টেকনাফসারাদেশ

টেকনাফে অস্থিরতার সুযোগে পাহাড় ও টিলা কেটে বিলীন করছে প্রভাবশালীরা

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম : টেকনাফে সীমান্তে রোহিঙ্গাদের নিয়ে প্রশাসনে ব্যস্থতার সুযোগে সীমান্ত জনপদ আবারো সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন টিলা ও পাহাড় কাটা চলছে অবাধে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কতিপয় অসাধু কর্মী ও ভিলেজারদের সাথে এই জনপদের কতিপয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও ইয়াবা গডফাদারদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ যোগসাজশে এই উৎসব চলছে।
জানা যায়, উপজেলার উপকূলীয় দক্ষিণ বাহারছড়ার শীলখালী, শামলাপুর পুরানপাড়া, মনতইল্যা, সদর ইউনিয়নের নাইট্যং পাড়া,পুরান পল্লান পাড়া, জাহালিয়া পাড়া, ফকিরা মোরা পাহাড়, নুর আহমদের ঘোনা, শিয়াইল্যা ঘোনা, চাইল্যাতলী, উপকূলীয় বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালীপাড়া, কচ্ছপিয়া, হাজমপাড়া, বড় ডেইল, মাথাভাঙ্গা, পিনিজভাঙ্গা, হোয়াইক্যং দৈংগ্যাকাটা, মুলাপাড়া, লম্বাবিল, রইক্ষ্যং, কুতুবদিয়াপাড়া, কাঞ্জর পাড়া, নয়াপাড়া, মিনা বাজার, নয়া বাজার, পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়া, পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া, রোজার ঘোনা, কম্বনিয়া পাড়া, হ্নীলার মরিচ্যাঘোনা, রোজার ঘোনা, আলী আকবর পাড়া, ভিলেজার পাড়া, পশ্চিম পানখালী, পূর্ব পানখালী, পশ্চিম সিকদার পাড়া, মইন্যারজুম, উলুচামরী, লেচুয়াপ্রাং, রসুলাবাদ, রঙ্গিখালী, আলীখালী, লেদা, মোচনী, নয়াপাড়া, জাদিমোরা ও দমদমিয়ায় নতুন করে বসতি স্থাপন এবং চাষাবাদের জমি তৈরীর জন্য পাহাড় ও টিলা কাটা অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন সুত্র থেকে এসব কাজে জড়িত রয়েছে স্থানীয় বর্তমান ও সাবেক জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, প্রভাবশালী ও কিছু এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা করে কোটিপতি বনে যাওয়া ইয়াবা গডফাদারদের সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ উঠেছে। এই কাজে স্থানীয় কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তি, বর্তমান মেম্বার ও সাবেক মেম্বার, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এসব কাজ হচ্ছে। বন বিভাগের উপর মহলের চাপে লোক দেখানো অভিযান হলেও পরবর্তীতে কিছু ভিলেজার এবং বনকর্মীদের সাথে আতাঁতের কারণে পাহাড় কাটা বন্ধ হয়না।
টেকনাফের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার প্রণয় চাকমা জানান,পাহাড় কাটার সংবাদ পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিন্তু মালিক পক্ষ হাজির না থাকায় তা বন্ধ করার জন্য ২ দিনের সময় প্রদান করেন। এছাড়া টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় কাটার বিষয়ে অতীতের মতো অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এই ব্যাপারে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আলী কবির জানান, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে পাহাড় কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বস্থ করেন।
কক্সবাজারের পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাইফুল আশরাফ বলেন, প্রশাসনের ব্যবস্থাতার কারণে পাহাড় কাটার সত্যতা স্বীকার করে তিনি শীঘ্রই এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Comment here