টেকনাফসারাদেশ

টেকনাফে বহু মামলার আসামি ফিরোজ মাঝিকে ভাগিয়ে দিলো কোস্টগার্ড!

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

চিহ্নিত ইয়াবা গডফাদার ফিরোজ আহমদকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হতে স্বশস্ত্র স্কট দিয়ে ভাগিয়ে দিলো কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশন কর্মকর্তা জাফর ইমাম সজিব। এ সংক্রান্ত টেকনাফ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে ডিবি।

ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বিকাল পৌনে ৩ টার সময় টেকনাফ-কক্সবাজার প্রধান সড়কের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের কেরুনতলী কোস্টগার্ড কার্যালয়ের সামনে।

জানা যায়, টেকনাফ কেরুণতলী কোস্টগার্ড কার্যালয়ের সামনে বিকালে একটি টিম গোপন সংবাদের বিভিত্তে পুরাতন পল্লান পাড়ার কালা মিয়ার ছেলে ফিরোজ আহমদ ওরফে ফিরোজ মাঝিকে আটক করে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি। পুলিশ সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে কক্সবাজার ডিবি কার্যালয়ে নেওয়ার জন্য তাদের গাড়িতে উঠানোর জন্য চেষ্টা করে। গাড়িতে না উঠে এক পর্যায়ে ফিরোজ গাড়ির নিচে গড়াগড়ি দিতে থাকে।

এ ফাঁকে কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার জাফর ইমাম সজিব’র এগিয়ে এসে গোয়েন্দা পুলিশকে চার্জ করতে থাকে। কেন ফিরোজকে নিয়ে যাওয়া হবে। এ এরিয়াতে কোস্টগার্ডেও অনুমতি নেওয়া দরকার ছিলো। কেনা তা না করে নীরিহ ফিরোজকে আটক হলো ইত্যাতি প্রশ্ন করতে থাকে।

এ সময় কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আলমগীরের নেতৃত্বে একটি টিম ও কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার জাফর ইমাম সজিব’র নেতৃত্বে কোস্টগার্ড সদস্যরা স্বশস্ত্র অবস্থায় প্রকাশ্যে মুখোমুখি অবস্থান নেন।

শুধু তাই নয়, এক পর্যায়ে কোস্টগার্ড কর্মকর্তা অন্যান্য সর্দস্যদের স্বশস্ত্র অবস্থায় সর্তক থাকার নির্দেশ দিয়ে বলে, ফিরোজকে সেই নিয়ে যাবে, কেউ আটকাতে চেষ্টা করা হলে গোয়েন্দা পুলিশের উপর গুলি করা হবে এবং ১৫ মিনিটের মধ্যে স্থান ত্যাগ করার জন্য বলে ডিবি সদস্যদের। এরপর পরই ফিরোজকে ভাগিয়ে নিয়ে যায় কোস্টগার্ড কর্মকর্তা। আর ডিবি পুলিশের সদস্য সেখান থেকে চলে যায়।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আলমগীর জানান, ইয়াবা মজুদের খবর পেয়ে টেকনাফের তালিকাভূক্ত ও চিহ্নিত ইয়াবা গডফাদার, বহু মামলার আসামি ফিরোজ মাঝিকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়ার সময় কোস্টগার্ড কর্মকর্তা স্বশস্ত্র হুমকি দিয়ে ভাগিয়ে নেন। এ বিষয়ে তিনি থানায় জিডি লিপিবদ্ধ করেছেন বলেও জানান।

কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লে.কমান্ডার জাফর ইমাম সজিব জানান, কোস্টগার্ড কার্যালয়ের সামনে নীরিহ ফিরোজকে গোয়েন্দা পুলিশের লোকজন ধরে নিয়ে যাচ্ছিলো। আটকের ব্যাপারে সঠিক কোন তথ্য দিতে না পেরে শেষ পর্যন্ত তাকে ছেড়ে গোয়েন্দা পুলিশ চলে যেতে বাধ্য হয়।

এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মাইন উদ্দিন খান জানান, একজন লোককে আটাকের জের ধরে দু’বাহিনীর মধ্যে কিছু একটা হয়েছে। যা কিনা উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

এদিকে একজন চিহ্নিত ইয়াবা কারবারিকে কেনো কোস্টগার্ড কর্মকর্তা অন্য একটি সরকারি বাহিনী হতে ভাগিয়ে নিলো, তার সাথে ওই কোস্টগার্ড কর্মকর্তাও এমনই বা কি গভীর সম্পর্ক ছিলো তাকে স্কট দিয়ে ছাড়িয়ে নিতে হলো। কেনই বা ফিরোজকে ছেড়ে না দিলে ১৫ মিনিটের মধ্যে ডিবি সদস্যরা চলে না গেলে রণক্ষেত্র তৈরীর ঘোষণা দিলো।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতিতে কেনই বা এ ধরনের কর্মকর্তা এখানে নিয়োগ দেওয়া হলো যেখানে নিজ দেশের একটি বাহিনীর উপর এভাবে চড়াও হওয়ার র্স্পধা দেখাতে পারে এমন একাধিক প্রশ্ন সর্বত্র ঘুরপাক খাচ্ছে সচেতন মহলে।

Comment here