রোহিঙ্গা সমাচার

উখিয়া- টেকনাফে চার দালাল ও ৬৮ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ : টেকনাফ সীমান্তে ১১৬ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকিয়েছে বিজিবি

জাবেদ ইকবাল চৌধুরী , টেকনাফteknaf-pic-23-11-2016
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে মিয়ানমার ১১৬ রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার র্গাড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ২৩ নভেম্বর বুধবার সকাল ৯ টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা আনোয়ার প্রজেক্ট সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা কালে তাদের আটক করা হয়। আটক মিয়ানমার নাগরিকরা রাইম্যাবিল, বড় গজুবিল ও ছোট গজুবিল এলাকার বলে জানা গেছে। ২ বর্ডার র্গাড ব্যাটালিয়ন উপ-অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল সিদ্দিকী জানান, বৃহস্পতিবার সকালে টেকনাফের হ্নীলা সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে বিজিবি টহলদল নাফনদী সীমান্তে ১১৬ রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক হয়। এদের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ, ৪৬ জন নারী ও ৫৭ জন শিশু বলে জানায়। আটক রোহিঙ্গা নাগরিকদের মানবিক সহযোগিতা দেওয়ার পর রাতেই স্বদেশে (মিয়ানমার) ফেরত পাঠানো হয় বলেও জানান তিনি । এদিকে দেশের অভ্যন্তরে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযান শুরু করে পুলিশ। বুধবার ভোরে দুই দালালসহ ১০ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আব্দুল মজিদ জানান, ২৩ নভেম্বর বুধবার ভোররাতে তার নেতৃত্বে পুলিশের কয়েক টিম টেকনাফের হোয়াইক্যং ও হ্নীলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা পাচারের সহযোগিতাকারী দুই দালাল ও রোহিঙ্গাসহ ১০ জন আটক করা হয়। আটককৃতরা হল, দালাল টেকনাফ হোয়াইক্যং লম্বাবিল এলাকার আবু শামার ছেলে শাহ আলম(২৮) ও হ্নীলার জাদিমুড়া এলাকার হাজী আব্দুল মোনাফের ছেলে উসমান গণি(৩৫)। মিয়ানমার মংডু কেরি পাড়ার শাহ আলম, একই এলাকার আবু তাহের, আব্দুল হামিদ, নূর কবির, মংডু চিংজির পাড়া এলাকার একরাম উদ্দীন, জিয়াবুল, ইয়াছিন আরফাত ও মোঃ ইয়াছিন। আটক দালালের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করে আটক রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানায়। ওসি আরও জানায়, রোহিঙ্গা আটকে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে হ্নীলা ও হোয়াইক্যং এ পুলিশের পৃথক টিম কাজ করছে। এছাড়া শরনার্থী ক্যাম্প ও লেদায় নজরদারী বাড়ানো হয়। কোন রোহিঙ্গা আশ্রয় নিতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ থাকার আহবান জানায়। তাছাড়া রোহিঙ্গা অবস্থানে খবর পুলিশকে অবগত করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। বিজিবি সূত্রে জানাযায়, গত মঙ্গলবার বিজিবির উচচ পর্যায়ের এক বৈঠকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নতুন করে অতিরিক্ত ৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তাছাড়া নদীতে বিজিবি কর্মকর্তার নেতৃত্বে ৪টি পেট্রোলিং স্পিড বোড সার্বক্ষনিক টহলে থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির সীমান্তে সর্তক অবস্থান ও সর্বদা তৎপর রয়েছে বলে জানায়।
উখিয়ায় দালালসহ ৬২ জন অনুপ্রবেশকারি রোহিঙ্গা আটক
কক্সবাজারের উখিয়ায় দালালসহ ৬২ জন অনুপ্রবেশকারি রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার ভোর সকালে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ১৩জন পুরুষ ১৫জন নারী ও ৪৩জন শিশু রয়েছে। আটককৃত রোহিঙ্গা মিয়ানমারের আমিয়াব জেলার মংডু থানার জাম্বুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। এরা প্রত্যেকেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন পুলিশকে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আবুল খায়ের জানান, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের উলুবনিয়া ও থাইংখালীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করে কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে দিকে আসছিল। এসময় উখিয়া থানা পুলিশের একটি টহলদল তাদের আটক করে। পরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আটক রোহিঙ্গাদের বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করার কথা জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

 

 

 

Comment here