সারাদেশ

আড়াই শতাধিক স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে সম্মাননা

টেকনাফ ভিশন ডেস্ক:দেশের আড়াই শতাধিক স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে সম্মাননা প্রদান করেছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ১০ বার রক্তদানের মাধ্যমে সিলভার ক্লাব এবং ২৫ বার রক্তদানের মাধ্যমে গোল্ডেন ক্লাবের সদস্যপদ অর্জনকারী স্বেচ্ছা রক্তদাতাদেরকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা বলেন, বাংলাদেশে রক্তের চাহিদার এক-পঞ্চমাংশ পূরণ করছেন স্বেচ্ছা রক্তদাতারা। রক্তদানের এ কাজের ব্যাপ্তি অনেক। স্বেচ্ছা রক্তদানের মাধ্যমে মমতারই প্রকাশ ঘটিয়েছেন তারা। মানুষকে নিয়মিত রক্তদানে উৎসাহিত করতে পারলে পেশাদার রক্তদাতাদের রক্ত বাদ দিয়ে পুরোপুরি চাহিদা মেটানো সম্ভব।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, জীবন বাঁচানোর জন্যে রক্তের কোনো বিকল্প নেই। আর যারা স্বেচ্ছা রক্তদানের সঙ্গে জড়িত, তারা আসলে মানুষের জীবন রক্ষাকারী বড় কাজের সঙ্গেই জড়িত।

রক্তদাতাদের অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের রক্তদানের এই কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর প্যালিয়েটিভ কেয়ারের প্রধান অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পরস্পরের প্রতি মমতা। স্বেচ্ছা রক্তদানের মাধ্যমে এ মমতারই প্রকাশ ঘটান রক্তদাতারা।

তিনি আরও বলেন, রক্তদাতারা সম্মাননার জন্যে রক্ত দান করেন না। তাদের ভালোবাসার জায়গা থেকে, মমতার জায়গা থেকে রক্তদান করেন। এ মমতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রক্তের চাহিদা পূরণ করে একদিন বাংলাদেশে কোনো পেশাজীবী রক্তদাতার কাছ থেকে এক ব্যাগ রক্তও নিতে হবে না।

সম্মাননা অনুষ্ঠানে নিয়মিত রক্তদাতা সামিনা মুস্তারিন ও থ্যালাসেমিয়া রোগী নিলুফার ইয়াসমিন তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক মাদাম নাহার আল বোখারী সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বলেন, রক্তদাতাদের এই নীরব দানের প্রতিদান পৃথিবীর কোনো কিছু দিয়েই মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। এ দান পৃথিবীর মানুষের পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়। পরম প্রভুই এর প্রতিদান দিতে পারেন।

উল্লেখ্য, ২০০০ সালে কোয়ান্টাম ল্যাব প্রতিষ্ঠার পর এ পর্যন্ত ৮ লক্ষ ৪২ হাজার ১৯৭ ইউনিট রক্ত সরবরাহ করা হয়। রক্তের বিভিন্ন উপাদান বিভাজনের মাধ্যমে ২০০৩ সাল থেকে কোয়ান্টাম রক্তের ৮টি উপদান সরবরাহ করে আসছে। এই প্রক্রিয়ায় এক ব্যাগ রক্ত থেকে প্রয়োজনে ৪ জনের জীবন বাঁচানো সম্ভব।

Comment here