কক্সবাজারক্রাইমটেকনাফসারাদেশ

টেকনাফে গৃহবধু উম্মে কুলসুম হত্যা মামলার আসামীরা অধরা

নিজস্ব সংবদদাতা:
টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের দক্ষিণ নয়াপাড়ার পুরানপাড়ার নববধু উম্মে কুলসুম হত্যাকান্ডের প্রায় মাসিক খানিক পার হলেও মামলার আসামীরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
নিহতের ভাই মামলার বাদী নুরুল আলম বলেন- মামলার ১ নম্বর আসামী গ্রেপ্তার হলেও অপরাপর আসামী টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়ার খুইল্ল্যা মিয়ার স্ত্রী খতিজা বেগম (৪৫), খুইল্ল্যা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (২৮) ও মৃত হাসেম ফকিরের ছেলে খ্ইুল্ল্যা মিয়া (৫২) এখন প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরাফেরা করছে। যার মামলা নং-৬০। এব্যাপারে আসামীদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে- গলাটিপে হত্যার শিকার উম্মে কুলসুমের সাথে একই এলাকার খ্ইুল্ল্যা মিয়ার ছেলে আবু নাসেরের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের কারণে গত ৩ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তার শাশুড়, শাশুড়ী, ননদ, দেবরের উস্কানিতে প্রায় সময় তাকে মারধর করত। এনিয়ে অনেকবার বিচার-শালিস হয় এবং তাদের দাম্পত্য জীবনে মৃত সন্তান প্রসব করা নিয়ে বাঁধে কলহ। এরপর থেকে বিষয়টি আমার পরিবারসহ এলাকার গন্যমাণ্য ব্যক্তিদের অবগত করিলে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করে দিলেও আসামীরা কারো মিমাংসাকে তোয়াক্কা না করে পূনরায় নিহত উম্মে কুলসুমকে মারধর করে। এ বিরোধের জের ধরে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ রাত আড়াইটার সময় নিহতের স্বামী আবু নাসের ও তার মা, বাবা ও আতœীয়-স্বজনের সহযোগিতায় উম্মে কুলসুমকে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন অংশে নীলাফুলা জখম করে। মারধরের এক পর্যায়ে উম্মে কুলসুমকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। খবর পেয়ে গেলে বোনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।
ঘটনাস্থল থেকে থানা পুলিশ লাশের সুরত হাল তৈরী করে ময়নাতদন্ত শেষে দাফন করা হয়। এ ব্যাপারে নিহতের বড় ভাই নুরুল আলম আরো জানান- এঘটনায় জনকে আসামী করা হলেও তার স্বামী হত্যাকারী আবু নাসের গ্রেপ্তার হলেও অন্যরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। স্থানীয় তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠে।
ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক জানায়- উম্মে কুলছুমের মাথায় আঘাত, শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা ছিল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অরুণ কুমার চাকমা জানান, আসামীদের আটক করতে চেষ্টা চলছে।

Comment here