ক্রাইমটেকনাফ

টেকনাফের উলুবনিয়ায় ইয়াবা ব্যবাসায়ীর বাড়িতে পুলিশ পরিচয়ে হানা ! মিয়ানমারের বিভিন্ন মালামাল জব্দ


টেকনাফ প্রতিনিধি[]
টেকনাফের উলুবনিয়ায় ইয়াবা ব্যবসায়ীর বাড়িতে পুলিশ পরিচয়ে হানা দিয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে মিয়ানমারের বিভিন্ন মালামাল । স্থানীয়রা ধারণা করছেন প্রচুর পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে ফিরুজের বাড়ি থেকে। তবে হাতেনাতে পেয়েও রহস্যজনক কারণে কাউকে আটক করা হয়নি বলেও জানা গেছে
জানা যায়, ২০ ডিসেম্বর গভীর রাতে একদল নামধারী পুলিশ হোয়াইক্যংয়ের উলুবনিয়ায় মনিরুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী ফিরুজ আহমদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মিয়ানমারের মালামাল জব্দ করে। পাশাপাশি ইয়াবাও উদ্ধার করেছে বলে স্থানীয়রা জানান। এসময় পরিচয় দানকারী পুলিশ জব্দকৃত তালিকায় স্থানীয় আব্দুল আজিজ ও রিদুয়ানসহ আরো কয়েক জনের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেওয়া হয়।
আব্দুল আজিজ বলেন, গভীর রাতে একদল পুলিশ মনির ও তার ছেলে ফিরুজের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মিয়ানমারের সিগারেটসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করে। পরে আমাদেরকে ডেকে একটি কাগজে স্বাক্ষী স্বরুপ সাক্ষর নেয়। এ সময় বাড়ির মালিক মনিরুল ইসলামের ছেলে তৈয়বের কাছ থেকেও স্বাক্ষর নেওয়া হয়। এই অভিযান সম্পর্কে উলুবনিয়াবসী ওয়াকিবহাল রয়েছে। পাশাপাশি চলছে এলাকায় নানা মুখরোচক আলোচনা।
এ ব্যাপারে টেকনাফের হোয়াইক্যং ফাঁড়ী পুলিশ ইনচার্জ এসআই রাজিব পোদ্দার ওই এলাকায় কোন অভিযান পরিচালনা করা হয়নি দাবী করে বলেন, নতুন এসেছি ওই এলাকায় সম্পর্কে এখনো অবগত নয়। তবে ওই এলাকার পাশে কাটাখালীতে রাতে বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান করেছিলাম।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফিরুজ আহমদ মৎস্য চাষী থেকে ইয়াবা ব্যবসার বদৌলতে কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। স্থানীয়রা জানান বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ফিরুজ আহমদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। ফিরুজের দাদা মৃত ফজল আহাম্মদ মিয়ানমার থেকে বিয়ে করে এবং ফিরুজের মাতা গোলবাহার বেগমও মিয়ানমারের কোয়ানচিবং এলাকার বাসিন্দা। ফিরুজের নানার বাড়ী মিয়ানমারের হওয়ায় সে প্রতিনিয়ত ওই পারে আসা যাওয়া করে। পাশাপাশি তার বাড়ির সীমান্তে হওয়ায় গড়ে তোলা বিশাল ইয়াবা সিন্ডিকেট। তার সিন্ডিকেটের লোকজন ইয়াবা বহন করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রেরণ করে থাকে। ইয়াবা ব্যবাসা জোরেশোরে চালিয়ে নেওয়ার সময় তার ভাই সরওয়ার কামাল ইয়াবাসহ হাতেনাতে পুলিশের হাতে ধৃত হয়। সে জামিনে এসে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমায়।
এ ব্যাপারে ফিরুজ আহমদ জানান, তিনি রাতে বাড়িতে না থাকায় বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তিনি ইয়াবা ব্যবাসায় করেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, ইয়াবা ব্যবাসায় কে না করে বা কারা খায়না উল্টো প্রশ্ন করে মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন।

Comment here