আন্তর্জাতিকজাতীয়রোহিঙ্গা সমাচার

সীমান্ত পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে ঘুমধুমে বিজিবি ডিজি মেজর জেনারেল মোঃ আবুল হোসেন অতিরিক্ত ১৫ হাজার বিজিবির সদস্য এখানে বাড়ানো হচ্ছে : বাংলাদেশের আঘাত আসলে সমোচিত জবাব দেওয়া হবে


জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, কক্সবাজার :
মিয়ানমারের সহিংসতায় সীমান্তে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বিজিবির মহা পরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ অভ্যান্তরে অনুপ্রবেশ কঠোর হস্তে দমন করা হবে। কোন রোহিঙ্গা যাতে বাংলাদেশ অভ্যান্তরে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য বিজিবি করণীয় সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। কোন সীমান্ত অরক্ষিত থাকবেনা। সীমান্ত প্রহরায় জোরদার করতে অতিরিক্ত ১৫ হাজার বিজিবির সদস্য এখানে বাড়ানো হচ্ছে। গত রবিবার (২৭ আগস্ট) বিকাল ৪ টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গা ও সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে ঘুমধুম বিজিবি ফাড়িঁতে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন বিজিবির মহা পরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন।
তিনি বলেন, “আমরা ( বাংলাদেশের মানুষ) বীরের জাতি। আমরা যুদ্ধ করে এদেশ স্বাধীন করেছি। স্বাধীন দেশের ফসল আমরাই ভোগ করবো। কোন অপশক্তিকে এদেশের ভুখন্ড অনৈতিক ভাবে ব্যবহার করতে দেবোনা। যেকোন সন্ত্রাসীর অপকর্ম আমরা রুখে দিতে প্রস্তুত। নতুন আসা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দিতে পররাষ্ট্র নীতির মাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে। নতুন করে কোন রোহিঙ্গার অস্তিত্ব আমরা দেখতে চাইনা। ”
এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, মিয়ানমারের সরকারের কাছে আনান কমিশন রির্পোট দিয়েছে, বাংলাদেশ মনে করে মিয়ানমার সরকার তা বাস্তবায়ন করবে। তিনি গনমাধ্যম কর্মীদের আহবান জানিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে শুধু এপারের ঘটনা প্রকাশ করলে হবেনা, পাশাপাশি মিয়ানমারের অভ্যান্তরিন ঘটনাা প্রবাহও তুলে ধরতে হবে।
সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে বিভিন্ন পয়েন্টের সেন্ট্রি পোষ্ট গুলোর আধুনিকায়ন এবং টেকসই মজবুত করা হবে। বাংলাদেশের ভুখÐে কোন বিদেশী নাগরিককে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাতে দেওয়া হবেনা বলেও পুনরোল্লেখ করেন বিজিবি ডিজি মোঃ আবুল হোসেন।
এসময় বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ বণিক, বিজিবি কক্সবাজারস্থ সেক্টর কমান্ডার ৩১ বিজিবি নাইক্ষ্যংছড়িস্থ অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আনোয়ারুল আজিম, কক্সবাজারস্থ ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মনজুরুল হাসান খান, টেকনাফস্থ ২বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এসএম আরিফুল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামাল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রাজা মিয়া, ঘুমধুম ইউপির চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ, সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তা, বিজিবির পদস্থ কমান্ডার গণ উপস্থিত ছিলেন।

Comment here