ক্রাইম

ক্যাম্পে সন্ত্রাসী শফি গ্রুপের খপ্পরে বৌ! রোহিঙ্গা বিয়ে করে ঘুরপাক খাচ্ছে স্হানীয় যুবক

টেকনাফ প্রতিনিধি :

টেকনাফে রফিকা বেগম নামের এক রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ে করে ঘুরপাক খাচ্ছে স্হানীয় যুবক খোরশেদ আলম। শুধু তাই নয় ক্যাম্পে পিতার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের পড়েছে। তাদের হুমকিতে কয়েকমাস ধরে বৌ আর আসছে স্বামীর ঘরে। এ নিয়ে সমাধানের আশায় সংশ্লিষ্টদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে উক্ত যুবক।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বিগত প্রায় ৫ (পাঁচ) বছর পূর্বে হৃীলা নয়াপাড়া, মোচনী রেজিষ্টার ক্যাম্পের আব্দুর রহমানের মেয়ে রফিকা বেগমকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের নতুন পল্লান পাড়ার নবী হোছনের ছেলে খোরশেদ আলম বিয়ে করে।
বিয়ের কয়েক বছর পর অনেকটা নিজের ইচ্ছামত উশৃঙ্খল আচরণ শুরু করতে থাকে। এতে বাধা দিলে স্বামীকে উল্টো বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি সহ হুমকি ধমকি প্রদান করে। একপর্যায়ে ৪ জুলাই সন্ধ্যা ৭ টার দিকে স্ত্রী রফিকা স্বামীর নিজ বসত বাড়ী থেকে তালা দিয়ে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ২ (দুই) ভরি ওজনের স্বর্ণ নিয়ে পিতার বাড়ীতে চলিয়া যায়।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে শশুর বাড়ির স্বজনরা উল্টো রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের দ্বারা প্রাণ নাশ করার হুমকি দেয়। এবং স্ত্রীর সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ করতে দিচ্ছে না।
এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে শনিবার (১৪)
টেকনাফ মডেল থানার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানান ভুক্তভোগী খোরশেদ আলম। তিনি আরো জানান, স্ত্রীর ভাই ওমর ফারুক একটি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী শফি গ্রুপের সক্রিয় সদস্য।
এ ঘটনার বিষয়ে রফিকা বেগমের পিতা আব্দুর রহমান জানান, ” স্বামীর সাথে সমস্যা হয়েছে তাই ক্যাম্পে চলে এসেছে। কিন্তু এখানে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। যা প্রকাশ করা জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ”
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্তমান প্রধান সন্ত্রাসী হচ্ছে মোহাম্মদ শফি। সে সি ব্লকের দিল মোহাম্মদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। সেই শফির সাথে রয়েছে রফিকার ভাই ওমর ফারুকের বন্ধুত্ব। সেই সুযোগে সন্ত্রাসী শফি তাদের বাড়িতে যাতায়াত করছে এবং বন্ধুর বোন রফিকার সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে গেছে। এতে কেউ ভয়ে মুখ খুলছে না ভয়ে।
বর্তমানে শালবন ও নয়াপাড়া ক্যাম্পের মধ্য যত খুন-খারাপি হচ্ছে এ সব গুলো মধ্য শফি গ্রুপ জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়
ডাকাত জকিরের মৃত্যুর পর এখন পযর্ন্ত শালবন ও নয়াপাড়া ক্যাম্পে রোহিঙ্গা মৌলভী শাকেরকে খুনসহ যত হত্যা ও অপহরণ হয়েছে সব গুলোতে জড়িত এই মোহাম্মদ শফি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী গ্রুপ গুলো দমনে বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) তৎপর রয়েছে বলে জানান কক্সবাজার ১৬ এপিবিএন অধিনায়ক (এসপি) তারিকুল ইসলাম তারিক।

Comment here