টেকনাফ

টেকনাফে মাদক ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশে পুলিশের আইজিপি : হয় ইয়াবা ছাড়তে হবে, নয় এলাকা ছাড়তে হবে


টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি ::
“ইয়াবা ব্যবসায়ীদের হয় ইয়াবা ছাড়তে হবে, নয় এলাকা ছাড়তে হবে। জঙ্গিরা যেমন মানুষ হত্যা করে ইয়াবা ও তিলে তিলে মানুষ হত্যা করে। ইয়াবা ব্যবসায়ীরা যত বড়ই ক্ষমতাধর , প্রভাবশালী ও গডফাদার হোক তাদের তথ্য দিন আমরা কঠোর ব্যব¯’া নেব ইয়াবা ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে এমন হুশিয়ারী উ”চারণ করেছেন পুলিশের আইজিপি একেএম শহীদুল হক। তিনি ২৪ মে বুধবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে টেকনাফ পাইলট উ”চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা পুলিশ আয়োজিত মাদক ও জঙ্গিবাদ বিরুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখছিলেন। তিনি আরো বলেন, বিশ্বে জঙ্গিবাদ নির্মুলে বাংলাদেশ আজ রুল মডেল হয়েছে। গতকালও ব্রিটেনের মতো আধুনিক দেশে অত্যাধুনিক ক্যমেরা থাকার পরও আইএস এর জঙ্গি হামলায় ২২ জন নিহত হয়েছেন। অথচ আমরা সেখানে গুলশান এবং শোলাকিয়ার দুটি হামলা ছাড়া বাকী ২০ টি জঙ্গি তৎপরতা বন্ধ করেছি। এটা সম্ভব হয়েছে জনগণের সচেতনতা ও দেশাত্মবোধের কারণে। আমরা আপনাদের পাশে থাকতে চাই , আপনাদের পাশে রাখতে চাই, মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে আপনাদের সহযোগিতা চাই। মাদক নির্মূল প্রসঙ্গে পুলিশের আইজিপি বলেন ইতিমধ্যে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধেও মাদক ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দে ৭০ জন নিহত হয়েছে। ইয়াবা প্রতিরোধে বন্দুক যুদ্ধে আরো মারা গেলে পুলিশ কোন দয়া দেখাবেনা। তিনি পুলিশ ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে করে বলেন ইয়াবা ব্যবসায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কেউ জড়িয়ে পড়লে শুধু চাকরীচ্যুত করা হবেনা, মাদক আইনে মামলা করে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। যেকোন ফরমেটের হুন্ডি ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করা গেলে ইয়াবা ব্যবসায়ও অনেকটা নিয়ন্ত্রন হবে একজন বক্তার এমন বক্তব্যে আইজিপি হুন্ডি ব্যবসায় বন্ধে ¯’ানীয় পুলিশ তৎপরতা শুরুর নির্দেশ দেন।
সভায় বিশেষ অতিথি কক্সবাজার জেলা প্রশাসক আলী হোসেন বলেন মিয়ানমার আমাদেরকে জীবন নাশক মাদক দি”েছ আর আমরা দি”িছ জীবন রক্ষাকারী ঔষুধ। এর থেকে পরিত্রান পেতে মিয়ান সীমান্তবর্তী টেকনাফ উখিয়া বাসীকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মনির উজ্ জামান বলেন, কতিপয় ইয়াবা ব্যবসায়ীর কারণে গোটা এলাকার বদনাম ছড়িয়ে পড়েছে। কক্সবাজারের এই বদনাম গোচাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ মে’র কক্সবাজারের জনসভায় ইয়াবার বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর পুলিশ সদস্যরা আইনশৃংখলা রক্ষার পাশাপাশি ইয়াবা উদ্ধারে আরো তৎপর হয়। কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার ড.একেএম ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ’র ডিআইজি এসএম মনির উজ্ জামান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক আলী হোসেন, কক্সবাজার জেলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি এ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন, কক্সবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের কমান্ডার মোহাম্মদ শাহজাহান, টেকনাফ উপজেলা কমিউিনিটি পুলিশিং এর সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম। পবিত্র কুরআন , গীতা ও ত্রিপিটক পাঠের মধ্য দিয়ে এ সমাবেশের শুরু হয়।
সমাবেশের আগে পুলিশের আইজিপি একেএম শহিদুল হক সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টেকনাফ মডেল থানা নতুন ভবন ও দুপুরে টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের নব নির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন।
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপ¯ি’ত ছিলেন টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল এসএম আরিফুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ, জেলা পরিষদ সদস্য শফিক মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর, পৌর মেয়র হাজী মোহাম্মদ ইসলাম, সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন, নুর আহম্মদ, সদর ইউপি চেয়ারম্যান শাহজান মিয়া প্রমূখ।

Comment here