টেকনাফরোহিঙ্গা সমাচার

রোহিঙ্গা ‘বাদশা’র প্রাসাদে ওরা কারা ?


টেকনাফ প্রতিনিধি :

রোহিঙ্গা ‘বাদশা’র প্রাসাদে ওরা কারা। যারা কি না দিনরাত ডেরায় বসে সমাজ বিরোধী অপকর্ম পরিচালনা করছে। বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের অবাধ যাতায়াতে স্থানীয় অনেকের মনে সন্দেহ দেখা দিলেও প্রভাবশালী কতিপয় মহলের হাত থাকায় তাদের প্রতিরোধে সাহস পাচ্ছে না কেউ। ফলে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নারীদের আড্ডা বেড়েই চলেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিয়ানমার রাখাইনের মংডু মংনি পাড়ার রোহিঙ্গা বাদশা মিয়া বেশ কয়েক বছর আগে সীমান্ত পেরিয়ে টেকনাফ চলে আসে। এরপর শুরু করে ইয়াবাসহ মাদকে ব্যবসা। এ ব্যবসার সুত্র ধরে টেকনাফে গড়ে তুলে ইয়াবা সিন্ডিকেট। তার বিরোদ্ধে ইয়াবা পাচারের একাধিক মামলা হয়। কারাগারেও যায়। সিন্ডিকেট জামিনে নিয়ে আসে। সম্প্রাত রোহিঙ্গা বাদশা জমি কিনে দালান ঘর তৈরী করে টেকনাফ পৌর সভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাখুকখালী পাড়ার। তার বাড়িতে ঘরে তুলে ইয়াবা পাচারের কেন্দ্র। এখানে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছে উঠতি যুবক ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের যুবতি। ‘বাদশা’র প্রাসাদ এখন হয়ে উঠে ্িটনএজারদের মধুচন্দ্রিমা সেন্টার। আর এ সেন্টারের মূল দায়িত্ব পালন করছেন বালূখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইকবালের মেয়ে হালিমা খাতুন ওরফে খালেনি। এ নারী প্রতিনিয়ত ক্যাম্প হতে উঠতি নারী সরবরাহ করছে খাখুকখালী পাড়ার ‘ বাদশা’র ঘরে। এ ভাবে নারী ও ইয়াবা সেবন ও কিক্রিতে মত্ত হয়ে উঠে রোহিঙ্গা বাদশা মিয়া। বাদশা মিয়া এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ব্যবসায়িক কারনে আমার বাড়ীতে লোকজন আসে । অন্যকোন কারনে নয়। এদিকে টেকনাফ পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা বাদশাসহ আরো অনেকে টেকনাফ পৌর এলাকায় দালান ঘর তৈরী করে মাদক ও নারী পাচার অব্যাহত রেখেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দেওয়ার দাবী জানান তিনি।
এ বিষয়ে স্থানীয় পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলার এহতোশামূল হক বাহাদুর বলেন, এ ধরনের অভিযোগের বিষযটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Comment here