ক্রাইমটেকনাফরোহিঙ্গা সমাচার

টেকনাফে বিজিবি’র অভিযান : ১ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার প্রকাশ্যে বেপরোয়া বুলু সিন্ডিকেট সদস্যরা


নাফনদীর পার্শ্বে জনৈক বুলুর সুপারি বাগান হতে বিজিবি উদ্ধার করেছে ১ লাখ পিস ইয়াবা। যার মূল্য ৩ কোটি টাকা বলে দাবী করেছে বিজিবি। ১৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে এসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তবে এসব ইয়াবা উদ্ধার হলেও আটক হয়নি কেউ। জানাযায় ,
বিজিবি গোপন সংবাদে জানতে পারে যে, টেকনাফস্থ নেটংপাড়া এলাকায় জংগলাকীর্ণ একটি সুপারী বাগানে ইয়াবা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে লুকায়িত থাকতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ১৮ সেপ্টেম্বর ৯ টার সময় ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ দমদমিয়া বিওপির সুবেদার মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর নেতৃত্বে একটি টহলদল নেটংপাড়া এলাকায় অবস্থিত জংগলাকীর্ণ সুপারী বাগানে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে। তল্লাশীকালীন প্রায় ১০ টার সময় টহলদল উক্ত বাগানে একটি ঝোপের পার্শ্বে সামান্য মাটি খুড়া অবস্থায় পলিথিন দেখতে পায়। এ স্থানের মাটি অন্যত্র সরানোর পর পলিথিনে মোড়ানো ইয়াবা ভর্তি একটি প্যাকেট পাওয়া যায়। পরে ঐ প্যাকেটটি খুলে গণনা করে ১ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়। যার মূল্য তিন কোটি টাকা।
জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে, যা পরবর্তীতে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে জানিয়েছেন অধিনায়কমোঃ আছাদুদ-জামান চৌধুরী।
এদিকে সরেজমিন ঘটনাস্থল ঘুরে জানা যায়, টেকনাফ পৌর এলাকার নাইট্যং পাড়া গ্রামের শহর মুল্লুকের ছেলে মো: হোছন প্রকাশ বুলু, তার তিন শ্যালক শওকত আলী, লিয়াকত আলী ও ওমর আলী, হামিদ হোসেনের ছেলে মো: হাছন, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বড়ই তলী গ্রামের তালি ইসলামের ছেলে শমসু আলম, রোহিঙ্গা যুবক হাফেজ আহমদের সমন্বয়ে একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। এ সিন্ডিকেটের সদস্যরা বড়ইতলী ও নাইট্যং পাড়ার দুটি পয়েন্ট দিয়ে প্রতিনিয়ত মানব পাচার ঘাট নিয়ন্ত্রন করে থাকে। এ ঘাটের নৌকা অবৈধভাবে মিয়ানমারের মংডু এলাকার প্রাংপ্রো, মাংগালা ইত্যাদি এলাকায় যাতায়াত করে থাকে। সেখান থেকে ইয়াবার বড় বড় চালান টেকনাফ দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করিয়ে থাকে। রোহিঙ্গা যুবক হাফেজ এর নিকট আত্বীয় ও মো: হাছনের শশুড় মংডু প্রাংপ্রো এলাকায় বসবাসকারী মিয়ানমার নাগরিক মোস্তাক আহমদ সেখান থেকে এসব ইয়াবা বাংলাদেশে পাঠিয়ে থাকে। আর এসব মানব পাচার ঘাট ও ইয়াবা গুলো যাতে নিরাপদ থাকে যে জন্য নাইট্যং পাড়া এলাকার ছৈয়দ মাষ্টারের দু’ ছেলে জামাল হোছন ও আনোয়ার হোছন সরকারী বনভূমি দখল করে তৈরী করেছে দুটি বাড়ী। তারা সে বাড়ীতেই বহালতবিয়তে থেকে সকল অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে মো: হোছন বুলু’র মোবাইলে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ দিকে টেকনাফ মডেল থানার ওসি রনজিত কুমার বড়–য়া জানিয়েছেন, এলাকার চিহ্নিত পাচারকারী বুলুর বিরুদ্ধে একাদিক মামলা রয়েছে। এ সিন্ডিকেটের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনী প্রদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

Comment here