কক্সবাজারকুতুবদিয়াটেকনাফমহেশখালীসারাদেশ

টেকনাফের শফিউল্লাহসহ ৭ ইয়াবা পাচারকারীর ৮ বছর কারাদন্ড

কক্সবাজার প্রতিনিধি:
এক লক্ষ পিচ ইয়াবা পাচারের দায়ে ৭ জন পাচারকারীর প্রত্যেককে ৮ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থ দন্ড, অনাদায়ে আরো ৩ মাসের অতিরিক্ত কারাদন্ডাদেশ প্রদান করা হয়েছে। সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজারের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-মাহমুদুল হাসান এ রায় প্রদান করেন। একই আদালতের এপিপি এডভোকেট এ.কে ফজলুল হক চৌধুরী সিবিএন-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ হলো-কক্সবাজার শহরের মধ্যম নুনিয়াছটায় শামশু কোম্পানির বরফ কলের পূর্ব পার্শ্বে বাঁকখালী নদীর পাড়স্থ ঘাটে ২০১৪ সালের ৩ নভেম্বর বিকেল ৪ টার দিকে র‍্যাব-৭ এর একটি টিম এক অভিযান চালিয়ে এক লক্ষ পিচ ইয়াবা টেবলেট সহ ৮ জন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে। পরে এ ঘটনায় র‍্যাব-৭ এর ডিএডি মনির আহাম্মদ চৌধুরী বাদী হয়ে এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করে। যার কক্সবাজার সদর মডেল থানার মামলা নম্বর : ৮/২০১৪, তারিখ ৪/১১/২০১৪ ইংরেজি, যার জিআর মামলা নম্বর : ৯২৪/২০১৪ ইংরেজি ও এসটি মামলা নম্বর : ১৯২০/২০১৫ ইংরেজি। মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা সহ ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন, জেরা, যুক্তিতর্ক শেষে কক্সবাজারের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-মাহমুদুল হাসান ৮ জন আসামীর মধ্যে ৭ জনের প্রত্যেককে ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) টেবিলের ১৯(খ) ধারায় দোষী সাব্যস্থ করে ৮ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থ দন্ড, অনাদায়ে আরো অতিরিক্ত ৩ মাসের কারাদন্ডাদেশ প্রদান করে রায় ঘোষনা করেন।

রায়ে আসামী মহেশখালীর গোরকঘাটার এরাশাদ উল্লাহ’র পুত্র মোঃ বাবরকে মামলার দায় থেকে খালাস দেওয়া হয়। রায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো-(১) মোঃ ইলিয়াছের পুত্র মোঃ দিদার প্রকাশ দিলদার (২) মৃত আবদুর রহমানের পুত্র মুজিবুর রহমান (৩) মোঃ নুর ইসলামের পুত্র মোঃ জিয়াউর রহমান (৪) মৃত মুজিব উল্লাহ’র পুত্র নুরুল বশর (৫) মৃত অলি আহমদের পুত্র মোঃ লাল মিয়া। এ ৫জনের বাড়ি মহেশখালী উপজেলার দক্ষিণ চর পাড়ায়। (৬) টেকনাফের উত্তর লেঙ্গুর বিলের নুর মোহাম্মদ পুত্র মোঃ শফি উল্লাহ এবং (৭) কক্সবাজার সদর উপজেলার সমিতি পাড়ার মৃত শফি উল্লাহ’র পুত্র হোসেন আহমদ। মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক (সাধারণ), সিনিয়র আইনজীবী ও এপিপি এডভোকেট এ.কে ফজলুল হক চৌধুরী। আসামী পক্ষে ছিলেন, এডভোকেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা।

Comment here