টক শোটেকনাফ

টেকনাফে প্রবাসী স্বামীর সর্বস্ব নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের হাতধরে পালানো গৃহবধুর নানা চক্রান্ত

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম : টেকনাফে বিয়ে করে ৬ বছর সংসার করার পর স্বামী প্রবাসে যাওয়ায় বাপের বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার পর পরকীয়া প্রেমিকের হাতধরে পালানোর দীর্ঘদিন পর আবারো প্রবাস ফেরত পুরনো স্বামীকে নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠছে।
জানা যায়, ১৮ মে সকাল ১১টায় হ্নীলা ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার জামাল হোছনের নিকট গত এক মাস ধরে এই বিষয়ে চুড়ান্ত সালিশে উক্ত মহিলা আজিজা গং দোষী সাব্যস্ত হলে কৌশলে সটকে পড়ে। এরপরও এই দুশ্চরিত্রা মহিলা নানাভাবে মিথ্যা অভিযোগ ও মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এদিকে আরো জানা যায়, ২০০৮ সালে হ্নীলার রঙ্গিখালী জুম্মাাপড়ার মৃত সুলতান আহমদের পুত্র ফরিদ আলমের সাথে সাবরাং চান্দলী পাড়ার গফুর মাঝির মেয়ে আজিজার বিয়ে হয়। তাদের সুখের সংসারে ১ সন্তানের আগমন ঘটে। এতে দুজনার সংসার সুখেই চলছিল। গত ২০১২ সালের শেষের দিকে স্বামী ফরিদ সাগর পথে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান। বিদেশ থেকে স্বামীর পাঠানো টাকা দিয়ে আজিজা সুখে ছিল। ইতিমধ্যে গৃহবধু আজিজা সিএনজিযোগে বাপের বাড়ি আসা-যাওয়ার সময় টেকনাফ সদরের লেঙ্গুরবিল দক্ষিণ মাঠপাড়ার খলিল আহমদের পুত্র মোঃ হোছন প্রকাশ লম্বাইয়ার সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২০১৪ সালের জুন মাসের মাঝামঝি আজিজা বাপের বাড়ি বেড়াতে যায়। সেখানে ৪/৫দিন থাকার পর খালার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে ২১জুন সন্ধ্যায় স্বামীর নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও জমির কাগজসহ সিএনজি চালক মোঃ হোছন প্রকাশ লম্বাইয়ার হাতধরে পালিয়ে যায়। কিছুদিন পর লম্বাইয়াকে একটি সিএনজি কিনে দেওয়ার শর্তে তাদের বিয়ে হয়। আজিজা লম্বাইয়ার সাথে দীর্ঘদিন সংসার করার পর সিএনজি দিতে না পারায় লম্বাইয়া পালিয়ে যায়। এরই মধ্যে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে ফেলে যাওয়া ১ম স্বামী প্রবাসী ফরিদ আলম দুঘর্টনায় আহত হয়ে পঙ্গু অবস্থায় দেশে ফেরত আসে। দুশ্চরিত্রা আজিজা ১ম স্বামীর নিকট ফিরে আসতে চাইলেও স্বামী ফরিদ তাকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছেনা। তাই পূর্বের স্বামী ও আতœীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে সালিশ দায়ের করায় তার অপকর্মের তথ্য বেরিয়ে আসে। এই মহিলা সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে নানাভাবে মিথ্যা মামলায় হয়রানির হুমকি দিয়ে আসায় অসুস্থ বিদেশ ফেরত পুরান স্বামী আতংকের মধ্যে রয়েছে। এই ব্যাপারে সে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা কামনা করছেন।

Comment here