টেকনাফ

টেকনাফে ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু : নারী-শিশুসহ আরো ৩ জন শনাক্ত

টেকনাফ প্রতিনিধি :
সারাদেশের ন্যায় সীমান্ত এলাকা টেকনাফেও ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ছে। ২ আগস্ট শুক্রবার প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষায় শিশুসহ দুইজনের শরীরে ডেঙ্গু শনাক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে টেকনাফে কেয়ারল্যাব নামে একটি ডায়াগনেস্টিক সেন্টারে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষায় নারী-শিশুসহ দুইজন ও মেরিন সিটি নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে অপর একজনসহ মোট ৩জনের শরীরে ডেঙ্গুর অস্থিত্ব ধরা পড়েছে। আক্রান্তরা হচ্ছেন টেকনাফ পৌরসভার লামার বাজার এলাকার থুইমং এর মেয়ে এক বছরের শিশু চোয়ে ওয়ানং কোলাল পাড়া এলাকার রাখাইন স্বর্ণকারের স্ত্রী মে কিং ছেন (৩৩) ও এনজিও কর্মী রাজশাহীর মো. নাঈম(৪০)। এদের মধ্যে শিশুটিকে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা.আতাউর রহমান। তিনি জানান,শিশুটির অভিভাবকের ইচ্ছায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
প্যাথলজি সেন্টার কেয়ারল্যাব এর ব্যবস্থাপক মো.জাকারিয়া জানান,ডেঙ্গু পজিটিভ হওয়া দুইজনের মধ্যে শিশুটিকে ডা.আতাউর রহমান তাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন অপর নারী স্ব ইচ্ছায় টেস্ট করিয়েছেন। আইজিএম ও সিবিসি পরীক্ষার মাধ্যমে ডেঙ্গু পজিটিভ রিপোর্ট দিয়েছেন বলে জানান তারা।
অপরদিকে শুক্রবার বিকালে প্রাইভেট ক্লিনিক মেরিন সিটি হাসপাতালে একজনের শরীরে ডেঙ্গু ধরা পড়েছে মো. নাঈম নামে এনজিও কর্মীর। রাজশাহীর উক্ত ব্যক্তিকেও কক্সবাজার প্রেরন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুমন বড়ুয়া সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, টেকনাফে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে শনিবার থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু কর্ণার চালু করা হবে। এছাড়া গত এক সপ্তাহ যাবৎ স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এব্যাপারে তিনি আতংকিত না হয়ে সচেতন হওয়া ও জ্বর অনুভব হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার আব্দুল মালেক নামে টেকনাফের এক কাপড় ব্যবসায়ী ঢাকা ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন।
এনিয়ে কক্সবাজার জেলায় গত এক সপ্তাহে ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৯জন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তী অপর ৩জন অন্যান্য চিকিৎসাধীন আছেন।
বাকি ১৩ জন চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। মারা গেছেন ২জন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ মনির জানান,জনবল ও মেশিন সংকটের কারনে সব জায়গায় একসাথে ঔষধ ছিটানো যাচ্ছে না। পৌরসভার ৩টি ফগার মেশিন রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বিভিন্ন এলাকায় ঔষধ ছিটানো হচ্ছে । পর্যায়ক্রমে ৯টি ওয়ার্ডের অলিতে গলিতে মশক নিধন ঔষধ ছিটানো অব্যাহত থাকবে।

Comment here