টেকনাফরোহিঙ্গা সমাচার

ক্যাম্প পুলিশের সহায়তায় বসত ঘরের ১০টি গাছ কর্তন ! রোহিঙ্গাদের জন্য বন বিভাগের পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ : বাধা দেওয়ায় পুলিশি হয়রানির অভিযোগ


টেকনাফ প্রতিনিধি :
টেকনাফে বন বিভাগের জমিতে রোহিঙ্গাদের জন্য রাস্তা নির্মাণ কাজ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত মঙ্গলবার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তা নির্মাণকারীদের পক্ষ নিয়ে বসত ঘরের গাছ কাটতে সহায়তা করায় রহস্যেও জন্ম নিয়েছে। নয়া পাড়া শরনার্থী ক্যাম্প ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম সরকারী ভাবে বন বিভাগের জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে দাবী করেছে। তবে বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছে এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেনা। সরকারের দুটি দপ্তরের পরস্পর বিরুধী বক্তব্য স্থানীয়দেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। জানা যায়, গত ২৫ আগষ্ট সীমান্ত অতিক্রম করে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এরমধ্যে একটি অংশ বসতি গড়েছে টেকনাফের নয়া পাড়া মোড়া পাড়া শালবন এলাকায়। সম্প্রতি সেখানে যাতায়াতের জন্য একটি রাস্তা নিমার্নে হাত দিয়েছে জাতিসংঘ শরনার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। সংস্থাটি এটি নিমার্ণে কন্ট্রাক্ট দিয়েছে উখিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টি’র সভাপতি নুরুল আমিন ভুট্টোকে। তিনি স্থানীয়দের ম্যানেজ করে সরকারী বন বিভাগের অনুমতি না নিয়ে রাস্তা নির্মাণ শুরু করে। এক পযার্য়ে গত বুধবার বেশ কয়েক বছর ধরে বসবাসকারী কালা চান, মো: সেলিমসহ কয়েকজন স্থানীয় বাংলাদেশীদেও বাড়ী ঘরের জমি দখলে নিয়ে রাস্তা নিমার্ণেও প্রচেষ্টা চালায়। এতে তারা বাধা প্রদান করে। এতে ঠিকাদারের লোকজন নয়া পাড়া পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ কবির আহমদসহ একদল পুলিশ এনে স্থানীয় স্থানীয় আবুল হাসেম, আবুল বশরের সহযোগিতায় বসত ঘরের ১০/১২ গাছ কেটে ফেলে। এবং বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে ওই স্থানে রাস্তা নির্মাণ আপাতত বন্ধ রাখে ঠিকাদারের ম্যানেজার শিখর।
এ প্রসংগে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ক্যাম্প ইনচার্জের নিদেশে তিনি সেখানে গিয়েছেন। জমি কার তিনি জানেন না। রাস্তা কারা নির্মাণ করছেন তাও তিনি জানেন না। তবে তিনি স্থানীয়দেও হুমকি প্রদান করেননি বলে জানান। নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের ইনচার্জ ও নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট সাইফুল ইসলাম জানান, সরকারী ভাবে সীদ্ধান্ত হয়েছে। সে অনুসারে ইউএনএইচসিআর রাস্তা নির্মাণ করছে। স্থানীয়দেও গাছ কাটা হয়েছে কিনা তিনি জানেন না। তবে এ রাস্তা নিমার্নে বন বিভাগের অনুমোদন আছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি অন্যান্য এলাকায় যেভাবে হচ্ছে এখানে তাই হচ্ছে বলে জানান। বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বন বিভাগের জমি, সামাজিক বনায়নের কাঠ কেটে রাস্তা হ্েচ্ছ তিনি তা জানেন না। বিষয়টি তিনি সরেজমিন পরিদর্শণ করে প্রয়োজনীয় নেওয়ার কথাও জানান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: আলী বলেন, রাস্তা নিমার্নেও আগে স্থানীয়রা ক্যাম্প ইনচার্জকে লিখিত সম্মতি দিয়েছেন। এখন কেন রাধা প্রদান করছে তা বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে কালা চানেঁর স্ত্রী খতিজা বেগম জানান, রাস্তা নিমার্ণে জন্য আমাদের দখলীয় জমি থেকে এক হাত জায়গা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে কাগজ নিয়েছে। কিন্তু ৪ টি গাছ কেটে ফেলেসে বসত ঘরে। বছওে একটি গাছ থেকে ১০/১৫ হাজার টাকার আম বিক্রির টাকা পেতাম। এখন আমাদের যে ক্ষতি করা হলো তা কিভাবে পূরণ হবে ।
তবে মোবাইল ফোনে সরকারী বন বিভাগের জমিতে অনুমোদন বিহীন রাস্তা একটি আর্ন্তজাতিক সংস্থা কিভাবে অনুমোদন দিলো বা স্থানীয়দেও ক্ষতির মূখে ফেলে কেনো রোহিঙ্গাদেও জন্য এ আয়োজন এমন প্রশ্নের জবাব মেলেনি এইএনএইচসিআরের পক্ষ থেকে। একটি সুত্র জানিয়েছে স্থানীয় বিএনপি নেতা নুরুল আমিন চৌধুরী যে কিনা ওই এলাকার সামাজিক বনায়ন কমিটির সভাপতি তাকে ম্যানেজ করেই রাস্তা নিমার্নেও কাজে হাত দিয়েছে ঠিকাদার। বিএনপি’র ওই নেতার জমি রক্ষা, পুকুর রক্ষাসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষযটি ইউএনএইচসিআরের মাথার উপর দিয়ে কৌশলে ফয়সালা করতে জাইল্লা ঘাটা দিয়ে সোজা সড়ক থাকার পরও কৌশলে বিকল্প পথ তৈরী করে টাকার বাজেট মোটা করেছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। যদিও বা তিনি এসব বিষয় অস্বীকার করেছেন।

Comment here