টেকনাফ

ইয়াবা পাচারে এখনো সক্রিয় হাসানের পারিবারিক সিন্ডিকেট!


টেকনাফে থামছে না ইয়াবা পাচার। একের পর এক বন্দুক যদ্ধে হাফ ডজন পাচারকারীর প্রাণ গেলেও কৌশলে পাচালিয়ে যাচ্ছে অকেকেই। এর মধ্যে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের জাহালিয়া পাড়ার মোহাম্মদ হাসানের নেতৃত্বে একটি পারিবারিক সিন্ডকেট সক্রিয় রয়েছে। জানা যায়, স্থানীয় মৃত হাফেজ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ হাসান স্ত্রী, সমুদা খাতুন, শ্যালক ফাহাদ, শফিক ও ভায়রা কক্সবাজারের জাফরসহ একটি পারিবারিক সিন্ডকেট রয়েছে। হাসানের স্ত্রী সাবরাং বাহারছড়া এলাকার নুর হোসেনের মেয়ে। সাবরাং খুরের মুখ মেরিন ড্রাইভ ও বঙ্গোপসাগর উপকূল কেন্দ্রিক এ সিন্ডিকেটে জড়িত রয়েছে হাসানের শ্বশুড় বাড়ীর লোকজন। সেখান হতে ইয়াবা খালাস করে পরে টেকনাফ জাহালিয়া পাড়া হয়ে চলে যায় কক্সবাজার। কক্সবাজারে রয়েছে হাসানের স্ত্রী সমুদার বোন ইয়াসমিন ও বোনের স্বামী জাফর। এরা কক্সবাজার হতে ইয়াবা সরবরাহ করছে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা কেন্দ্রিক সিন্ডিকেট বরাবরে। এভারে বেশ কয়েক বছর ধরে পারিবারিক সিন্ডিকেট ইয়াবা পাচার অব্যাহত ভাবে চালিয়ে কাড়ি কাড়ি টাকার মালিক হয়েছে হাসানের পরিবার। একটি সুত্র মতে হাসানের হাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক পিস্তল। ইয়াবা পাচার নির্বিঘœ করতে সে অনেক সময় প্রকাশ্যে অস্ত্রও প্রদর্শন করে থাকে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে হাসান বেশ কয়েকবার আটক হলেও আবার জামিনে বের হয়ে ঠিকই ইয়াবা পাচার অব্যাহত রেখেছে। গত কয়েক সপ্তাহে টেকনাফে শুধু পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে অন্তত ৬ জন চিহ্নিত মাদক কারবারীর প্রাণ হানী ঘটলেও পাচার কার্যক্রম বন্ধ না হওয়া সত্যিই উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
তারা এ ব্যপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ইয়াবা সিন্ডিকেটের কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য দাবী জানিয়েছেন।
এদিকে মোহাম্মদ হাসান দাবী করেছেন সে ইয়াবা পাচার মামলায় কয়েকবার আটক হওয়ার পর আর পাচার কাজ করেন না।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক এবিএমএস দৌহা জানিয়েছেন, এ ধরনের অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

Comment here