কক্সবাজার

মেরিন সিটি হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার এপেক্স ক্লাবের কর্পোরেট চুক্তি

মেরিন সিটি হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার এপেক্স ক্লাবের কর্পোরেট চুক্তি

বার্তা পরিবেশক।

এখন থেকে মেরিন সিটি হাসপাতালের কম খরচে বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা সেবা পাবেন এপেক্স ক্লাব অব রামুর সদস্যরা। এ সেবার আওতায় রয়েছেন এপেক্স ক্লাবের সদস্যদের তাদের বাবা-মা-স্ত্রী-সন্তানেরা।
সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে শহরের প্রবেশদ্বার লিংক রোড মেরিন সিটি হাসপাতাল। কর্পোরেট স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে হাসপাতালের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে রামু এপেক্স ক্লাব।
সোমবার রাতে (১৪ নভেম্বর, ২০২২) মেরিন সিটি হাসপাতালে সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষর হয়। হাসপাতালের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.এম.নাহিদুল ইসলাম ফাহিম ও রামু এপেক্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট জামাল হোছাইন চৌধুরী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এসময় মেরিন সিটি হাসপাতালের চেয়ারম্যান এ এম জি ফেরদৌস, হাসপাতালের এ.জি.এম.মোহাম্মদ ছলিম উদ্দীন সেলিম,এপেক্স ক্লাব অব রামু’র সেক্রেটারী এপেক্সিয়ান মাহবুবুল আলম ,রামু উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এপেক্সিয়ান আফসানা জেসমিন পপি,কক্সবাজার মহিলা কলেজের অধ্যাপক এপেক্সিয়ান শাহ আলম,রামু হিজারী উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এপেক্সিয়ান মাওলানা বখতিয়ার আহমদ,মানবাধিকার কমিশন রামু উপজেলা সভাপতি হাফেজ আহমদসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এপেক্সিয়ান এম.আলী আকবর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ বলেন, এপেক্সেশিয়ানরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। ব্যস্ততার কারনে নিজের শরীরের দিকে নজর দিতে পারেনা। এছাড়া ভেজাল খাদ্যের কারণে এপেক্সশিয়ান অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন। তাদের স্বাস্থ্য সেবায় মেরিন সিটি হাসপাতালের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান বক্তারা। তারা আরো বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে এপেক্স ক্লাবের সদস্যরা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষায় মুল্য হ্রাসের সুবিধা পাবেন।
মেরিন সিটি হাসপাতালের চেয়ারম্যান এজি এম ফেরদৌস বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণের স্বাস্থ্য সেবা দোড় গোড়ায় পৌঁছাতে এই হাসপাতালের সৃষ্টি। বিশেষ করে প্রসূতি মায়েদের জন্য ২৪ ঘণ্টা সেবা দেয়া হচ্ছে। কোনো সন্তান সম্ভবাকে নিয়ে হাসপাতালে গেলেই চিকিৎসকরা তার সিজার অপারেশনের তোড়জোর শুরু করেন। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম এই হাসপাতাল। প্রসূতি মায়েদের এখানে বিশেষ যত্ন ও নিবিড় সেবাদানের কারণে অনেকের কাছে হাসপাতালটি বিশেষ আকর্ষণের জায়গা হয়ে উঠেছে। দক্ষ চিকিৎসক, ধাত্রী ও নার্সদের সার্বক্ষণিক সেবা এবং অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানের কারণে হাসপাতালটিতে দিন দিন রোগীর ভিড় বাড়ছে। এখন থেকে এপেক্স ক্লাবের সদস্যদের আত্বীয় স্বজনরাও স্বল্প খরচে সেই সুযোগ পাবেন।
উল্লেখ্য, এপেক্স ক্লাবের সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতায় রামু বিভিন্ন এলাকায় গরীব ও দুস্থ মানুষের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করা হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে রামু এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় এ হাসপাতালের পক্ষ থেকে মেডিকেল ক্যাম্প করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে এপেক্স ক্লাবের সদস্যদেরকে এলাকার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এগিয়ে আসার আহবান জানান হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ।

Comment here