টেকনাফ

সংবাদ সম্মেলন টেকনাফ সদর ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজান : রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাই আমার পরিবারের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে

 

টেকনাফ প্রতিনিধি

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাই আমার পরিবারের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে

ছবি: কালের কণ্ঠ

কক্সবাজারের একটি স্থানীয় পত্রিকায় ‌’জনপ্রতিনিধিদের রাজত্ব ইয়াবা সাম্রাজ্যে’ প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জাতীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি শাহাজান মিয়া সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। ২১ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যায় পৌরসভার একটি হোটেলে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সংবাদ হচ্ছে সত্য প্রকাশ এবং গনতন্ত্রের অন্যতম মাধ্যম। আমার বাবা জাফর আহমদ নৌকা প্রতীক নিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। বর্তমানে আমার বাবা টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তিনি উখিয়া-টেকনাফ আসনের সরকার দলীয় এমপি আবদুর রহমান বদির আস্থাভাজন বিধায় কতিপয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিভিন্ন সংবাদপত্রে ধারাবাহিক মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে আসছে। প্রকাশিত সংবাদটিও উক্ত ধারাবাহিকতার একটি অংশ।

উল্লেখ্য যে, আমার বাবা জাফর আহমদ তৃনমুল থেকে নিজ কর্মদক্ষতা ও সমাজ সেবার মাধ্যমে টেকনাফ সদর ইউপি থেকে চারবার ইউপি সদস্য ও এর ধারাবাহিকতায় উক্ত ইউনিয়নের জনসাধারণ বিপুল ভোটে চেয়ারম্যানও নির্বাচিত করে। সত্য ও ন্যায় বিচারের প্রতি আস্থা এবং টেকনাফ উপজেলাব্যাপী প্রবল জনপ্রিয়তায় ২০১৪ সালে বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তাকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। তাহার জনপ্রিয়তায় ছেলে হিসেবে আমি ২০১৬ সালে ২২ মার্চ সদর ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচনে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই।

তাছাড়া ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উখিয়া-টেকনাফ আসনে আমার বাবা অক্লান্ত পরিশ্রম করে বর্তমান সাংসদ আবদুর রহমান বদির পক্ষে নির্বাচনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।

আমার বাবা টেকনাফ উপজেলা পরিষদের আইন-শৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা। আমি সেই কমিটির একজন সদস্য। সেই সুবাদে টেকনাফ উপজেলা ব্যাপী মরণ নেশা ইয়াবা নির্মূলে প্রশাসনের সহযোগী হয়ে শুরু থেকে এই পর্যন্ত ইয়াবা বিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রমে সহযোগীতা করে আসছি। এ কারণে প্রকৃত ইয়াবা গডফাদার ও তাদের পৃষ্ঠপোষকরা আমার পরিবারের বিরুদ্ধে কতিপয় গণমাধ্যম কর্মীদের ব্যবহার করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এতে আমার পরিবারকে সামনে এনে প্রকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আড়াল করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।এছাড়া আমার বড় ভাই হাজী মোস্তাক আহমদ দীর্ঘ দুই বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। যার জন্য আমার পরিবারসহ গোটা টেকনাফবাসী আজ পর্যন্ত শোকাহত। প্রকাশিত সংবাদে আমার নিখোঁজ ভাইকে জড়িয়ে ও তার ছবি ছাপিয়ে হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় যে, প্রকাশিত নিউজটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দৈনিক কক্সবাজারের মত স্বনামধন্য পত্রিকা ষড়যন্ত্রকারীদের হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যম হবে তা আমি এবং আমার পরিবার সচেতন জেলাবাসী কখনো কামনা করে না। ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কথিত তালিকার ব্যাপারে আমি এবং আমার পরিবার অবগত নন। তবে সচেতন টেকনাফবাসী জানেন আমি এবং আমার পরিবারের কোনো সদস্য ইয়াবার সঙ্গে জড়িত নয় এবং জড়িত ছিল না। তাই আমি উক্ত মানহানিকর সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এ ধরনের মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ পরিহার করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহবান জানাচ্ছি।

অন্যথায় এ ধরনের ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশিত হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ, সহসভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা জহির হোসেন এম এ, পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি মনজুরুল করিম সোহাগ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবু অং চৌধুরী, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল্লাহ, উপজেলা তাঁতী লীগের আহবায়ক আবদুর রহমান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

Comment here