ক্রাইমটেকনাফসারাদেশ

টেকনাফে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের ধরিয়ে দিতে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ

জসিম উদ্দিন টিপু : দেশ ও দেশের যুব সমাজকে মাদক সেবন থেকে রক্ষায় মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে আরো কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন। যেকোন প্রকারের মাদক বিক্রেতা এবং সেবীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
জানা যায়, টেকনাফ উপজেলা মাসিক আইন-শৃংখলা সভার আলোকে উপজেলা প্রশাসনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল হোসেন উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নের বাসিন্দা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক এবং সুশীল সমাজের প্রতি মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ নির্দেশনা জারী করেছে। কোন এলাকায় মাদক বিক্রেতা ও সেবীদের অপতৎপরতা চোখে পড়লে জনসাধারণের সহায়তায় তাদের উপজেলা প্রশাসন অথবা থানা পুলিশের নিকট সোর্পদ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। অবশ্যই যে কোন মাদকের চালান খালাস, পরিবহন, উৎপাদন, মওজুদ, সেবনের আসর জমিয়ে পরিবেশ দূষণকারীদের কঠোর হাতে দমনের জন্য উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় ইতিমধ্যে পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, র‌্যাব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর বিশেষ অভিযান জোরদার রয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতে মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তবে মাদক বিরোধী অভিযানের নামে সাধারণ কোন মানুষ হয়রানির শিকারের বিষয়টি মাথায় রেখে সবাইকে মাদক বিরোধী যুদ্ধে শামিল হওয়ার জন্য নির্দেশনা জারী করা হয়েছে।
এই ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল হোসেন বলেন,টেকনাফে মাদকের ভয়াবহতার ফলে অনেক যুবক মাতাল হয়ে পড়েছে। অনেকের সংসার ভেঙ্গে যাচ্ছে। তাই এই মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্সনীতি অবলম্বন করে সর্বস্তরের জনতার সহায়তায় টেকনাফকে মাদকমুক্ত করতে উপজেলা প্রশাসনের জরুরী এই পদক্ষেপ। এই কাজে সবাইকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ রনজিত কুমার বড়–য়া বলেন, সরকারের নির্দেশনা এবং উপজেলা প্রশাসনের গৃহীত সিদ্বান্তের আলোকে পুলিশ মাদক বিরোধী সাড়াঁশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে। মাদকমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তবে সাধারণ মানুষ মাদক বিরোধী অবস্থানে হলেও স্থানীয় বেশীর ভাগ মানুষ বেকারত্বের কারণে অপকর্মে সংশ্লিষ্ট হয়ে পড়েছে। এই বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ব্যাপারে পর্যায়ক্রমে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী বলে সুশীল সমাজ মনে করেন।

Comment here