জাতীয়

আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৪ বছর পূর্তি আজ

আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৪ বছর পূর্তি আজ

স্টাফ রিপোর্টারঃ
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৪ বছর পূর্তি আজ। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন করে টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে আওয়ামী লীগ। আর তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা এই সরকার দেশ পরিচালনায় পঞ্চম বর্ষে পদার্পণ করবে আগামীকাল ৭ জানুয়ারি।গোটা বিশ্ব আজ এক অস্থিতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। ২০১৯ সালের শেষ দিকে করোনা ভাইরাস মহামারির কবলে পড়ে বিশ্ব।
২০২০ এবং ২০২১ এই দুই বছরে বিশ্ব অর্থনীতিতে এক গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। অনেক দেশের অর্থনীতিতে ধস নামে। বাংলাদেশের অর্থনীতিও ক্ষতির মুখে পড়ে।
করোনা ভাইরাস মহামারির সেই ক্ষতি কাটিয়ে যখন আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল, ঠিক তখনই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধের প্রভাব কোনো একক দেশের গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বব্যাপী।
শেখ হাসিনার সরকারকেও সেই যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগের দাবি, সরকার দক্ষতার সঙ্গেই সেটি করে যাচ্ছে।অপরদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময়োচিত পদক্ষেপ গ্রহণ করে করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের প্রাণহানি যেমন কমাতে পেরেছেন, তেমনি অর্থনীতিকে সচল রাখতে সক্ষম হয়েছেন। শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব আর কৌশলী অবস্থানের কারণেই বাংলাদেশ আজ নবপরিচয়ে পরিচিতি পাচ্ছে।আওয়ামী লীগের বক্তব্য, ১৪ বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। আজকের বাংলাদেশ আত্মপ্রত্যয়ী বাংলাদেশ।
বিশ্বমানের যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু মেগা প্রকল্প। গত জুন মাসে স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে। এই সেতু দক্ষিণাঞ্চলের ১৯ জেলাকে রাজধানী ঢাকা এবং দেশের অন্য অংশের সঙ্গে সড়কপথে সরাসরি যুক্ত করেছে। রাজধানী ঢাকায় চালু হয়েছে মেট্রোরেল। আগামী মার্চে চালু হতে যাচ্ছে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত টানেল।
এছাড়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র, এক্সপ্রেসওয়ের মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নেও বাংলাদেশ তার সক্ষমতা প্রমাণ করছে। খাদ্যেও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আর দেশের এই বিস্ময়কর সাফল্যের কারিগরই হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বাংলাদেশ খাদ্যশস্য-উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। মাথাপিছু আয় ৫৪৩ ডলার থেকে ২ হাজার ৮২৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। সাক্ষরতার হার ৪৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৫ শতাংশ। মাতৃমৃত্যু এবং শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে। অক্টোবর মাসে উদ্বোধন করা হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ পায়রা সেতু।গত নভেম্বরে দেশের ২৫টি জেলায় ১০০টি সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে এবং স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে আওয়ামী লীগ। এজন্য প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।

Comment here