টেকনাফসারাদেশ

হ্নীলা গুলফরাজ-হাশেম ফাউন্ডেশনের ১৮তম বৃত্তি পরীক্ষা উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন

হেলাল উদ্দিন: হ্নীলা গুলফরাজ-হাশেম ফাউন্ডেশনের ১৮তম আন্ত:উপজেলা বৃত্তি পরীক্ষা উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।
জানা যায়, ২২ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় হ্নীলা হাইস্কুল প্রাঙ্গনে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয়, সাংগঠনিক ও হ্নীলা হাইস্কুলের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সকাল ১০টায় হ্নীলা হাইস্কুল হলরোমে ১৮তম আন্ত:উপজেলা গুহাফা বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হয়। এতে উপজেলার ৪র্থ শ্রেণীতে ২৭টি প্রাইমারী স্কুলের ১শ ৮২জনের মধ্যে ৭জন, ১৫টি এবতেদায়ী ও নুরানী মাদ্রাসার ১শ ১১জনের মধ্যে ৬জন এবং ৭ম শ্রেণীতে ১৬টি হাইস্কুলের ১শ ২২জনের মধ্যে ৮জন এবং ৭টি মাদ্রাসার ৪৬জনের মধ্যে ৯জন অনুপস্থিত রয়েছে। মোট ৪শ ৬১জনের মধ্যে ৩০জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন হল পরিদর্শন করেন টেকনাফ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মৌলানা রফিক উদ্দিন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এমদাদ হোসেন চৌধুরী, হ্নীলা গুহাফা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সফিক আহমদ বিকম, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ জামাল আহমদ, সদস্য মৌলভী ফরিদ আহমদ, হাজী আবুল কালাম, মৌঃ নুরুল ইসলাম, কামাল আহমদ, হ্নীলা হাইস্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহবুব মোরশেদ, পরীক্ষা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য কায়সার উদ্দিন আহমদ ও মৌলভী শাকের আহমদ প্রমুখ। পরীক্ষা চলাকালীন অংশ-গ্রহণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমুহকে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে বিশেষ র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
উক্ত পরীক্ষায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেন ফাউন্ডেশন পরিচালনা কমিটির সদস্য কফিল আহমদ, হল সুপারের দায়িত্ব পালন করেন সদস্য মাওলানা এসএম সাইফুল্লাহ ও হল সচিবের দায়িত্ব পালন করেন হ্নীলা হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এসএম আব্দুস সালাম। শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এইবারের জি.এইচ.এফ বৃত্তি পরীক্ষায় বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বর্ধিতহারে নগদ অর্থ ও বিশেষ পুরস্কার সামগ্রী প্রদানের সুব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৮সালে প্রতিষ্ঠার পর হতে হ্নীলার গন্ডি পেরিয়ে সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের প্রত্যন্ত এলাকায় শিক্ষা বিস্তার, চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং দরিদ্র জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে গৌরবের ২০বছরে পদার্পণ করেছে। এই ব্যাপারে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ডাঃ জামাল আহমদ জানান, মা-বাবার ইচ্ছেই ছোটকাল থেকে জনসেবার স্বপ্ন দেখতাম। আল্লাহর রহমত ও সকলের দোয়া এবং সহায়তায় আমি স্বপ্ন পূরণ করতে পারায় মহান আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করছি। জনসেবা ও সামাজিক উন্নয়নে এই ফাউন্ডেশনের সাথে থাকার জন্য মানবসেবা প্রেমি সকলের নিকট আহবান জানাচ্ছি।

Comment here