উখিয়াক্রাইম

অবিবাহিত যুবকের লালসায় ভেংগে গেলো সৌদি প্রবাসীর সংসার

উখিয়ার এক অবিবাহিত যুবকের লালসায় ভেংগে পড়েছে এক সৌদি প্রবাসীর সংসার। দু সন্তানের জননী সখিনা বেগম (ছদ্ম নাম) স্বামীর অর্বতমানে বসবাস করছেন টেকনাফে। স্বামীর অবর্তমানে প্রায় সময় আত্বীয়তার সুযোগে উখিয়া থেকে টেকনাফ আসা যাওয়া করতো উক্ত যুবক। এক পর্যায়ে লালসা জমে প্রবাসীর স্ত্রীর প্রতি। বিভিন্ন ভাবে প্রলুদ্ধ করতে থাকে। প্রায় নয় বছর ধরে আত্বীয়তা ও পরিচয়ের সুত্র ধরে দু’জনের মধ্যে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। শুধু তাই নয় সম্প্রতি এরা স্বামী-স্ত্রীর মত বসবাস ও চলাফেরা করতে থাকে। স্বামীর অবর্তমানে প্রবাসীর স্ত্রীও অবিবাহিত যুবকের প্রেমে হাবুডুবু খেতে থাকে। যুবকও আশা দিয়ে থাকে সখিনাকে বিয়ে করে ঘরে তুলবে। এভাবে চলতে থাকে বেশ কয়েক বছর। এ ফাকেঁ সখিনার স¦ামী সৌদি প্রবাসী সলিম উল্লাহ ঘটনা জানতে পারেন। এবং এক পর্যয়ে স্ত্রীকে মৌখিক ভাবে তালাক দিয়ে বিদেশ হতে মাসিক খরচের টাকা প্রদান বন্ধ করে দেয়। এ বিষয়ে সৌদি প্রবাসী সলিম উল্লাহ বলেন, ‘ আমার অবর্তমানে আত্বীয়তার সুযোগে সুখের সংসারটা তছনছ করে দিলো। এখন তো আমি চোখে সর্ষে ফুল দেখছি।’
ঘটনা চাউর হয়ে গেলে যুবকটি টেকনাফের সখিনার ঘরে আসা যাওয়া বন্ধ করে দেয়। শুধু তাই নয় উখিয়া বাজারের কমিউটার কম্পোজের দোকান ও চাকবৈঠা গ্রামের নিজ বাড়িতে ঠিকমত সময় দিচ্ছে না। উখিয়াতে গিয়েও খোজঁখবর পাচ্ছে না প্রেমিকা সখিনা। এতে উভয় সংকটে পড়ে সে। এ বিষয়ে প্রবাসীর স্ত্রী সখিনা জানান, ‘আত্বীয়তার সুযোগে আমার সাথে সম্পর্ক তৈরী করে শফিকুর রহমানের ছেলে মোবারক হোসেন। বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মত সময় কাঠিয়েছে। আমার কাছে তার মোবাইল ভয়েস কল রেকডিং, ছবিসহ বেশ কিছু প্রমান রয়েছে। এখন সে আমার অসময়ে পালিয়ে বাচঁতে চায় । ’ তিনি আরো বলেন, তার ব্যবহৃত মোবাইল (০১৮২১০৯৪৩৯০) বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ গত ১৬ মার্চ সে টেকনাফ থেকে চলে যায়। এরপর থেকে সে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এভাবে থাকলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করতেও পিছপা কবো না ’
এ বিষয়ে মোবারক হোসেনের মোবাইল বন্ধ খাকায় বারবার কল দেওয়ার পরও কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Comment here