আন্তর্জাতিকএক্সক্লুসিভদৃষ্টিপাতরোহিঙ্গা সমাচার

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংগঠিত হচ্ছে সশস্ত্র টিম !

অনুসন্ধানী প্রতিবেদক  :
বাংলাদেশে গড়ে উঠা রোহিঙ্গা শিবির গুলোতে সশস্ত্র রোহিঙ্গা টিম সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ক্যাম্পের অভ্যান্তরে এ টিম গুলোকে আরসা বা আল-অ্যাকিন বলে থাকে। ফলে রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এসব টিমের। শিবিরের প্রতিটি ব্লকে রাত্রিকালিন পাহারাও চালু করেছে এরা। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর প্রথম দিকে আরসা নেতা ও সদস্যরা আত্বগোপনে ছিলো। আবার কেউ কেউ স্থান পরিবর্তন করে ক্যাম্পেও অবস্থান নিয়েছিলো। সম্প্রতি কয়েক মাসের মধ্যে ক্যাম্পের প্রতিটিন ব্লকে মিয়ানমারের মত গঠন করা হয়েছে কমিটি। ধর্ম প্রচারের নামেও এরা এক মসজিদ থেকে অন্য মসজিদে অবস্থান নিয়ে থাকে। ওখানে বসেই প্রয়োজনীয় শলাপরার্মশ করে থাকে এরা। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের সংঘবদ্ধ ছিলো। সেখান থেকে পালিয়ে আসার পর গ্রথম দিকে কৌশলী আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে পরে এরা ধীওে ধীরে শিবিরে আধিপত্য গ্রহন করে। ক্যাম্পের হেড মাঝি, ব্লক মাঝি ও সাব-মাঝি গুলোর ৯০ ভাগই আরসা সমর্থক বা সদস্য। তবে মিয়ানমারের প্রতিগ্রামের টিমলিডার  গুলো এখানে দায়িত্ব না নিয়ে আড়ালে থেকে কলকাঠি নাছড়ে। তবে ক্যাম্পের বিচার সালিস থেকে পান থেকে চুন খসে পড়া পর্যন্ত নিয়ন্ত্রন করছে আরসা সদস্যরা । এদিকে  ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর কুতুপালং ক্যাম্পে গড়ে তোলা হয়েছে আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এন্ড হিউমিনিটি (এআরএস) নামের একটি সংগঠন। মুহিব উল্লাহ হচ্ছে এ সংগঠনের প্রধান। ৫১ সসদ্যের কার্যকরী গঠিত হলেও এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩০০ জন। এ সংগঠনের নেতৃত্বে এখানে রোহিঙ্গারা ঐক্যবদ্ধ। এটি আরসার রাজনৈতিক রূপান্তর বলে অনেকে মন্তব্য করলেও সংগঠন প্রধান মুহিব উল্লাহ জানান “নিযার্তিত রোহিঙ্গাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শান্তিপূর্ণ ভাবে কাজ করছি আমরা। আমরা উগ্র কোন সংগঠনের পৃষ্টপোষকতায় কাজ করছি না। ক্যাম্পে শান্তি ও মানবিকতা বজায় রাখার শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছি। আর্ন্তজাতিক সংস্থা গুলোকে রোহিঙ্গাদেও নাগরিক অধিকারসহ মিয়ানমারে দ্রæত ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার তাগাদা দিয়ে যাচ্ছি। মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ যে আশ্রয় দিয়েছে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ও বাংলাদেশের জনগনের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ । ”
তবে সংগঠনকে বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মী নুর খান সহায়তা করে যাচ্ছেন বলে রোহিঙ্গা নেতারা এ প্রতিবেদককে জানান । রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে সশস্ত্র টিম গুলোর তৎপরতার কথা স্বীকার করে ত্রান শরনার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার মো: আবুল কালাম বলেন, চোর শুনে না ধর্মের কাহিনী স্টাইলে কিছু কিছু রোহিঙ্গা অপতৎরতা চালাচ্ছে। এরা পাহাড়ে অবস্থান নেন। সাধারণ রোহিঙ্গাদের উপর হামলে পড়ে সময় সুযোগ নিয়ে। এদের তৎপরতা সম্পর্কে সরকার ওয়াকিবহাল রয়েছে। সময় মত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আর্থিক ব্যবস্থাপনা :
সৌদি আরব, আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্থান, তুরস্কসহ বেশ কিছু মুসলিম দেশে অবস্থান রত রোহিঙ্গারা সেখানে গঠন করেছে আরসা’র কমিটি। বিশেষ করে মালয়োশিয়া ও সৌদি আরবে প্রতি সম্পাহে বৈঠক হয় আরসা কার্যকরী (সুরা) কমিটির। বৈঠকে অর্থ সংগ্রহ, হুন্ডির মাধ্যমে এখানে পাঠানো পর্যন্ত ব্যবস্থা করেন এ কমিটি। এ ছাড়া অস্ত্র বা গুলা বারুদ সংগ্রহ করে থাকে এই কমিটি। সোদি আরবের মক্কা নগরী রোহিঙ্গা নেতা মৌ; আবুল কালাম হায়দার নামের এক আধ্যাত্বিক নেতা রয়েছেন। আরসা প্রধান হাফেজ আতাউল্লাহ’র বিশ্বস্থ নেতা বা আমির হচ্ছেন তিনি। এরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আরসা নেতাদেরও কৌশলে মাসিক ভিত্তিতে বেতন প্রদান করে চলেছেন। বাংলাদেশের কিছু স্থানীয় ছোট ছোট সংস্থা, পুরানো রোহিঙ্গা, রাজনৈতিক কর্মীদেও ব্যবহার করছে এরা। এখানে বেশির ভাগ এনজিওতে আরসা সদস্যরা স্বেচ্চাসেবক ব্যানারে কাজ করছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংগঠন বিএনপি ও জামাতের কর্মীরা চাকুরীতে ঢুকে পড়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে এরা স্থানীয় ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ নেতাদেরও কৌশলে ভিড়িয়ে মানবতার কথা বলে সংগঠিত হচ্ছে আরসা। আরসা সদস্যরা বেতনের টাকা, বিচার সালিসের নামে অর্থ আদায়, এমনকি ইয়াবা’র মত মাদক ব্যবসায় জড়িত হয়ে ফান্ড তৈরী করছে। ইতিমধ্যে ক্যাম্পে সশ্বস্ত্র ক্যাডার টিম তৈরী করেছে। এ টিম গুলো ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের মধ্যে আধিপত্য রক্ষা করছেন। কেউ এদেও বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেই হত্যা করছে। এরা ইতিমধ্যে নিজেরা নিজেদের মধ্যে কৌশলে ঘটনা ঘটিয়ে ক্যাম্পে অস্থিরতা তৈরী করে। পরে এ অস্থিরতা প্রতিহত করার নামে গোপনে কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটির প্রধান হিসেবে বর্তমানে মিয়ানমারের মংডু ঝিমংখালী এলাকার মৌ: হামিদ হোসেন উখিয়ার বালূখালী ২ ক্যাম্পে (ফুটবল খেলার মাঠ ) ও কোয়ারবিল এলাকার খুরশিদের ছেলে নুরুল আলম প্রকাশ মাষ্টার আইয়ুব টেকনাফের উনিছিপ্রাং এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।
রোহিঙ্গা শিবিরে সশস্ত্র অপতৎপরতা :  এক বছর আগের সরকারের আশংকাই সত্যি
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের যুগ্ম সচিব ফরিদ আহম্মদ স্বাক্ষরিত ২০১৮ সালের ৫ মার্চ তারিখের একটি পত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপ গুলো মুলত আরসা সদস্য। এরা চুরি , ডাকাতি, চাদাঁবাজি, অপহরন , খুনসহ নানা অপরাধে জড়িত হয়ে পড়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক একাধিক এ ধরনের টিম সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এসব টিমের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এক বছর আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের দৃষ্টি আর্কষণও করা হয় সরকারী ওই পত্রে। তখনই আশংকা প্রকাশ করা হয় এসব সশস্ত্র টিম গুলোকে নিয়ন্ত্রন করা না গেলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে। তা ছাড়া রাস্ট্র বিরোধী জঙ্গি তৎপরতার আশংকাও প্রকাশ করা হয় ওই পত্রে। নিচে ক্যাম্পে তৎপর সশস্ত্র রোহিঙ্গা জঙ্গি টিম গুলোর তৎপরতার কিছু চিত্র দেওয়া হলো।
আবদুল হাকিম সিন্ডিকেট :

এ ধরনের সিন্ডিকেট গুলোর মধ্যে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের পশ্চিমের পাহাড়ে ৩০/৪০ জনের নেতৃত্বে রয়েছে দূর্ধষ ডাকাত সর্দার আব্দুল হাকিম। মিয়ানমারের মংডু বড় ছড়া এলাকার জানে আলমের ছেলে হাকিম। সে নিজেকে আল-অ্যাকিন-২ এর প্রধান বলেও ঘোষনা দিয়েছে। এ গ্রপটির মধ্যে বিদেশি পিস্তল, ভারী অস্ত্র, দেশিয় কাটা রাইফেল, ওয়াকিটকি জাতয়ি প্রযুক্তি রয়েছে। এ টিমটির মধ্যে টেকনাফের শামলাপুর, উখিয়ার কুতুপালং, বালূখালী, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, মিয়ানমার পর্যন্ত শক্ত অবস্থান রয়েছে। তাদের হাতে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ইউনিয়ন সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলামসহ ১৫/২০ জন মানুষ খুন হয়েছে। আব্দুল হাকিমের ভাই নজির আহমদ ওরফে আবুল হাসেম সম্পতি পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে টেকনাফে মারা যায়। এরপর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিরতা বাড়তে শুরু করে।
এ সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছে , কালাবদা মাঝি, কুতুপালং ডি-৩ ’র ঢালু মাঝি, ই-৩’র কামাল মাঝি, নয়া পাড়া ক্যাম্পের রশিদুল্লাহ, হারুন ও রফিক, লেদা অনিবন্ধিত ক্যাম্পের কালু ও শফিউল্লাহ।
কুতুপালং’র ওসমান সিন্ডিকেট :

আরসা সামরিক প্রধান হাফেজ আতাউল্লাহর ভ্য়ারা ভাই হিসেবে পরিচিত ওসমান এ বাহিনীর প্রধান। উখিয়ার কুতাুপালং ও বালুখালী ভিত্তিক এ সিন্ডিকেটের সদস্য সংখ্যা ২৫/৩০ জন। কুতুপালং এফ বøকের ফরিদ আলমের ছেলে ওসমান একটি ঔষধের দোকান পরিচালনা করে কৌশলে দায়িত্ব পালন করে থাকে। কুতুপালং বাজারে দোকান নির্মান বা ব্যবসা করতে হলেই এ টিমের অনুমতি লাগে। টাকা ছাড়া সেই অনুমতি পাওয়া যায়। না হয় দোকান করা যাবে না। এদের হাতে বিদেশী পিস্তল ও দেশয়ি তৈরী অস্ত্র রয়েছে। এ টিমের অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছে, বশর মিয়া, রফিক , হোন আহমদ , খাইরুল আমিন। ওসমানের চাচা শ্বশুড় আবু মুসা সম্পতি মিয়ানমার হতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত হয়ে বর্তমানে কুতুপালং এ চিকিৎসাধীন বলেও জানা গেছে।
বালূখালীর ইউনুছ সিন্ডিকেট :

উখিয়ার বালূখালী কেন্দ্রিক এ সিন্ডিকেটের প্রধান গত ২৭ অক্টোবর আটক হয়ে জেলে যায়। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে কাজ করছে বালূখালী আহমদ রহমানের পাহাড় নামের মোস্তাক আহমদের ছেলে নবী হোসেন। নবী হোসেনের ভাই ভুলু ওরফে ভুইল্লা অস্ত্র প্রশিক্ষক হিসেবে প্ররিচিত। এ সিন্ডিকেটের অপর সদস্য জাবের সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করে থাকে কারাগারে আটক থাকা টিম প্রধান ইউনুছের সাথে ভারপ্রাপ্ত দলনেদতা নবী হোসেনের মধ্যে। বালূখালী ও কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমের পাহাড়ের মাঠে এদের দুটি প্রশিক্ষন কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে রাত হতে ভোর পর্যন্ত কৌশলে বিভিন্ন প্রশিক্ষনসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে। তাদের অপর সহযোগী আইয়ুব হত্যা মামলা আসামী নুর কামালকে জেল হতে মুক্ত করে এদের শক্তি বাড়িয়েছে প্রæপটি। এ টিমের হাতে ভারি অস্ত্র রয়েছে বলে জানা গেছে।
নয়া পাড়ার নুর আলম সিন্ডিকেট :

আরসা সামরিক প্রধান হাফেজ আতাউল্লাহ’র ডান হাত হিসেবে পরিচিত নুর আলম অবস্থান করে টেকনাফের নয়াপাড়া শরনার্থী ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার করে আসলেও আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে সম্পতি বন্দুক যুদ্ধে মারা যায়। নয়া পাড়াতে ও লেদা অনিবন্ধিত ক্যাম্পে একাধিক স্ত্রী অবস্থান করায় নুর আলম দু’ ক্যম্পে সমান আধিপত্য বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছিলো। এ ছাড়া আরসা প্রধান হাফেজ আতাউল্লাহ’র সাথে ভিডিও তে নুর আলমকে ভারী অস্ত্র হাতে ডান পার্শ্বে দেখা যাওয়ায় তাকে সবাই সমিহ করতো। এ ছাড়া র‌্যাব-৭ এর হাতে আটক হয়ে নয়া পাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের লুন্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার, পরে জামিনে মুক্ত হওয়ায় তার শক্ত অবস্থান তৈরী করেছিলো আরসা ও রোহিঙ্গাাদের মাঝে। নুর আলমের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ওই দিন রাতে তার বাহিনীর সদস্যরা ক্যম্পে তান্ডব চালায়। প্রাণ হারায় ৩ জন প্রতিপক্ষ রোহিঙ্গা। এ সিন্ডিকেটের ২০/২৫ জনের অপর দু উপ-প্রধান হচ্ছেন মাষ্টার আবুল কালাম আজাদ ও খাইয়ুর আমিন। এ টিমটেই ২০১৬ সালের ১৩ মে ভোররাতে নয়াপাড়া শালবন আনসার ব্যারকে হামলা চালায়। খুন করে আনসার কমান্ডার আলী হোসেন কে। লুট করে নিয়ে যায়, ২টি এসএমজি, ৫ টি চায়না রাইফেল, ৪ টে শর্টগান ও ৬৭০ টি গুলি। পরে অবশ্য অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার কওে র‌্যাব-৭। এ টিমের অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছে নুরুল আলম, হাসেম, হাসান, জামাল, রুবেল, মাহামুদুল হাসান ও শুক্কুর।
এ ছাড়া নয়া পাড়া ভিত্তিক জহির সিন্ডিকেট , রহিমুল্লাহ  ও রাজ্জাক সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে।
লেদা’র রফিক, ছাদে বেলাল সিন্ডিকেট :

টেকনাফের লেদা কেন্দ্রিক বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেট কাজ করছে। এরমধ্যে রফিক সিন্ডিকেটের সাথে রয়েছে রহিমুল্লাহ, রফিক, শফিউল্লাহ। ছাদেক সিন্ডিকেটের সাথে রয়েছে কাসেম, সেলিম। দক্ষিন লেদায় রয়েছে বেলাল গ্রæপের অবস্থান। এ সিন্ডিকেটের অপর সদস্যরা হচ্ছে , রাসেল, সোনা মিয়া, হেলাল, নুরুল ইসলাম, জয়নাল, কামাল, জামাল হোসেন।
নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ফলে উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক অপরাধ, অস্ত্র ,মাদক পাচার, ও জঙ্গি তৎপরতার শংকা দেখা দিয়েছে। সশস্ত্র টিম গুলোর তৎপরতা আশংকা জনক ভাবে বৃদ্ধি পয়েছে। এ সমস্ত ক্যাম্পে আইন শৃংখলা বাহিনীর অবস্থান, নজরদারী প্রয়োজনের তুলনায় কম হওয়ায়। আরসা বা জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে যাবে তাতে সন্দেহ নেয়। বিষয়টি স্থানীয়দের জন্যতো বটেই আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাড়াতে পাড়ে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। জানা গেছে রোহিঙ্গা কেন্দ্রিক এসব সিন্ডিকেটের  সাথে স্থানীয়দের রয়েছে দহরম মহরম সম্পর্ক। এ সম্পর্কের জের ধরে যে কোন ধরনের রাস্ট্রবিরুধী কর্মতৎপরতা পরিচালনা অসম্ভব নয়।

Comment here