রোহিঙ্গা সমাচার

মিয়ানমার রোহিঙ্গা ইতিহাস মুছে ফেলছে

ভিশন ডেস্ক :

মিয়ানমার রোহিঙ্গা ইতিহাস মুছে ফেলছে

রোহিঙ্গা, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠী। প্রজন্মের পর প্রজন্ম বসবাস করেও তারা এখন বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উদ্বাস্তু। মিয়ানমার তাদের নাগরিকত্ব স্বীকার করে না। ফলে প্রায়ই বিতাড়নে চলে সামরিক অভিযান। রোহিঙ্গা মুসলিম খেদানোর অস্ত্র হিসেবে সেনারা ব্যবহার করে খুন, ধর্ষণ ও বাড়িঘরে আগুন। এতে ফলও দিয়েছে, রাখাইনে এখন রোহিঙ্গারা ক্যাম্পবন্দি জীবন কাটায়। বিগত কয়েক দশকে জন্মভূমির চেয়ে বাইরে শরণার্থী হয়েই তাদের বেশিরভাগের বসবাস।

.

 

মিয়ানমার পরিকল্পিতভাবেই এই জনগোষ্ঠীর নাম-চিহ্ন মুছে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে, যার সর্বশেষ নজির গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে চালানো সামরিক অভিযান।

এই অভিযানে ৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশেই আশ্রয় নিয়েছে ৭ লাখের মতো রোহিঙ্গা মুসলিম।

জাতিগত নিধনের মাধ্যমে কিভাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করছে মিয়ানমার সরকার, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পোস্ট বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেটি তুলে ধরা হলো;

তিনি কলেজের রোহিঙ্গা ছাত্র সংসদের সদস্য, একটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ১৯৯০ সালে মিয়ানমারের জান্তার হস্তক্ষেপে বাতিল হওয়া সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীও হয়েছিলেন।

কিন্তু, মিয়ানমার সরকারের ভাষ্যে, দেশটিতে শিক্ষক ইউ কিয়াও মিনের এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কোনো অস্তিত্ব নেই।

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়নের শিকার সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠী হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। তাদের বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী বিপজ্জনক হিসেবে আখ্যায়িত করে মিয়ানমার। এখন তাদের বেশিরভাগই রাষ্ট্রহীন। তাদের পরিচয় স্বীকার করে না বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি।

রাখাইনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ইউ কিয়াউ সান হ্লা বলেন, ‘রোহিঙ্গা বলতে কোনো কিছু নেই। এটা ভুয়া খবর।’

সরকারি কর্মকর্তার এই অস্বীকার তত্ত্বে হতভম্ব শিক্ষক ইউ কিয়াও মিন, যিনি ৭২ বছর ধরে মিয়ানমারে বসবাস করে আসছেন। তার মতই রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে কয়েক প্রজন্ম ধরে স্বতন্ত্র জাতিগোষ্ঠী হিসেবে বসবাস করছে।

এখন মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংগঠনগুলো সতর্ক করে দিয়েছে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ইতিহাসের যেসব প্রমাণ রয়েছে, তা সামরিক অভিযানে মুছে ফেলা হচ্ছে।

জাতিসংঘও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানকে ‘জাতিগত নিধন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান শুরু করে মিয়ানমার। এ অভিযানে নিপীড়ন, হত্যাযজ্ঞ ও ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে প্রায় ৬ লাখ ২০ হাজার (প্রকৃত সংখ্যা প্রায় ৭ লাখ) মানুষ পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এভাবে দেশটির সেনাবাহিনীর সিসটেমেটিক গণহত্যা, ধর্ষণ ও বিতাড়তে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রায় দুই তৃতীয়াংশ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে শরণার্থী হয়েছেন।

চলতি বছরের অক্টোবরে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকার ভূমিতে থাকা সব চিহ্ন মুছে ফেলছে কার্যকরভাবে। এর মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গাদের নিজেদের গ্রাম ও ভূমিতে ফেরার পথ রুদ্ধ হচ্ছে, রোহিঙ্গারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের বাসিন্দা কিয়াউ মিন বলেন, ‘আমাদের দেশে রোহিঙ্গারা শেষ হয়ে গেছে। শিগগিরই আমরা সবাই হয় মরে যাব, নয় অন্য কোথাও চলে যাব।’

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাখাইনে সামরিক অভিযানের লক্ষ্যবস্তু শিক্ষক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতা এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রভাবশালী ব্যক্তি। এর মধ্য দিয়ে তারা রোহিঙ্গাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও জ্ঞান ধ্বংস করার পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে।

রোহিঙ্গা আইনজীবী ও সাবেক রাজনৈতিক বন্দি ইউ কিয়াউ হ্লা অং বলেন, ‘এখানে বসবাসকারী আমাদের নিজস্ব ইতিহাস ও ঐতিহ্য আছে।’

ইউ কিয়াউ হ্লা অং-এর বাবাও রাখাইনের রাজধানী সিতে আদালতের কেরানি হিসেবে কাজ করেছেন। এখন তার প্রশ্ন, ‘আমরা এদেশের কিছুই না, এই ভান তারা কিভাবে করতে পারে?’

ফোনে কিয়াউ হ্লা জানান, রাজনৈতিক সক্রিয়তার কারণে তাকে বেশ কয়েকবার কারাগারে যেতে হয়েছে। এখন সিতে ক্যাম্পে বাস করছেন তিনি।

কিয়াউ হ্লা জানান, তার পরিবারের কাছে যথেষ্ট খাদ্য নেই। কারণ, সরকার আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে ত্রাণ বিতরণে অনুমতি দিচ্ছে না।

রোহিঙ্গাদের নিয়ে মিয়ানমার সরকারের এই ‘স্মৃতিবিলোপ’ যেমন দৃড়, তেমনি পরিকল্পিত। পাঁচ বছর আগেও সিতে ছিল বঙ্গোপসাগর ঘেঁষা একাধিক জনগোষ্ঠীর শহর। সংখ্যাগরিষ্ঠ রাখাইন বৌদ্ধ সম্প্রদায় ও সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমরা পাশাপাশি মিলেমিশে বাস করতো।

কিয়াউ হ্লা বলেন, ‘২০০৯ সালেও আমি দেখেছি, জনাকীর্ণ বাজারে রোহিঙ্গা মৎস্যজীবীরা রাখাইন নারীদের কাছে তাদের মাছ বিক্রি করছেন। এখানে রোহিঙ্গারা আইনজীবী ও ডাক্তার হিসেবেও কাজ করতেন। শহরের প্রধান সড়কগুলোর পাশে ছিল মসজিদের আধিক্য। ঊনিশ শতকে আরবের আদলে নির্মিত জামে মসজিদও দেখা গেছে। এখানকার মসজিদের ইমামরা সিতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যতার কথা গর্ব করে বলতেন।’

কিন্তু, ২০১২ সালের জাতিগত দাঙ্গায় অনেক রোহিঙ্গা হতাহত হন। অনেকে বিতাড়িত হন। পরে শহরটিই মুসলিমশূন্য করা হয়। রাখাইনের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ১ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা যাদের নাগরিকত্ব ছিল, তাদের ক্যাম্পে রাখা হয়। তাদের জীবিকা কেড়ে নেওয়া হয়। বাদ দেওয়া হয় তাদের শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা।

কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে অন্য কোথাও যেতে পারেন না। চলতি বছরের জুলাই মাসে এক রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে সিতের আদালতে হাজির হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তাকে একদল উগ্র রাখাইন পথেই অপহরণ করে।

সিতের জামে মসজিদটি এখন অব্যবহৃত ও ধসে পড়ছে। কাঁটাতারে ঘেরা। মসজিদটির ৮৯ বছর বয়সী ইমামও রয়েছেন সরকারি ক্যাম্পে।

নিরাপত্তাজনিত কারণে নিজের নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষ হিসেবে আমাদের কোনো অধিকার নেই। এটা রাষ্ট্র পরিচালিত জাতিগত নিধন। এছাড়া আমাদের আর কিছুই বলার নেই।’

অবশ্য নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে সিতে শহরের মানসিকতাও মানিয়ে নিতে চলেছে। শহরটির প্রধান বাজারের আশপাশের রাখাইন বাসিন্দারাও মিথ্যা দাবি করেন, এখানে কোনো কালে মুসলিমদের মালিকানায় ছিল না।

সিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সময় কয়েকশ’ মুসলিম শিক্ষার্থী ছিলেন। এখন আছেন মাত্র ৩০ জন রোহিঙ্গা। এদের বেশিরভাগই আবার দূরবর্তী শিক্ষা কর্মসূচির অংশ হিসেবে অধ্যয়ন করছেন।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইউ শিয়ে খেং কাও দাবি করেন, ‘কোনো ধর্মের প্রতি আমাদের নিষেধাজ্ঞা নেই। কিন্তু, তারাই (রোহিঙ্গা) এখানে আসেন না।’

কিয়াউ মিন সিতেতে শিক্ষকতা করতেন। তার শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগ ছিলেন রাখাইন বৌদ্ধ। তিনি জানান, এখন ওই বৌদ্ধ শিক্ষার্থীরাই ইয়াঙ্গুনে তার সঙ্গে কথা বলতে বিব্রতবোধ করে।

কিয়াউ মিনের ভাষায়, ‘তারা আমার সঙ্গে দ্রুত কথা বলা শেষ করতে চায়। কারণ, তারা চায় না আমি কে বা কোথা থেকে এসেছি- এ বিষয়ে তাদের কোনো চিন্তা-ভাবনার উদ্রেক হোক।’

১৯৯০ সালে কিয়াউ মিন সংসদ নির্বাচনে রোহিঙ্গা পার্টি থেকে নির্বাচিত হন। এই দলটি মিয়ানমারের বর্তমান ক্ষমতাসীন অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করেছিল। কিন্তু, দেশটির সামরিক জান্তা ওই নির্বাচনের ফল বাতিল করলে কিয়াউ মিন কারাবন্দি হন।

রোহিঙ্গা মুসলিমরা কয়েক প্রজন্ম ধরে রাখাইনে বাস করেছেন। তাদের বাংলা উপভাষা ও দক্ষিণ এশীয় চরিত্রের কারণে রাখাইনের বৌদ্ধদের চেয়ে আলাদা মনে করা হয়।

ঔপনিবেশিক আমলে বার্মা হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ এশিয়ার ধনী কৃষক, ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মচারীদের বসতি গড়তে উৎসাহিত করেছে। নতুন আসা মানুষের অনেকেই রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিশে যায়। ওই সময় রোহিঙ্গা আরাকানি ভারতীয় বা আরাকানি মুসলিম হিসেবে পরিচিত ছিল।

পরে অনেকেই বার্মার অনেক স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৩০ সালে ইয়াঙ্গুনে দক্ষিণ এশীয় মুসলমান ও হিন্দুরা সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠীতে পরিণত হয়।

ভৌগলিক পরিবর্তনের কারণে অনেক বৌদ্ধ মনে করেন, তারা দখল হয়ে পড়ছেন। ভয়ঙ্কর জেনারেল নি উইন-এর প্রায় অর্ধশতাব্দীর সামরিক শাসনামলে কয়েক লাখ দক্ষিণ এশীয় বার্মা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যায়।

বার্মার পশ্চিমাংশ রাখাইনে ইসলাম ও বৌদ্ধ ধর্মের সংঘাত লেগেই ছিল, বিশেষ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে। কারণ, ওই যুদ্ধে রাখাইনরা অক্ষশক্তিকে, আর রোহিঙ্গারা মিত্রশক্তিকে সমর্থন দেয়।

পরে রোহিঙ্গাদের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী বার্মা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার চেষ্টা করেছিল। এরপর একদল বিদ্রোহী রোহিঙ্গা বার্মা ত্যাগ করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে চলে যেতে চায়, বর্তমানে যেটি বাংলাদেশ নামে পরিচিত। সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে তখন। ১৯৮০’র দশকে সামরিক জান্তা বেশিরভাগ রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়। সে সময়ের নিপীড়নেও অনেক রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়।

বর্তমানে নিজ জন্মভূমি মিয়ানমারের চেয়ে দেশের বাইরেই বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করে। তাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশ, পাকিস্তান, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়াতে। নিজেদের জন্মভূমির চেয়ে বাইরেই তাদের বেশি বসবাস।

মিয়ানমারের স্বাধীনতার শুরুর দিকে বিশিষ্ট রোহিঙ্গারা বেড়ে ওঠার সুযোগ পেয়েছিল। দেশটির শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ে রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের আলাদা একটি ইউনিয়নও ছিল।

স্বাধীনতার পর দেশটির প্রথম নেতা ইউ নুর মন্ত্রিসভাতেও একজন সদস্য ছিলেন রোহিঙ্গা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপালন করা সেই মন্ত্রীও নিজেকে আরাকান মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিতেন।

এমনকি জেনারেল নে উইনের সময়ও মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় বেতার থেকে রোহিঙ্গা ভাষায় অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হতো। সংসদে নারীদের প্রতিনিধিত্বও ছিল।

রাখাইনের বুথিডং শহরের রোহিঙ্গা উ শোয়ে মং ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সেনাবাহিনীর প্রক্সি দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির সদস্য ছিলেন তিনি। কিন্তু, ২০১৫ সালের নির্বাচনে তাকে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে সে সময় ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেওয়া হয়নি।

উ শোয়ে মংয়ের জেলা, যেখানে ৯০ শতাংশই রোহিঙ্গা। সেখানে বর্তমানে একজন রাখাইন বৌদ্ধ প্রতিনিধিত্ব করছেন।

এইতো আগস্টের সংঘাতের পরের মাস সেপ্টেম্বরে একজন স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা শো মংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ফেসবুকের মাধ্যমে উ শোয়ে মং সহিংসতা ছড়িয়েছেন।

মূলত তিনি রাখাইনে সেনাবাহিনীর নিধনযজ্ঞ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন। আর এই কারণেই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়।

উ শোয়ে মং নিজেও একজন পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসনে আছেন তিনি। নিজের বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মকর্তার আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

উ শোয়ে মং বলেন, ‘তারা সব রোহিঙ্গাকে সন্ত্রাসী এবং অবৈধ অভিবাসী বিবেচনা করে। কিন্তু, আমরা তেমন নই।’

Comment here