টেকনাফসারাদেশ

টেকনাফে এক লম্পট স্বামীর অপকর্মে অতিষ্ঠ স্ত্রী ও মেয়ে

সাদ্দাম হোসাইন : টেকনাফে ক্রাইম জগতের এক ডন ও লম্পট স্বামীর পরকীয়া আসক্তের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বিবাহিত স্ত্রী ও জন্ম দেওয়া শিশু মেয়ে। এই ব্যাপারে ভূক্তভোগী গৃহবধু আইন সহায়তা কেন্দ্র ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা যায়, ২০১৩ সালে টেকনাফ গোদারবিলের আব্দুল করিমের পুত্র আব্দুর রহমান (২৯) এর সাথে হ্নীলা রঙ্গিখালী লামার পাড়ার আবুল কাশেমের মেয়ে খুরশিদা বেগম (২৫) বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ২০১৪ সালে রেখামনি নামে এক মেয়ে শিশুর জন্ম হয়। এর পর পরই পারিবারিক পরামর্শে স্বামী আব্দুর রহমান প্রায় সময় স্ত্রী খুরশিদার নিকট টাকা-পয়সা দাবী করে আসত। মেয়ে পক্ষ গরীব হওয়ায় স্বামীর দাবী পূরণ করতে না পারায় সংসারে প্রায় সময়ে ঝগড়া-ঝাটি হয়ে আসত। সংসারে অশান্তির সুযোগে আব্দুর রহমান অপহরণ,ডাকাতি, আদম পাচারসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। যার কারণে সে টেকনাফ থানায় অপহরণ ও ডাকাতি মামলা, উখিয়া থানায় আদম পাচার মামলার আসামী হয়। সে ফেরারী হওয়ার সুযোগে মোচনী নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের ডি-বøকের মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুর রহমান ও নুর জাহান দম্পতির মেয়ে এবং টেকনাফ কলেজ পাড়ার বুড়া কবিরের স্ত্রী নুর বেগম (২৬) এর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। ঐ মহিলার সাথে সম্পর্কের জেরধরে গত ৬মাস ধরে স্ত্রী ও মেয়েকে ফেলে বাহিরে অবস্থান করছেন।
এই ব্যাপারে অভিযুক্ত স্বামী আব্দুর রহমান বলেন,উক্ত মহিলার অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে বিয়ের পর ঐ ঝগড়াটে মেয়ে শ্বাশুড় বাড়িতে না থেকে বাপের বাড়ি থাকার জন্য নানা নাটকীয় ঘটনার আশ্রয় নেয়। এরপরও নিষেধ অমান্য করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরী নেয়। স্বামীকে কোন ধরনের পাত্তাই দিতে চাইনা। তাই আমি নিরুপায় হয়ে দূরে সরে আসি। তার উপর সে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে নাটকীয়তার আশ্রয় নিয়েছে।
ভূক্তভোগী স্ত্রী স্বামীর বক্তব্য মিথ্যা দাবী করে বলেন, আমি স্বামীর সংসার ও মেয়ে পিতার স্নেহ-ভালবাসা ফিরে পেতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Comment here