টেকনাফরাজনীতিসারাদেশ

টেকনাফে আটক সাংবাদিককে আদালতে প্রেরণ : প্রকৃত ঘটনার রহস্য উদঘাটন দাবী


টেকনাফ প্রতিনিধি:
টেকনাফে সাংবাদিকের মালিকানাধীন অফিসের স্থানীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও মনিটরিং সেলের ভাড়া নিয়ে বিরোধের জেরধরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি অবমাননার মামলায় সাংবাদিক আলহাজ্ব মুহাম্মদ তাহের নঈমকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আসলেই জাতির পিতা ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি অবমাননা করেই কারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করেছে তা বের করার জন্য স্থানীয় সচেতন মহলের পক্ষ থেকে দাবী উঠেছে।
জানা যায়, ৪ নভেম্বর রাতে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুল বশর বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট আইনে দায়েরকৃত মামলা নং-৮/০৪-১১-১৭ইং প্রেক্ষিতে সাংবাদিক আলহাজ্ব মুহাম্মদ তাহের নঈমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এতে আটক সাংবাদিককে প্রধান আসামী করে নামীয় ২৩জন এবং আরো ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামী করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ মাইন উদ্দিন খান, উক্ত মামলায় আটক সাংবাদিক মুহাম্মদ তাহের নঈমকে আদালতে প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর দুপুরে উপজেলার হোয়াইক্যং ফাঁড়ির আইসি এসআই মঞ্জুরুল হক ঊনছিপ্রাং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী কর্তৃক দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় মরহুম মৌলভী আব্দুস সালামের পুত্র, উপজেলা ওলামা দলের সাবেক সভাপতি, ঊনছিপ্রাং মুহিচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসার শিক্ষক, দৈনিক কক্সবাজার৭১ পত্রিকার সহ-সম্পাদক,টেকনাফ নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ তাহের নঈমকে আটক করে।
এ বিষয়ে আটক সাংবাদিক আলহাজ্ব মুহাম্মদ তাহের নঈম জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুর রহমানের সুপারিশ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুল বশরের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ মাস আগে রোহিঙ্গাদের রিলিফ মনিটরিং করার জন্য (প্রতি কক্ষ মাসে ২হাজার টাকায়) ৩টি অফিস কক্ষ ভাড়া দেওয়া হয়। ইতিপূর্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাত্র ২হাজার টাকা ভাড়াও পরিশোধ করেছেন। সম্প্রতি উক্ত অফিসে একটি মাদকসেবী ও ফল ব্যবসায়ী চক্র অবস্থান নিয়ে দিবা-রাত্রি মাদক সেবন ও জুয়ার আসর বসিয়ে পরিবেশ ভারী করে তোলায় আমি নিরুপায় হয়ে অফিস ভাড়া দেবনা বলে রাগ করে ফ্যান ও কয়েকটি চেয়ার বাড়িতে নিয়ে যায়। আমার মত একজন দায়িত্বশীল ও শিক্ষিত ব্যক্তি হয়ে বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি কেন সাধারণ মানুষের ছবিও অবমাননা করার কোন প্রশ্নই আসেনা। তারা নিজেরাই আমাকে ভাড়া না দিয়ে হয়রানির জন্য এই ঘটনার আশ্রয় নিয়েছে। তাছাড়া আতœীয়-স্বজনদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি বিরোধ,গ্রাম্য রাজনীতি এবং আধিপত্য বিস্তারের কারণে তখন থেকেই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আসছি।
এদিকে টেকনাফের সাংবাদিকেরা উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঊনছিপ্রাংয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও মনিটরিং সেলে বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানার অবমাননার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আটক সাংবাদিক মুহাম্মদ তাহের নঈম এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িত নয় বলে দাবী করেন স্থানীয় সংবাদকর্মীরা। নেতৃবৃন্দরা অবিলম্বে সাংবাদিক আলহাজ্ব মুহাম্মদ তাহের নঈমের মুক্তি দাবী করেছেন। তার পাশাপাশি টেকনাফ উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি অবমাননাকারীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্যও প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবী করেছেন।
টেকনাফ প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি তাহের নঈমের মুক্তি দাবী
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
টেকনাফ প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি তাহের নঈমের মুক্তি দাবী করেছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা। এক যৌথ বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা বলেন, ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে সংঘটিত সহিংস ঘটনার জেরধরে হোয়াইক্যং ঊনছিপ্রাংয়ে গড়ে উঠা রোহিঙ্গা ক্যাম্প মনিটরিং ও ত্রাণ বিতরণের জন্য স্থানীয় আওয়ামীলীগ সাংবাদিক তাহের নঈমের মালিকাধীন ৩টি কক্ষ ভাড়া নেয়।
এ ত্রাণ ও মনিটরিং সেলের একটি কক্ষে বেশ কিছুদিন ধরে কিছু লোকের অসমাজিক কার্যকলাপ দেখতে পাওয়ায় সাংবাদিক তাহের নঈম গত বুধবার কিছু চেয়ার,একটি ফ্যান ও লাইট তাঁর বাড়িতে নিয়ে রাখেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি চক্র শুক্রবার দিবাগত রাতে বা শনিবার ভোর রাতে ঐ ত্রাণ কেন্দ্রের বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত ব্যানারে ময়লা লাগিয়ে ঘৃণিত কাজ করেছেন। আমরা এ ধরনের ঘৃণিত কাজের নিন্দা জানাচ্ছি এবং এ ঘটনায় সাংবাদিক তাহের নঈম জড়িত নয় বিধায় তাঁর মুক্তি দাবী করছি। এছাড়া এধরনের ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি। বিবৃতি দাতা সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা হলেন,টেকনাফ প্রেসক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্টাতা সদস্য হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম,আশেক উল্লাহ ফারুকী, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জাবেদ ইকবাল চৌধুরী (দৈনিক আজাদী), প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম কায়সার হামিদ,সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ (বাংলাদেশ বেতার),সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম রাসেল (দৈনিক যুগান্তর,মোহনা টেলিভিশন,আজকের দেশবিদেশ),প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম আজম খান(দৈনিক নয়াদিগন্ত),সাবেক যুগ্নসম্পাদক নুরুল হক (দৈনিক সংবাদ, দৈনিক সৈকত), ),প্রেসক্লাবের অন্যতম সদস্য আব্দুল্লাহ মনির (দৈনিক আমাদের সময়),মমতাজুল ইসলাম মনু(সম্পাদক,প্রবাল নিউজ ডটকম),প্রেসক্লাবের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন রশিদ (দৈনিক হিমছড়ি),সাবেক দপ্তর সম্পাদক ডাঃ কায়সার পারভেজ চৌধুরী (দৈনিক আমাদের কক্সবাজার),সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আব্দুস সালাম (বাংলাভিশন,দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন), প্রেসক্লাব সদস্য জসিম উদ্দিন টিপু, মোঃ রশিদ,টিভি জার্নালিস্ট সোসাইটির আহবায়ক নুরতাজুল মোস্তফা শাহীন শাহ (আর টিভি,দৈনিক ভোরের কাগজ), টেকনাফ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আমান উল্লাহ আমান(দৈনিক মানবজমিন),সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম(দৈনিক রূপসীগ্রাম),টেকনাফ ক্রাইম রিপোটার্স সোসাইটির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন ভুলু (দৈনিক আজকের কক্সবাজার),সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আমিন (দৈনিক আমাদের অর্থনীতি), সিঃসহ-সভাপতি রাশেদ মাহমুদ রাশেল (দৈনিক আলোকিত সময়),যুগ্ন সম্পাদক জিয়াবুলহক(সুপ্রভাতবাংলাদেশ), মোজাম্মেল হক(দৈনিক ইনানী), হেলাল উদ্দিন(দৈনিকসৈকত),মাওঃমোঃ জুবাইর(দৈনিক আমাদের কক্সবাজার),সাদ্দাম হোসেন(দৈনিক আজকের কক্সবাজার),মোঃ রফিক(দৈনিক বাকখাঁলী), মোঃ শাহীন (দৈনিক সকালের কক্সবাজার),জামাল উদ্দিন মেম্বার(দৈনিক সমুদ্রবার্তা),হারুন সিকদার(দৈনিক গণসংযোগ),জাকারিয়া আলফাজ (দৈনিক আজকের দেশবিদেশ), মোঃ ইসলাম(নিউজ টেকনাফ),জিয়াউল হক জিয়া(দৈনিক সাগরদেশ),এটিএন ফায়সেল(দৈনিক সাগরদেশ),ফরিদুল আলম(দৈনিক কক্সবাজার ৭১),আনোয়ার(দৈনিক সকালের কক্সবাজার) নুরুল আমিন সিকদার (দৈনিক আজকের দেশবিদেশ), মোঃ শহিদুল্লাহ (দৈনিক ইনানী), রিয়াজুল হাসান খোকন(দৈনিক আজকের দেশবিদেশ), মাওঃ এম জুবাইর হোসেন(দৈনিক সৈকত),শামসুদ্দীন (দৈনিক কক্সবাজার ৭১), মোঃ আমিন(দৈনিক আলোকিত উখিয়া),হাবিবুল ইসলাম হাবিব(দৈনিক সমুদ্রকন্ঠ),শাহজাদী মোস্তফা(দৈনিক সকালের কক্সবাজার), প্রমূখ।

Comment here