কক্সবাজারটেকনাফসারাদেশ

টেকনাফে নাফনদীতে রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবিতে নারী-শিশুসহ নিহত-২০ : জীবিত উদ্ধার-২০

সাদ্দাম হোসাইন, হ্নীলা:
টেকনাফে নাফনদীতে রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবির ঘটনায় ২০জন রোহিঙ্গা নারী-শিশুর ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এক মাঝির সহায়তায় জীবিত অবস্থায় আরো ২০নারী-পুরুষ ও শিশুদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়,৩১আগষ্ট ভোররাত ৩টারদিকে মিয়ানমার হতে ২টি ট্রলারে করে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের দিকে রওয়ানা দেয়। মাঝপথে এসে ট্রলারে থাকা দালালেরা নারীদের স্বর্ণালংকার ও টাকা দাবী করে এবং সুন্দরী নারীদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করলে রোহিঙ্গা পুরুষেরা বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে হাতাহাতির এক পর্যায়ে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। সকাল সাড়ে ১০টার হতে সোয়া ১১টা পর্যন্ত শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমে ডাঙ্গরপাড়া পয়েন্টে স্থানীয় বিজিবি,কোস্টগার্ড ও জনতার সহায়তায় ভাসমান ২০জনের লাশ উদ্ধার করা হলেও পরিচিত ২জনকে স্বজনেরা নিয়ে যায় বলে জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে ৯জন মহিলা ও ১১জন শিশু রয়েছে। খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ মইন উদ্দিন খান একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন।
প্রাণে রক্ষা পাওয়া মিয়ানমারের হাইসছুরাতার মন্ডুলার আলী হাইঞ্জনের ওমর হাকিমের পুত্র আয়াতুল্লাহ (২৫) বলেন,উক্ত দূঘর্টনায় তার ছেলে আয়াছ ও মেয়ে রুজিনা,মা গোলজার,খালা,দুই ফুফুসহ মোট ১৫জন মারা গেছে। আরেকটি নৌকা হতে ক‘জন মারা গেছে তা সে জানেনা। তবে স্থানীয় আব্দুল আমিন মাঝির সহায়তায় আমিসহ ৪জন পুরুষ,৮জন মহিলা ও ৮জন শিশুসহ মোট ২০জনকে প্রাণে রক্ষা পেয়েছি। উদ্ধারকৃতরা হাঙ্গরপাড়ার আব্দুল মজিদের বাড়ি হতে আশ্রয়ে রয়েছে। পরে প্রাণে রক্ষা পাওয়াদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সচেতন মহল মানবিক সহায়তা দিচ্ছে।
এই জাতীয় অমানবিক,লোমহর্ষক ও হৃদয় বিদারক ঘটনায় জনসাধারণের মনে চরম ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধারকৃত মৃতদেহ ঘটনাস্থলে রয়েছে। উর্দ্বতন মহলের সাথে আলোচনা স্বাপেক্ষ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

Comment here