, উক্ত আবুল কালামের সাথে হোয়াইক্যং এর কতিপয় প্রভাবশালী ব্যাক্তির উঠা বসা রয়েছে। ফলে আবুল কালাম বনে হত্যাযজ্ঞ চালালে ও পার পেয়ে যাচ্ছে নিমিষেই। হোয়াইক্যং ৬০ হেক্টর বাগানের সভাপতি মোঃ আবুল কাশেম (টপ) প্রকাশ মান সম্মান জানান, উক্ত আবুল কালাম আমাদের সামাজিক বনায়নের কম করে হলেও অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি করেছে। তার নেতৃত্বে রাতের অন্ধকারে এবং দিন দুপুরে বিটের সংশ্লিষ্টদের চোখে ফাঁকি দিয়ে ১৫/২০জনের চোরাই সিন্ডিকেট ৬০ হেক্টরের ব্যাপক গাছ কেটে বাগানের বারোটা বাজিয়েছে। এ ব্যাপারে আইনী ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলে ও জানান টপ কাশেম। রইক্ষ্যং এলাকার সামাজিক বাগানের উপকারভোগীরা সাংবাদিকদের জানান, উক্ত আবুল কালাম একজন বাগানের পাহারাদার হয়ে অল্প সময়ে এত জমি,টাকার মালিক হল কি ভাবে? এ আয়ের উৎস কোথায় ? বিষয় টি তদন্ত করলে প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে।

Comment here