টেকনাফসারাদেশ

হ্নীলা উলুচামরী কোনার পাড়ায় ইয়াবা সহোদরের উৎপাতে অতিষ্ঠ মানুষ

বিশেষ প্রতিবেদক:
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের উলুচামরী কোনার পাড়ার ইয়াবা সহোদর সিন্ডিকেটের উৎপাতে এলাকার জনসাধারণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ভূক্তভোগী জনসাধারণ এই ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা কামনা করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের উলুচামরী কোনার পাড়ার মৃত আব্দুস শুক্কুরের পুত্র দেলোয়ার হোসাইন প্রকাশ চেট্টাইয়া নাফনদীর কিনারাস্থ চৌধুরী পাড়ায় এক রাখাইন পরিবারে মৎস্য প্রজেক্টের পাহারাদার হিসেবে চাকুরী করে। ঐ প্রজেক্টে চাকরী করার সুবাদে মিয়ানমারের নাগরিকদের সাথে পরিচয়ের সুত্রধরে সখ্যতা গড়ে উঠে। এর পরই সে ইয়াবা চালান খালাসের পথে পা দেয়। জড়িয়ে পড়ে ইয়াবা চোরাচালান। এই কাজে সহযোগী হিসেবে তার ভাই ধইল্যা যোগ দেওয়ায় এই দুই সহোদর মিলেই গড়ে তোলে ইয়াবার রমরমা বাণিজ্য। ইতিপূর্বে এই ইয়াবার চালান খালাস করতে গিয়েই উক্ত সহোদর সীমান্ত রক্ষী বিজিবি জওয়ানদের ধাওয়ায় পালাতে বাধ্য হয়। এখন পুলিশের হাত থেকে রেজাই পেতে পালিয়ে বেড়ালেও দিনের বেলায় তাদের দাপটে এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গত ১৫/২০ দিন আগে এই চক্রের ইয়াবার চালান বহনে অস্বীকৃতি জানানোয় একই এলাকার আবুল কাশেমের পুত্র জসিমকে চুরিকাঘাত করে। নজির আহমদের পুত্র আকতার হোসাইন প্রকাশ কালাপুতু, হাজী রহমত আমিনের মেয়ে জুবাইদা বাঁধা দিয়ে কোন প্রকারে রক্ষা করে। তাদের বাড়ি ৬নং ওয়ার্ডে হলেও এখন ৭নং ওয়ার্ডের রঙ্গিখালী লামার পাড়ায় ইয়াবার টাকায় টিন শেড বিল্ডিং করে বসবাস করে আসছে। এখন তারা ইয়াবা চোরাচালানে সংশ্লিষ্ট রয়েছে। স্থানীয় সাধারণ মানুষ এই চক্রের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। এই ব্যাপারে অভিযুক্ত দেলোয়ারের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এই ব্যাপারে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার অফির্সাস ইনচার্জ মোঃ মাইন উদ্দিন জানান, মাদক চোরাচালানে জড়িতদের কোন প্রকারে রেহাই দেওয়া হবেনা। ভূক্তভোগী জনসাধারণ এই ব্যাপারে তদন্ত স্বাপেক্ষে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্র আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Comment here