কক্সবাজারক্রাইমসারাদেশ

কক্সবাজার সদরে জামাতার ছুরিকাঘাতে শ্বশুর নিহত, ঘাতক আটক

মো.শাহাদত হোছাইন।।
কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা জানারঘোনা এলাকায় জামাতার
ছুরিকাঘাতে শ্বশুর আজিজুল হক নিহত হয়েছে। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে ঘাতকের স্ত্রী সোনিয়া আকতার। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ঘাতককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিহত আজিজুল হক কক্সবাজার সদরের
ঝিলংজা ইউনিয়নের ফুটখালী এলাকার গুরা মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে ঝিলংজা ইউনিয়নের ফুটখালী এলাকায় এঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয়রা জানান, কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের ফুটখালী এলাকার হাসেম উল্লাহ দম্পত্তির সম্প্রতি দুই জমজ শিশু জন্ম দেয়। জমজ শিশু অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত মঙ্গলবার একশিশু মারা যায়। তাকে দাফনও করা হয়।

স্থানীয়রা আরও জানান, আজ শুক্রবার অন্য শিশুটিও মারা যায়। শিশুর লাশ নিয়ে বাসায় ফিরলে শ্বশুর-শ্বাশুড়ী জামাতার বাড়ীতে দেখতে আসেন।
এতোদিন দুই জমজ শিশু হাসপাতালে ভর্তি থাকায় কেনো দেখতে যায়নি, তা নিয়ে জামাতা- শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এঘটনায় শ্বশুর আজিজ তার জামাতাকে মারধর করে। এতে ক্ষুদ্ধ জামাতা একপর্যায়ে তার শ্বশুরকে তিনটি ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, ঘটনায় ঘাতকের স্ত্রী সোনিয়া আকতারও গুরুতর আহত হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শিশুর লাশ বাসায় পড়ে আছে। অন্যদিকে, শ্বশুরের লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য খুদরত উল্লাহ সিকদার বলেন, দুই দিনের ব্যবধানে হাশেম উল্লাহ দম্পতির জমজ দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এই নিয়ে জামাতা ও শ্বশুরের মধ্যে বাকবিতন্ডার জেরে এঘটনা ঘটেছে। শ্বশুরের লাশ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে ও শিশুর লাশ ঘরে পড়ে আছে এবং শিশুর মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, জামাতার ছুরিকাঘাতে শ্বশুর খুন হয়েছে। ঘাতককে আটক করা হয়েছে। নিহত শ্বশুরের লাশ জেলা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Comment here