ক্রাইমটেকনাফসারাদেশ

টেকনাফে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী গণ ধর্ষনের শিকার

নিজস্ব সংবাদদাতা:
টেকনাফে এক মাদরাসা ছাত্রী ধর্ষনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদর ইউনিয়নের উত্তর লেংগুরবিল এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভিকটিমের পরিবার।
লিখিত এজাহার সূত্রে জানা যায়, জাহাঁলিয়া পাড়া শাহ্ মজিদিয়া খানেকা এবতেদায়ী মাদরাসার ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী (সংগত কারনে নাম গোপন রাখা হল) জাফর আলমের শিশু কন্যা ৮ আগষ্ট বিকালে বান্ধবীর বাসায় বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে বিকাল আনুমানিক ৩ঘটিকার সময় উত্তর লেংগুর বিল এলাকার রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় একই এলাকার ইসমাইল (২৩) নামের একযুবক এসে সে কোথায় যাচ্ছে, কেন দাঁড়িয়ে আছে জিজ্ঞেস করার ফাঁকে জোরপূর্বক মটম গাড়ীতে উঠিয়ে মুখে কাপড় পেঁচিয়ে মেরিনড্রাইভের দিখে নিয়ে যায়। পরে উত্তর লম্বরীর নুরুল আবছার ও জাহাঁলিয়া পাড়ার আবদুল আমিনসহ আরো অজ্ঞাত ২/৩ জন গিয়ে ওই ছাত্রীকে নিরাপদে বাড়ী পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাসে অন্যদিকে নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যা হলে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে মারধর করে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে। গণধর্ষণের এক পর্যায়ে ছাত্রীটি অজ্ঞান হয়ে পড়ে। জ্ঞান ফিরার পর অভিযোক্ত আবদুল আমিন উত্তর লেংগুর বিল এলাকার মোঃ হোছাইন ওরফে অলু নামের এক ব্যক্তির নিকট মেয়েটিকে রেখে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মূমুর্ষ অবস্থায় মেয়েটিকে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সাইফুল ইসলাম ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে প্রেরণ করে। এই সময় ওই ছাত্রী তার অভিভাবকদের জানিয়েছে, তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বিবাদীরা। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে খবর পেয়ে মোঃ হোছাইন ওরফে অলুর কাছ থেকে মেয়েকে উদ্ধার করিয়া জিজ্ঞাসাবাদ করিলে জানায় তাকে ইসমাইল, নুরুল আবছার ও আবদুল আমিন সহ আরো ২/৩ জন মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে অজ্ঞাত স্থানে ধর্ষন করে। তিনি আরো জানান, স্থানীয় কিছু স্বার্থন্বেশী মহল ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে প্রকৃত আসামীদের বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে ভিকটিমের পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করছে। এ বিষয়ে ৩ জনকে এজাহার নামীয় আসামী করে আজ্ঞাত ২/৩ জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি। এই রিপোর্ট লিখার সময় রাত ৯ টা ৫২ মিনিটে টেকনাফ মডেল থানায় যোগাযোগ করা হলে, কর্তব্যরত অফিসার এএসআই মাজহারুল ইসলাম জানান এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Comment here