অন্যান্য

সাবরাংয়ে বখাটে সন্ত্রাসীদের অত্যাচার ও নানা অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয় মানুষ ! প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
টেকনাফে স্থানীয় বখাটে সন্ত্রাসীদের অত্যাচার ও নানা অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয় সাধারণ মানুষ। এমন অভিযোগ উঠেছে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং সিকদার পাড়া এলাকার কতিপয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এমন গুরুতর অভিযোগে টেকনাফ মডেল থানায় ১০ জনকে এজাহার নামীয় আসামী করে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা করেছেন একই এলাকার মাও: আবদুল গফুরের ছেলে হেলাল উদ্দিন। মামলা নং- ১১ তারিখ-: ০৫/০২/২০২১ইং। থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, মাও: আবদুল গফুর এর মালিকানাধীন জমিতে ৪ ফেব্রুয়ারী সকালে দেশীয় ধারালো অস্ত্র স্বশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া সিরাজ ও ফারুক এর নেতৃত্বে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা চালায়। এসময় বাদীর পিতা ভয়ে আতংকিত হয়ে পালানোর চেষ্টা করলে মাও: আবদুল গফুরকে অন্যান্য আসামী নাজির, নুরুল আমিন, জাফর, জাহেদ হোসন, এহসান, রবিউল, জামাল, মসনসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন তাকে আটকে রেখে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করে । তখন তাহার চি’কারে ফয়াজ এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে মারধরের আঘাতে আহতরা অজ্ঞান হয়ে পড়লে মৃত ভেবে মাঠিতে ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পরদিন আবারও উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধ হয়ে মাও: আবদুল গফুরের বাড়ীতে গিয়ে মামলা প্রত্যাহার ও মুরগীর ফার্ম দখলের হুমকি দেয় এবং ৫লাখ টাকা চাদাঁ দাবী করে বলে জানায় মাও: আবদুল গফুরের পুত্র মো: ফয়াজ। তিনি জানান তাহারা গুরুতর আহত থাকায় হাসপাতালে চিকি’সাধীন থাকাকালে মুরগীর ফার্মে তালা রাগিয়ে সন্ত্রাসীরা এলাকায় মহড়া দিতে থাকে এবং ফার্মের কর্মচারীদের হত্যার হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। ৯ ফেব্রুয়ারী হাসপাতাল থেকে আসিয়া কর্মচারীসহ নিজ মালিকানাধীন মুরগীর খামারে গিয়ে তালা ভাংগিয়া প্রবেশ করিলে খবর পেয়ে পূর্ব থেকে উ”পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা আবারও সংঘঠিত হয়ে অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করে রাখে এবং মামলা প্রত্যাহার ও দাবীকৃত টাকা কেন আদায় করেনি বলে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। তাকে উদ্ধার করিতে সাথে থাকা কর্মচারী ইউনুছ ও জাবের এগিয়ে আসলে তাদেরও মারধর করে গুরতর আহত করে। এঘটনায় ও মসন (৪৫), ফারুক(২৮), সিরাজ(৩২), এহসান(২২), নুরুল আমিন(৪২)সহ অজ্ঞাত ৫/৭জনের বিরুদ্ধেথ মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় মো: ফয়াজ। তিনি আরো জানান, ঘটনার পর হতে মুরগীর ফার্মে তালা লাগিয়ে দেওয়ায় প্রানের ভয়ে কর্মচারীরা মুরগীর পরিচর্চা পানি ও খাদ্য দিতে না পারায় আনুমানিক ১০ লাখ টাকা মুল্যের প্রায় একহাজার ব্রয়লার মুরগী মারা যায়। এবং এভাবে থাকলে ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি আশংকা রয়েছে।
মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা ও টেকনাফ মডেল থানার এসআই মো: মহিউদ্দিন নাছরুল্লাহ রুবেল জানান, মারামারির ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একজনকে আটক করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের ও আটকের অভিযান চলছে বলে জানায় ।

Comment here